এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > ” তৃণমূল এখন আর নিজের রাস্তায় নেই, দল পথভ্রষ্ট হয়েছে” – মমতার অস্বস্তি বাড়িয়ে বিস্ফোরক বার্তা দলত্যাগী হেভিওয়েটের

” তৃণমূল এখন আর নিজের রাস্তায় নেই, দল পথভ্রষ্ট হয়েছে” – মমতার অস্বস্তি বাড়িয়ে বিস্ফোরক বার্তা দলত্যাগী হেভিওয়েটের


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – তৃণমূল দলে তাঁর দম বন্ধ হয়ে আসছে, শুনতে পেয়েছেন তিনি অন্তরাত্মার ডাক; – এ কথা জানাবার পর রাজ্যসভার সাংসদ পদ ও দলের সদস্য পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন তৃণমূলের প্রাক্তন রাজ্যসভার সাংসদ দীনেশ ত্রিবেদী। দল ছেড়ে দেবার পর সংবাদমাধ্যমে তৃণমূলের বিরুদ্ধে একের পর এক বিস্ফোরক অভিযোগ তুললেন তিনি, আগামী বিধানসভা নির্বাচনের পূর্বে বড়সড় অস্বস্তিতে ফেলে দিলেন তৃণমূল দলকে ও দলের সুপ্রিমোকেও। তিনি জানালেন যে, তৃণমূল দলটি পথভষ্ট হয়েছে, এ কারণে দলত্যাগ করা ছাড়া, তাঁর কাছে আর কোন রাস্তাই ছিল না।

তিনি জানালেন, যে পরিবর্তনের দাবি নিয়ে তৃণমূল ক্ষমতায় এসেছিল, এখন আর সে পথে চলছে না তৃণমূল। রাজ্যে হিংসা বন্ধ হওয়ার কোন নামই নিচ্ছে না। আবার, দুর্নীতি বিষয়েও দীনেশ ত্রিবেদী বিদ্ধ করলেন তৃণমূলকে। এ প্রসঙ্গে তিনি জানালেন যে, ইতিপূর্বে তিনি যখন নারদ কান্ড নিয়ে প্রশ্ন করেছিলেন, তখন তৃণমূল তাঁকেই নিশানা করেছিল। তিনি জানালেন যে, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডার গাড়িতে যখন আক্রমণ করা হয়েছিল, তখন তাঁর নিন্দা করেছিলেন তিনি।

দীনেশ ত্রিবেদী জানালেন যে, সরকারের দায়িত্ব হলো সাধারণ মানুষ আর বিশেষ ব্যক্তিদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা। যদি কোন ভুল কিছু হয়, তবে তার জন্য দায়ী হলো প্রশাসন ও প্রশাসনের ওপরে থাকা মানুষেরা। সংবাদমাধ্যমে দীনেশ ত্রিবেদী জানালেন যে, বিধানসভা নির্বাচনের পর নির্বাচনের ফলাফল যদি তৃণমূলের পক্ষে না যায়, তখন তৃণমূল থেকে বলা হবে যে, তিনি হারের পর দল ছেড়ে দিয়েছেন। তিনি জানান, ইতিপূর্বেও তিনি রেল মন্ত্রীর পদ ছেড়ে দিয়েছিলেন। তিনি এখন রাজ্যসভা থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। তৃণমূল, যাঁকে খুশি রাজ্যসভার সাংসদ করে পাঠাতে পারে। এখনো সময় আছে পাঁচ বছরের বেশি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তিনি জানালেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হলেন অত্যন্ত ব্যস্ত মানুষ। আগে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সবসময় কথা হতো তাঁর। তবে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর থেকে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর কথা বলা প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। তিনি অভিযোগ করেছেন যে, তৃণমূল দলটি এখন একটি কোম্পানিতে পরিণত হয়েছে। এখন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলতে গেলে অন্য নেতাদের কাছ থেকে অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন হয়।

তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করে দীনেশ ত্রিবেদী জানালেন যে, তৃণমূলের রাজত্বে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে গালিগালাজ করতে বাধ্য করা হয়। যে যত বড় গালিগালাজ করবে, তাকে তত বেশি নাম্বার দেয়া হবে। তিনি অভিযোগ করলেন, এটা বাংলার সংস্কৃতির বিরুদ্ধে। আর এটা কখনই করতে চাননি তিনি।

এরপর জয় শ্রীরাম স্লোগান সম্পর্কে দীনেশ ত্রিবেদী জানালেন যে, জয় শ্রীরাম স্লোগান নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কেন এত সমস্যা? তার জবাব একমাত্র তিনিই দিতে পারবেন। এভাবেই দল ছাড়ার পর দলকে একহাত নিলেন প্রাক্তন রেলমন্ত্রী দীনেশ ত্রিবেদী একেবারে সংবাদমাধ্যমের সামনে। ফলত নির্বাচনের পূর্বে তৃণমূলের অস্বস্তিও বাড়িয়ে দিলেন তিনি বহুগুণে।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!