এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম > পুরসভার জমা জল নিয়ে তৃণমূল কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে পোস্ট করায়, পা ধরে ক্ষমা চাইতে হল যুবতীকে!

পুরসভার জমা জল নিয়ে তৃণমূল কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে পোস্ট করায়, পা ধরে ক্ষমা চাইতে হল যুবতীকে!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –যতদিন যাচ্ছে ততই সামনে এগিয়ে আসছে পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচন। আর এই নির্বাচনের দিকে লক্ষ্য রেখে বাংলার শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস রাজ্যে নিজের ভাবমূর্তি কে পুনর্প্রতিষ্ঠা করতে সচেষ্ট হচ্ছে। কারণ মুখে স্বীকার না করলেও তৃণমূল নেতাদের অনেকের মধ্যেই কাজ করছে বিজেপি ভীতি। কারণ, গতবছর লোকসভা নির্বাচনে ১৮ টি আসন দখল করে তৃণমূলের ঘাড়ে নিঃস্বাস ফেলছে বিজেপি। এই অবস্থায় মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিম দলের সমস্ত নেতাকে মানবিক হবার ও মানুষের পশে দাঁড়াবার নির্দেশ দিয়েছেন।

কারণ, দীর্ঘসময় ধরে ক্ষমতার অলিন্দে থেকে বহু তৃণমূল নেতা হয়ে উঠেছেন অহংকারী, দাম্ভিক, জনগণের সঙ্গে প্রায় সম্পর্কহীন। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর এই নির্দেশ পাবার পরেও, মালদার ইংরেজ বাজার পৌরসভার তিন নম্বর ওয়ার্ডের বিদায়ী কাউন্সিলার পরিতোষ চৌধরীর বিরুদ্ধে এক ঘৃণ্য ও ন্যাক্কারজনক ঘটনার অভিযোগ উঠলো।

স্থানীয় সংবাদসূত্রে জানা গেছে, প্রবল বর্ষণের ফলে জমা জলে ভর্তি হয়ে গেছে মালদার ইংরেজবাজার পৌরসভার তিন নম্বর ওয়ার্ড।জমা জলে বেহাল হয়ে পড়েছে রাস্তার অবস্থা। অসুবিধায় ভুগছে এলাকার সমস্ত মানুষ। কিন্তু সেখানকার কাউন্সিলরকে অসুবিধার কথা জানিয়েও কোন ফল হয় নি।কাউন্সিলারের নামে এই অভিযোগ করে, সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করেন ওই এলাকার জনৈক যুবতী। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট দেখেই টনক নড়ে কাউন্সিলরের।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আচমকা তিনি দলবল নিয়ে ওই যুবতীর বাড়িতে চড়াও হন। যুবতীকে রীতিমতো হুমকি দিয়ে বলেন, প্রকাশ্য পথে সকলের সামনে তার পা ধরে ক্ষমা না চাইলে , তাকে উচ্ছেদ করা হবে এলাকা থেকে। কোন উপায় না দেখে যুবতীটি কাউন্সিলারের কথায় রাজি হয়ে, তার কাছে ক্ষমা চান। পরে ইংরেজবাজার থানায় গিয়ে ওই কাউন্সিলারের নাম একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ওই যুবতী। যার উপরে ভিত্তি করে পুলিশ এই ঘটনার তদন্তে নাম। তবে কাউন্সিলার পরিতোষ চৌধুরী তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

তাঁর কথায়, “এই ঘটনা সম্পূর্ন মিথ্যে। এটা নিশ্চয়ই বিরোধীদের চাল। আমার নামে কুৎসা রটানো হচ্ছে। আমি শুধু আমার বিরুদ্ধে আনা মিথ্যে অভিযোগের প্রতিবাদ করেছিলাম। কিন্তু তিনি তো এবিষয়ে সাইবার ক্রাইমে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন”। এই ঘটনা মালদায় তৃণমূলের অস্বস্তি ব্যাপকভাবে বাড়িয়ে দিয়েছে।মালদার বিজেপি নেতৃত্ব যুবতীর পক্ষ অবলম্বন করে কাউন্সিলারের উপরে সরব হয়েছেন । মালদা জেলা বিজেপির সহসভাপতি অজয় গাঙ্গুলি এ প্রসঙ্গে বলেছেন, ” তৃণমূলের রাজত্বে যেন তালিবানি রাজ চলছে। পুলিশকে এর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিতে হবে”।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!