এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > মিটছে দূরত্ব? ফিরছেন তৃণমূলে? ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে বয়ান দিয়ে জল্পনা তীব্র করলেন প্রাক্তন সাংসদ!

মিটছে দূরত্ব? ফিরছেন তৃণমূলে? ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে বয়ান দিয়ে জল্পনা তীব্র করলেন প্রাক্তন সাংসদ!

এনআরসি – র প্রতিবাদে মতুয়াদের ধরনায় দেখা মিলছে না মমতাবালা ঠাকুরের, আর এই নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছিলেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক যা নিয়েই জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছিলো রাজ্য জুড়ে। তিনি বলেছিলেন “কে এল, কে এল না, তাতে কিছু যায় আসে না। মতুয়া কোনও পরিবারের না। উনি আসবেন, আসবেন না, ওনার ব্যাপার। উনি অসুস্থ আমায় বলেছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মতুয়াদের কাছে রয়েছে।”

যদিও প্রথম দিন জানিয়েছিলেন, “মমতা ঠাকুর অসুস্থ। তাই আজ আসবেন না। উনি আমাদের সঙ্গেই আছেন। উনি কালকে আসবার চেষ্টা করবেন।” এ বিষয়ে মমতাবালা ঠাকুরকে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, এটা যে মতুয়াদের ধর্না এবিষয়ে তিনি কিছু জানেন না। পরে অবশ্য দল তাঁকে থাকার জন্য বললে তিনি সাফ জানান, আজ অসুস্থতার জন্য আসতে পারবেন না তিনি। এরপরই শুরু জল্পনা। প্রসঙ্গত, লোকসভা নির্বাচনে বনগাঁ থেকে প্রায় ১ লক্ষের কাছাকাছি ভোটে হেরে গিয়েছিলেন মমতাবালা ঠাকুর। তবে কি তারপর থেকেই দলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ছে তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদের? প্রশ্নও উঠেছিল।

কিন্তু এদিন তিনি সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে দিলেন। সম্প্রতি সিএবি নিয়ে তৃনমূলের ধর্না মঞ্চে অনুপস্থিত থাকায় দলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ছে কিনা?এমন প্রশ্নের উত্তরে জানান যে, তৃনমূলে ছিলাম আছি। এখনও দলত্যাগের কোন বিষয় আসেনি। সুপ্রিমোর নির্দেশ মতই চলবো। এদিন তিনি পরিস্কার বলেন। আমাদের অর্থাত্‍ মতুয়াদের আন্দোলনে দাবি ছিল নিঃস্বার্থ নাগরিকত্বের। কিন্তু বিল সে কথা বলছে না। সেখানে ছয় বছর থাকার পর অবেদন করার বিষয় বলা হয়েছে। এটা নিঃস্বার্থ নয়।
সাথেই তিনি বলেন যে, ‘যারা একবার এই দেশে এসে গেছেন তাদের কোনও লিখিত দরখাস্ত বা কোন ডকুমেন্ট জমা দিয়ে নাগরিকত্ব নিতে হবে এটা আমরা মানবো না।নাগরিকত্ব বিল সমর্থন করছি না। কারন এই বিলে নিঃস্বার্থ ভাবে মতুয়াদের জন্য কিছু করা হয়নি। পাশাপাশি জন্মসুত্রে নাগরিকত্ব এর বিষয়েও বিলে কিছু বলা হয় নি। ‘

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন তিনি আরো বলেন, “সি এ বিল টি সাধারন মানুষের পক্ষে বোঝা যথেষ্ট কঠিন। আমরা এই বিলে মটেও সন্তুষ্ট নই। এই বিল আমরা মানছি না।আমরা কোন রকম দরখাস্ত জমা দিয়ে নাগরিকত্ব নিতে রাজি নই। আমাদের নিঃশর্ত নাগরিকত্ব দিতে হবে। আমার শাশুড়ি ,শশুর মশাই আমার স্বামী নিঃশর্ত নাগরিকত্ব চেয়েছিলেন মতুয়াদের জন্য সেই মত তারা সারা জীবন লড়াই করে গেছেন সেখানে এই বিল মেনে নেওয়ার প্রশ্নই নেই।তৃণমূলের এই বিধায়ক দাবি করেন, কিছু সংখ্যক মতুয়া এই বিল সমর্থন করছেন ঠিকই। কিন্তু তারা জানেন না আগামী দিন কি আসতে চলেছে। কারন এই বিলে ৬ বছর দেশে থাকার পর কি কি নিয়ম মানা হবে নাগরিকত্ব প্রদানের ক্ষেত্রে সেটা স্পষ্ট করা নেই।’

তিনি আরো বলেন ‘কেউ কেউ বলছেন আমি এই বিল সমর্থন করেছি কিন্তু এটা ভুল কথা । আমরা শুধু বলেছিলাম এই বিলটা বিধানসভায় পাস হওয়া বাকি আছে ।পাস হলে আমরা দেখবো যে এই বিল মতুয়াদের জন্য কতটা উপযোগী। কিন্তু এখন দেখছি এটা কোন ভাবেই আমাদের সমর্থন পাওয়ার যোগ্য বিল নয়। তাই আগামী দিনে আমরা এই বিলের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামবো।’

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!