দুবছর ধরে লোকালয়ের মধ্যে বন্ধ থাকা মদের দোকান খুলতে গিয়ে নারীবাহিনীর তাড়া খেলেন তৃণমূলের মহিলা কাউন্সিলর মেদিনীপুর রাজ্য January 11, 2019 দুবছর ধরে লোকালয়ের মধ্যে বন্ধ থাকা মদের দোকান খুলতে গিয়ে স্থানীয় নারীবাহিনীর তাড়া খেলেন রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের এক মহিলা কাউন্সিলর। যে ঘটনা সামনে আসতেই তীব্র চাঞ্চল্য রাজ্য রাজনীতিতে। এমনকি ঘটনার আকস্মিকতায় হতবাক খোদ শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসও। সূত্রের খবর, খড়্গপুরের চন্ডীপুর এলাকায় লোকালয়ের মধ্যে প্রায় দুই বছর ধরে একটি মদের দোকান বন্ধ আছে। যা খড়্গপুর পুরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত। হঠাৎ করে এই মদের দোকান খোলার জন্য খড়গপুর পুরসভার সাত নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কল্যাণী ঘোষ মদের দোকানের মালিকের পরিবারকে নিয়ে হাজির হয়ে যান। কিন্তু, তৃণমূল কাউন্সিলরের এই প্রচেষ্টাকে বাধা দিতে থাকেন স্থানীয় বাসিন্দারা। কিন্তু অভিযোগ, স্থানীয়দের প্রতিবাদকে কোনও গুরুত্ব না দিয়ে তিনি জোর করে মহিলাদের ধাক্কা মেরে বন্ধ দোকানের তালা খুলে ঢুকে পড়েন। আর এরফলে রীতিমত উত্তপ্ত হয়ে পরে পরিস্থিতি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ হাজির হলে কল্যাণীদেবী দাবি করেন, তাঁর কাছে এই মদ দোকান খোলার সরকারি নির্দেশ রয়েছে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - কিন্তু, আশ্চর্যজনকভাবে তাঁর দাবির স্বপক্ষে তিনি কোনো প্রমান বা সরকারি নথি দেখতে পারেননি। এই কথা কাটাকাটিতে বেশ কয়েকঘন্টা অতিবাহিত হয়ে গেলে – ধৈর্য্য হারিয়ে তৃণমূল কাউন্সিলরকে একপ্রকার তাড়া করতে শুরু করেন স্থানীয় প্রমীলা বাহিনী। ওখান থেকে তখন একপ্রকার পালিয়ে যান তৃণমূল কাউন্সিলর বলে দাবি উপস্থিত জনতার। পরে কল্যাণীদেবী সংবাদমাধ্যমকে জানান, স্থানীয় কাউন্সিলরকে জানিয়েই তিনি ওই মদের দোকান খুলতে গিয়েছিলেন। যদিও ১১ নম্বর ওয়ার্ডের স্থানীয় কাউন্সিলর কালিপদ নায়েক কল্যাণীদেবীর এই দাবি মেনে নেন নি। সংবাদমাধ্যমের খবরে প্রকাশিত, তিনি নাকি পুরো ঘটনায় হতবাক। এমনকি, খড়্গপুরের পুরপ্রধান প্রদীপ সরকার বিস্মিত হয়ে মন্তব্য করেছেন, ওখানে তো কল্যাণী ঘোষকে কেউ যেতে বলেন নি। তাহলে তিনি ওখানে কেন গিয়েছিলেন? কে তাঁকে দায়িত্ব দিয়েছে লোকালয়ের মধ্যে বন্ধ থাকা একটি মদের দোকান খোলানোর? কোন নির্দেশের ভিত্তিতে তিনি গিয়েছিলেন? এমনকি আবগারি দপ্তর সূত্রেও ওই মদের দোকান খোলার কোনো সরকারি নির্দেশের কথা অস্বীকার করা হয়েছে। আপনার মতামত জানান -