শিলিগুড়ি মডেলকে সামনে রেখে ‘ঘর ভাঙতে’ এলে তৃণমূলকে চরম বার্তা অশোক ভট্টাচার্যের রাজ্য May 9, 2018 ” শিলিগুড়ি মহাকুমা পরিষদ দখলের স্বপ্ন অধরাই থেকে যাবে তৃণমূলের।এখানে দল ভাঙতে ঢিল ছুঁড়লে,পাটকেল খেয়ে ঘরে ফিরবেন তৃণমূলনেতারা।” এদিন তৃণমূলকে এই ভাষাতেই আক্রমণ শানালেন শিলিগুড়ি পুরসভার মেয়র প্রাক্তনমন্ত্রী অশোক ভট্টাচার্য। শুধু আক্রমণ করেই ক্ষান্ত হলেন না তিনি সাথে তৃণমূলকে পরামর্শ দিয়ে বলেন যে শিলিগুড়ি মহাকুমা পরিষদের দিকে যেনো তৃণমূল হাত না বাড়ায়।দল ভাঙতে আসলে বইতে পারে উল্টো স্রোত। ভেঙে দেওয়া হবে ঘরবাড়ি। আর সেটা যে ঠিক হবে না।এছাড়াও তিনি জানান যে তাঁদের দলের দিকে নজর দিলে উপযুক্ত সম্মানের পরিবর্তে কেউ কেউ যে বামফন্ট্রের দিকে ঝুঁকবেন তা না বললও সবাই বুঝবে। আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে তবে বামফ্রন্ট আবার অভিযোগে জানিয়েছে যে তৃণমূল দল ভাঙিয়ে আনাস্থা প্রস্তাব আনার খেলায় রত বর্তমানে। সম্প্রতি সিপিএমের পরিষদ সদস্য ছোটন কিস্কুকে দলবদল করিয়ে তৃণমূল নিজেদের দলে যোগদান করিয়েছে। আর তারপরই জল্পনা শুরু হয়েছে শিলিগুড়ি মহাকুমা পরিষদে অনাস্থা আনার। সিপিএম এর জেলা সম্পাদক জীবেশ সরকার আবার এদিন সাংবাদিক সম্মেলন করে তৃণমূলকে সাবধান করে দিয়েছে। তাঁর বক্তব্য হল,রাজ্যে পুলিশ তৃণমূল বলে রাজ্য তৃণমূলের একটি শাখা তৈরি হয়েছে।তাঁদের কাজই হল বিরোধী রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে মামলা করাবিরোধী দলের নেতা নেত্রীদের ধমক দিয়ে শাসকদলের দিকে আনা।তবে এবার অনেক তৃণমূল নেতা বামেদের দিকে ঝুঁকেছে।তাই শাসকদলের উচিৎ পুলিশ তৃণমূল দিয়ে নিজের ঘর সামলানো নয়ত প্রবল বিপদের সম্ভাবনা রয়েছে। আসলে,সম্প্রতি শিলিগুড়ি মহাকুমা পরিষদে অনাস্থা আনার মতো একটি পরিস্থিতি উৎপন্ন হয়েছে। আড়াই বছর পর অনাস্থা আনা যায় এমনটাই বলছে পঞ্চায়েত আইন। ওদিকে বামফ্রন্ট চালিত শিলিগুড়ি মহাকুমা পরিষদ আড়াই বছর অতিক্রম করতে চলেছে। তাই পঞ্চায়েত ভোটের আগে শিলিগুড়ি মহাকুমা পরিষদে ক্ষমতাবদলের আবহ তৈরি হয়েছে রাজ্যের ২০ টি জেলায় এমনটাই জানাচ্ছে রাজনৈতিক সূত্রের খবর। আপনার মতামত জানান -