এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > দলীয়স্তরে ব্যবস্থা নিয়ে হচ্ছে না কাজ, দুর্নীতি ক্রমশ বাড়ছেই, ফের তৃণমূলের বিরুদ্ধে কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ,

দলীয়স্তরে ব্যবস্থা নিয়ে হচ্ছে না কাজ, দুর্নীতি ক্রমশ বাড়ছেই, ফের তৃণমূলের বিরুদ্ধে কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ,


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – ভয়াবহ দুর্যোগ আমপানের দাপটের পর বিভিন্ন জায়গায় তৃণমূলের নিচুতলার নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ উঠতে শুরু করেছিল। এমনি সময়ে সরকারি প্রকল্পের বাড়ি দেওয়া থেকে শুরু করে বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে তৃণমূল নেতারা টাকা আত্মসাৎ করছেন বলে অভিযোগ তোলে বিরোধীরা। তবে ভয়াবহ দুর্যোগের সময় যেভাবে মানুষকে সাহায্য দিতে গিয়ে কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলের নিচুতলার জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে, তাতে ব্যাপক অস্বস্তিতে পড়েছিল শাসকদল।

পরবর্তীতে যাদের বিরুদ্ধে সেই অভিযোগ উঠেছিল, তাদের বিরুদ্ধে দলীয়স্তরে ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। যার ফলে আশা করা হয়েছিল, এবার হয়ত নীচুতলার তৃণমূল কংগ্রেসের জনপ্রতিনিধি থেকে শুরু করে কর্মীরা দলের ভাবমূর্তি রক্ষা করতে আর এইরকম কাজ করবেন না। কিন্তু এবার আবারও তৃণমূলের বিরুদ্ধে উঠল কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ।

সূত্রের খবর, জলঙ্গীর রানীনগর 1 গ্রাম পঞ্চায়েতের বেশকিছু সদস্যদের বিরুদ্ধে এই কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ইতিমধ্যেই ইসলামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের নলবাটা এলাকার তৃণমূলের এক পঞ্চায়েত সদস্য এবং ট্যাকা রায়পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের দক্ষিণ গোপালপুর এলাকার আরও এক পঞ্চায়েত সদস্যের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন সাধারণ মানুষ। যার ফলে ব্যাপক অস্বস্তিতে পড়েছে ঘাসফুল শিবির।

বারবার দলের পক্ষ থেকে যেখানে বলা হচ্ছে, সাধারণ মানুষকে পরিষেবা দিতে হবে এবং কোনো দুর্নীতি করা যাবে না। সেখানে কেন তারা এভাবে দুর্নীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছেন? বিধানসভা নির্বাচনের আগে যদি তৃণমূলের নীচুতলার জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে এরকম অভিযোগ উঠতে শুরু করে, তাহলে তো বিরোধীরা আরও বেশি করে সেটাকে হাতিয়ার করে ময়দানে নামবে! যার ফলে অস্বস্তি তৈরি হবে ঘাসফুল শিবিরের। ইতিমধ্যেই সোমবার ডোমকলের বিডিওর কাছে এই বিষয়টি নিয়ে স্মারকলিপি জমা দিয়েছে সিপিএম।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে ফরওয়ার্ড ব্লকের ইসলামপুর লোকাল কমিটির সম্পাদক কাবাতুল্লাহ শেখ বলেন, “কেবল এই দুটি গ্রাম পঞ্চায়েত নয়। ইসলামপুরে কাটমানির রাজত্ব চলছে। বিধানসভায় সরকার পড়ে যাওয়ার আশঙ্কায় তড়িঘড়ি করে জোরকদমে কাটমানি আদায়ের কাজ চলছে বিভিন্ন এলাকায়।” যদিও বা বিরোধীদের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হলেও, তা অস্বীকার করেছে তৃণমূল কংগ্রেস।

এদিন এই প্রসঙ্গে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে সরব হয়ে গ্রামবাসীরা তাদের ক্ষোভ জানাতে শুরু করেছেন। এই প্রসঙ্গে এলাকার বাসিন্দা আজগর শেখ বলেন, “টাকা না দিলে পরবর্তী কিস্তির টাকা দেওয়া হবে না বলে হুমকি দিয়ে টাকা নেওয়া হয়েছে। আমাদের কাছ থেকে ঘর দেওয়ার নাম করে দাউদ হোসেন কুড়ি হাজার টাকা নিয়েছিল। শেষমেষ কাকুতি-মিনতি করে মাত্র দু হাজার টাকা ফেরত দিয়েছে। গোটা বিষয়টি আমরা বিডিওর কাছে লিখিতভাবে জানিয়েছি।”

যদিও বা তার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ভিত্তিহীন অভিযোগ তোলা হচ্ছে বলে দাবি করেছেন তৃণমূলের দাউদ হোসেন। একইভাবে এই ব্যাপারে বিরোধীদের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলতে দেখা গেছে রানীনগর 1 পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি আমিনুল হাসানকে। এদিন তিনি বলেন, “ভোটের আগে বামেরা নোংরা খেলায় মেতেছে। কাটমানি নিয়ে আমি নিজে মাইক দিয়ে প্রচার করেছি। সামাজিক মাধ্যমে লাইভ করে মানুষকে সচেতন করেছি এবং গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যদের সতর্ক করা হয়েছে। ফলে এমন কোনো ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা নেই।”

কিন্তু মুখে তৃণমূল নেতারা যে কথাই বলুন না কেন, যেভাবে গ্রামবাসীরা তাদের এই অনিয়মের বিরুদ্ধে সোচ্চার হচ্ছেন, তাতে গ্রামের মানুষ যে মিথ্যে কথা বলবে, এমনটা মানতে নারাজ বিশেষজ্ঞরা। যার ফলে তৃণমূলের অন্দরে একটা চাপা অস্বস্তি কাজ করছে। এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, তদন্ত প্রক্রিয়ায় এই ব্যাপারে কি বেরিয়ে আসে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!