এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > স্বাস্থ্য পরিস্থিতি ঠিক হতেই ভিন্ন সুর তৃনমূল পরিবারের ডাক্তারদের

স্বাস্থ্য পরিস্থিতি ঠিক হতেই ভিন্ন সুর তৃনমূল পরিবারের ডাক্তারদের


এনআরএস কান্ড এবং তার জেরে মেডিকেল কলেজের চিকিৎসকদের লাগাতার কর্মবিরতিতে রাজ্যের স্বাস্থ্যব্যবস্থা শিকেয় উঠতে শুরু করেছিল। এদিকে চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে লাগাতার ধর্মঘটে শাসক দল যখন তীব্র অস্বস্তিতে পড়তে শুরু করে, ঠিক তখনই রাজ্যের শাসকদলের হেভিওয়েট নেতা, মন্ত্রী-সাংসদের পরিবারের সদস্যরাও শাসকদলের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে মুখ খোলেন। যা নিয়ে প্রবল অস্বস্তিতে পড়ে ঘাসফুল শিবির।

তবে সম্প্রতি সেই জুনিয়র চিকিৎসকদের নিয়ে সংবাদমাধ্যমের মারফত সরাসরি এক বৈঠকে সকল রাজ্যবাসী মুখ্যমন্ত্রীর বিনয়ী ভাব দেখেছেন। যার জেরে বর্তমানে সেই রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় অচলাবস্থাও কেটে গিয়েছে। স্বাভাবিক হয়েছে হাসপাতালগুলো। আর এরপর থেকেই প্রত্যেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় তৃণমূলের সৈনিকরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূয়সী প্রশংসা করতে শুরু করেছেন।

এমনকি একসময় চিকিৎসকদের এই লাগাতার ধর্মঘটের জেরে কলকাতা পৌরসভার মেয়র তথা রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের কন্যা শাব্বা হাকিম, তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদারের ছেলে বৈদ্যনাথ এবং স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপো আবেশ বন্দ্যোপাধ্যায় সোশ্যাল মিডিয়ায় ডাক্তারদের সমর্থন করে যেভাবে শাসক দলকে বিপাকে ফেলে দিয়েছিলেন, তারাও এখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসা করছেন। এমনকি এই গোটা ঘটনায় বিরোধীদের চক্রান্ত রয়েছে বলে অভিযোগ করতে শুরু করেছেন। সূত্রের খবর,

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

 

এদিন ফিরহাদ হাকিমের কন্যা শাব্বা হাকিম বলেন, “চিকিৎসকদের পেটানো নন্তকুমার হেগড়েকে বিজেপি মন্ত্রী করেছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূলকে অস্বস্তিতে ফেলতেই বিজেপি এই আন্দোলনকে সমর্থন করেছিল। আমি চিকিৎসক হিসেবে গর্বিত যে তাদের এই হেপোক্রেসিতে কেউ পা দেয়নি।”

একইভাবে একসময় ডাক্তারদের আন্দোলনে “রাজনীতি গোল্লায় যাক” এবং “আমি লজ্জিত” বলে শাসকদলের অস্বস্তি বাড়ানো তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষদস্তিদারের ছেলে বৈদ্যনাথ ঘোষদস্তিদারও এদিন এই আন্দোলনে ইতি পড়ায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসা করেছেন। গত সোমবার জুনিয়র ডাক্তার এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অভিনন্দন জানিয়ে তিনি ফেসবুকে লেখেন, “আজ ভারতের গণতন্ত্রের ইতিহাসে ল্যান্ডমার্ক ডে।”

একইভাবে স্বয়ং তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রীর ভাইপো আবেশ বন্দ্যোপাধ্যায় ডাক্তারদের মিছিলে হেঁটে যেভাবে আন্দোলনকারীদের সমর্থন করেছিলেন, আন্দোলনে দমে যেতেই এদিন সরকারের উদ্দেশ্যে এদিন ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছেন।

অনেকে বলছেন, আসলে চিকিৎসকদের এই আন্দোলনে শাসক দলের নেতা-নেত্রীদের নিকটাত্মীয়রা চিকিৎসকদের পাশে দাঁড়ানোয় অস্বস্তিতে পড়ে ছিল তৃণমূল। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সেই জুনিয়র চিকিৎসকদের আলোচনায় সমস্যার সমাধান হওয়ায় এখন শাসকদলের সেই আত্মীয়রাই সরকারকে অভিনন্দনের বন্যায় ভাসিয়ে দিচ্ছেন।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!