এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > আদালতের রায়ে বড়সড় অস্বস্তিতে হেভিওয়েট তৃণমূল সাংসদ

আদালতের রায়ে বড়সড় অস্বস্তিতে হেভিওয়েট তৃণমূল সাংসদ

কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের রায়কে কার্যতই প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়ে ডিভিশন বেঞ্চে গেল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্ট ২১ দিনের মধ্যে বিশ্বভারতীর সমাজবিদ্যা বিভাগের (সোশ্যাল ওয়ার্ক) সহকারী অধ্যাপকের পদ ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ সম্বলিত রায় দিয়েছিলো। সেই রায়কে উপেক্ষা করেই ১৫ দিনের মধ্যে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন করলো। শুধু তাই নয় বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ের উপর স্থগিতাদেশের জন্যও আর্জি জানিয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতি অনুসারে নিজের কর্মস্থলে পুনঃবহাল হতে গেলে আবার একদফা আইনী লড়াইয়ে অংশ নিতে হবে সমাজবিদ্যা বিভাগের (সোশ্যাল ওয়ার্ক) সহকারী অধ্যাপক অনুপম হাজরা’কে।

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

——————————————————————————————-

 এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

উল্লেখ্য হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের রায় দানের পরেই অনুপম হাজরা ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য সবুজকলি সেনের সঙ্গে দেখা করেন এবং আদালতে নির্দেশ অনুসারে তাঁর চাকরি ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানান। কিন্তু বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় সব কিছু আইন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের পদ্ধতি মেনেই হবে। এর পরেই বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ সিঙ্গল বেঞ্চের রায়কে একপ্রকার সওয়াল করেই ডিভিশন বেঞ্চে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। এদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে আদালতে উপস্থিত হয়েছিলেন ভারপ্রাপ্ত কর্মসচিব সৌগত চট্টপাধ্যায়, বিশ্বভারতী ল-সেলের অধিকর্তা অশোক মাহাতো। বিশ্বভারতী সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৩ সালে ৯ই ডিসেম্বর অসম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এক বছরের লিয়েন নিয়ে অনুপম হাজরা বিশ্বভারতীর সমাজবিদ্যা বিভাগে অ্যাসিস্টেন্ট প্রফেসর পদে যোগদান করেন । এরপরে ২০১৪ সালে বোলপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে তিনি তৃণমূল কংগ্রেস দল মনোনীত হয়ে সাংসদ হিসাবে নির্বাচিত হন। ২০১৪ সালে ৩১ শে মে এক বছরের ছুটির জন্য অনুপম হাজরা আবেদন করেন । বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ এই আবেদন মঞ্জুর করেন। সেই মত ২০১৫ সালে ৩১ শে মে-র মধ্যে বিশ্বভারতী কাজে যোগ দেওয়ার কথা। কিন্তু অনুপম বাবু সাংসদ পদে থাকার সুবাদে কাজে যোগ দিতে পারেননি। এরপরে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্দেশ অমাণ্য করার কারণে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ ২ রা জুন তাঁকে বরখাস্ত করা হয়। এই ঘটনা প্রসঙ্গে বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত কর্মসচিব সৌগত চট্টপাধ্যায় বললেন , ” অনুপম হাজরার বিষয়ে আদালত যে রায় দিয়েছিল, তার বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন করেছে।”

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!