এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > বড় পরিবর্তন তৃণমূলে! শিক্ষিত, যোগ্য, পুরনো ও গ্রামীণ নেতাদের গুরুত্ব, মিলছে বড়সড় পদ

বড় পরিবর্তন তৃণমূলে! শিক্ষিত, যোগ্য, পুরনো ও গ্রামীণ নেতাদের গুরুত্ব, মিলছে বড়সড় পদ


2011 সালে রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসার পরেই দলের পুরোনো কর্মীরা গুরুত্ব পাচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠতে শুরু করেছিল। নতুনদের ভিড়ে অনেক শিক্ষিত এবং যোগ্য নেতা কর্মীরা দায়িত্ব না পাওয়ায় তৃণমূলের অন্দরে তৈরি হয়েছিল নতুন বনাম পুরনোদের মধ্যেকার বিবাদ। তবে গত লোকসভা নির্বাচনে দলের কিছুটা ভরাডুবির পর বিভিন্ন জায়গায় দক্ষ সংগঠক, শিক্ষিত এবং যোগ্য নেতা কর্মীদের দায়িত্ব দিতে উদ্যোগী হয় তৃণমূল কংগ্রেস‌। আর এবার সেই ঘটনারই প্রতিচ্ছবি দেখা গেল কৃষ্ণনগর সাংগঠনিক জেলার পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে।

সূত্রের খবর, করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই কৃষ্ণনগর সাংগঠনিক জেলার পূর্ণাঙ্গ কমিটি তৈরি করেন জেলা তৃণমূলের সভানেত্রী তথা সাংসদ মহুয়া মৈত্র। আর এই কমিটিতেই দেখা যায়, শিক্ষিত, যোগ্য নেতা কর্মীদের পাশাপাশি পুরনো দিনের নেতাকর্মীদের জায়গা দেওয়া হয়েছে। জানা গেছে, গোষ্ঠী সংঘর্ষ যাতে না হয়, তার জন্য অনেক ক্ষেত্রে দুই গোষ্ঠীর নেতাদেরও জায়গা দিয়ে বিবাদ মেটানোর চেষ্টা করেছেন মহুয়া মৈত্র।

তবে বেশ কিছু মহিলা মুখের উপস্থিতি এবং শিক্ষিত মুখের উপস্থিতি থাকায় এই নতুন কমিটির ওপর অনেকেই ভরসা রাখতে শুরু করেছেন। গ্রামীণ এলাকার অনেক তৃণমূলের নেতাকর্মীরা এই কমিটিতে জায়গা পাওয়ায় সকলকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে বলে মনে করছেন একাংশ। অর্থাৎ এতদিন তৃনমূলের পদাধিকারীদের নিয়ে নানা মহলে নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল। অনেক যোগ্য ব্যক্তি থাকা সত্ত্বেও, অযোগ্য ব্যক্তিদের জায়গা দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছিলেন দলেরই একাংশ। কিন্তু এবার সেই পরিস্থিতির বদল ঘটানোর চেষ্টা করলেন মহুয়া মৈত্র বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে কৃষ্ণনগর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভানেত্রী মহুয়া মৈত্র বলেন, “কমিটিতে প্রত্যেক ব্লকের প্রতিনিধিদের রাখা হয়েছে। শুধু শহরকেন্দ্রিক নয়, গ্রামীণ এলাকার নেতাদেরও সমান গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। গ্রামীণ এলাকার মানুষ, নেতারা ভোটে আমাদের সব সময় পাশে থাকেন। মহিলা, সর্বধর্মের সকলকে গুরুত্ব দিয়েই কমিটি করা হয়েছে। সব ভাবে নতুন এই কমিটির ভারসাম্য রাখার চেষ্টা হচ্ছে। দলের প্রয়োজনীয় অনুমোদন নিয়েই কমিটি হয়েছে। আমি সবাইকে নিয়ে কাজ করতে চাই। সবাই নতুন করে বাড়তি উৎসাহ নিয়ে কাজ শুরু করবেন, এটাই আশা করব।”

তবে মহুয়া মৈত্র একথা বললেও, দলের অনেকেই নিয়ম মেনে কমিটি করা হয়নি বলে অভিযোগ করতে শুরু করেছেন। কিন্তু তা অবশ্য খন্ডন করে দিয়েছেন নদীয়া জেলা তৃণমূলের পর্যবেক্ষক রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন নতুন এই কমিটির ব্যাপারে নদীয়া জেলা পর্যবেক্ষক তথা মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “নিয়ম মেনেই এই কমিটি হয়েছে। তার অনুমোদনও দেওয়া হয়েছে। বিধানসভা ভোটের দিকে তাকিয়ে যতটা দক্ষ কমিটি করা যায়, তার চেষ্টা করা হয়েছে। নতুন কমিটি হলেই সকলকে জানিয়ে করতে হবে, সবার মত নিতে হবে, এমন কোনো ব্যাপার নেই।”

তবে যে যাই বলুক না কেন, কৃষ্ণনগর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের এই নতুন কমিটিতে পুরনো, শিক্ষিত এবং যোগ্য নেতাদের গুরুত্ব দেওয়ায় দল অনেকটাই সুফল পাবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এখন নতুন এই কমিটিকে নিয়ে জেলার কিছু নেতার আপত্তি থাকলেও, এই কমিটি কাজ করে কতটা সাফল্য আনতে পারে, তার দিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!