এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > তৃণমূলের “ঘর ওয়াপসি” আটকে উত্তর জুড়ে পদ্ম ফোটাতে ঘাস-শিবিরে বড় ভাঙন ধরালেন নিশীথ প্রামাণিক

তৃণমূলের “ঘর ওয়াপসি” আটকে উত্তর জুড়ে পদ্ম ফোটাতে ঘাস-শিবিরে বড় ভাঙন ধরালেন নিশীথ প্রামাণিক


 

কোচবিহার জেলায় কারা শেষ হাসি হাসবে, তা নাকি ঠিক করে মদনমোহন ঠাকুর। তাইতো ভোটের আগে নির্বাচনী প্রচারে প্রায় সকলেই সেই ঠাকুরের আশীর্বাদ নিতে যায়। হয়ত বা প্রাক্তন তৃণমূল নেতা তথা বর্তমান কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ নিশির প্রামাণিক সেই আশীর্বাদটা একটু বেশিই পেয়েছেন। আর তাইতো কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্র তৃণমূলের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে বিজেপি সাংসদ হওয়ার পর থেকেই জেলাজুড়ে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যদের বিজেপিতে যোগদান করাতে সক্ষম হন তিনি।

বস্তুত, কোচবিহারের বিজেপি সাংসদ নিশীথ প্রামাণিকের বাড়ি ভেটাগুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতে। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর ভেটাগুড়ি 1 এবং ভেটাগুড়ি 2 গ্রাম পঞ্চায়েত তৃণমূল দখল করলেও লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি এখানে জয়লাভ করার সাথে সাথেই সেই পঞ্চায়েতের সদস্যরা গেরুয়া শিবিরে নাম লেখান। তবে এর কিছুদিন পরে ফের এখানে দলবদলে পালা অনুষ্ঠিত হয়। ভেটাগুড়ি 2 গ্রাম পঞ্চায়েতটি বিজেপির কাছ থেকে ফের দখলে নিয়ে নেয় তৃণমূল।

আর এহেন একটা পরিস্থিতিতে ভেটাগুড়ি 2 গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ও এক পঞ্চায়েত সদস্যকে বিজেপিতে যোগদান করাতে সক্ষম হলেন কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক। যার ফলে এখন কোচবিহার জেলা জুড়ে শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক আলোড়ন। অনেকেই বলছেন, লোকসভা নির্বাচনের সময় থেকেই এই ভেটাগুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত নিয়ে শাসক-বিরোধী দুই দলের মধ্যে প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছিল।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

 

 

শেষ পর্যন্ত কোন দল এই পঞ্চায়েত দখলে রাখবে, তা নিয়ে বৈচিত্র্যপূর্ণ লড়াই লক্ষ্য করা গিয়েছিল। আর এবার শেষ পর্যন্ত কোচবিহারের তরুণ বিজেপি সাংসদ নিশীথ প্রামানিক সেই ভেটাগুড়ি 2 পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ও এক পঞ্চায়েত সদস্যকে তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগদান করিয়ে এই পঞ্চায়েত তাদের দখলে আনার কাছাকাছি পৌঁছে গেল বলে মত রাজনৈতিক মহলের।

এদিন এই প্রসঙ্গে কোচবিহার জেলা বিজেপির সভানেত্রী মালতী রাভা রায় বলেন, “ভেটাগুড়ি 2 গ্রাম পঞ্চায়েত আগে আমাদের দখলে ছিল। বর্তমানে তৃণমূলের দখলে থাকলেও সেখানকার উপপ্রধান ও একজন গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য গত সোমবার আমাদের দলে যোগ দিয়েছেন। তাদের জোর করে দলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তারা স্বেচ্ছায় আমাদের দলে ফিরে এসেছেন। আরও পঞ্চায়েত সদস্যদের আসার সম্ভাবনা রয়েছে।” আর নিশীথ প্রামাণিকের খাসতালুকে তৃণমূলের উপপ্রধান এবং এক সদস্য বিজেপিতে যোগদান করায় তারা কি ব্যাকফুটে পড়ল না!

এদিন এই প্রসঙ্গে কোচবিহার জেলা তৃনমূলের সভাপতি বিনয় কৃষ্ণ বর্মন বলেন, “বিজেপি টাকা দিয়ে ওদের ধরে রাখার চেষ্টা করছে। এসব করে কোনো লাভ হবে না।” সব মিলিয়ে অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগের ভিত্তিতে এখন ভেটাগুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতে শেষ পর্যন্ত কে শেষ হাসি হাসে, সেদিকেই তাকিয়ে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!