এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > তৃণমূলের “ঘরওয়াপসি” মন্ত্রে বড়সড় ফ্যাসাদে পড়তে চলেছেন বিজেপি “নব্যরা!” “পৌষমাস” আদিদের

তৃণমূলের “ঘরওয়াপসি” মন্ত্রে বড়সড় ফ্যাসাদে পড়তে চলেছেন বিজেপি “নব্যরা!” “পৌষমাস” আদিদের

 

লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি সাফল্য পাওয়ার পর দলে নতুন নেতাকর্মীদের বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছিল। কিন্তু দলের পুরোনো নেতাকর্মীরাই তার সম্পদ বলে বারবার দাবি করেছে বিজেপির একাংশ। তবে এবার বুথ, মন্ডল এবং জেলাস্তরে দলের পুরোনো নেতাকর্মীদের উপরই ভরসা রাখতে চলেছে গেরুয়া শিবির। তবে পুরনো নেতা কর্মীদের দায়িত্ব দিলে লোকসভা ভোটে দলের সাফল্যের পর যেভাবে অন্য দল থেকে বিজেপিতে নেতাকর্মীরা যুক্ত হয়েছে, তাদের কী হবে তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে তৈরি হয়েছে সংশয়। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সারা বাংলায় বর্তমানে বিজেপির সাংগঠনিক নির্বাচন প্রক্রিয়া চলছে।

বিভিন্ন জেলায় মন্ডল সভাপতি নির্বাচনের পাশাপাশি অন্য দল থেকে আসা নেতাকর্মীদের বহর বাড়ছে গেরুয়া শিবিরে। তবে লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি সাফল্য পাওয়ার পর তৃণমূল ও অন্যান্য দল থেকে আসা হেভিওয়েট নেতা কর্মীরা বিজেপিতে যোগ দিলেও যেভাবে বর্তমানে ফের তারা তৃণমূলে ফিরতে শুরু করেছেন, তাতে বিজেপি প্রবল চিন্তায় ভুগছে। আর তাইতো দলের পুরোনো নেতা-কর্মীরা নিজেদের সম্পদ বলে মনে করে সেই পুরনোদের বেশি দায়িত্ব দিতে চলেছে বিজেপি।

শোভন চট্টোপাধ্যায় থেকে শঙ্কুদেব পণ্ডা,সব্যসাচী দত্ত,বা অন্যান্য হেভিওয়েট নেতারা বিজেপিতে যোগদান করলেও শোভন চট্টোপাধ্যায় আবার তৃণমূলে ফিরে যাবেন বলে নানা মহলে জল্পনা চলছে। তাই তো নতুনদের গুরুত্ব দিলে তারা ফের তাদের পুরনো দল তৃণমূলে ফিরে যেতে পারেন বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছে বিজেপি। আর তাই তো এবার মন্ডল সভাপতি থেকে বুথ সভাপতির নির্বাচনে পুরনো নেতাকর্মীদের ওপরই ভরসা রাখছেন গেরুয়া শিবিরের নেতৃত্বরা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে বিজেপির এক শীর্ষ নেতা বলেন, “এই মুহূর্তে রাজ্যে একাধিক জেলা রয়েছে যেখানে তৃণমূল, কংগ্রেস ও সিপিএম থেকে আসা নেতারা আমাদের পুরোনো নেতৃত্বের থেকেও কার্যকর। তাদের জেলা সভাপতি পদে বসিয়ে দেওয়ার পর টাকা কিংবা অন্য কোনো অন্য লোভ দেখিয়ে তৃণমূলের তুলে নিয়ে গেলে দলের মুখ পুড়বে। তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, দলের অনুগত পুরনো সৈনিকদের সামনের সারিতে রাখা হবে।” তবে যে সমস্ত নেতাকর্মীরা বিজেপিতে সদ্য যোগ দিয়েছেন অন্য দল থেকে, তারা এতে প্রবল ক্ষিপ্ত হতে শুরু করেছেন বলে দাবি একাংশের।

তাদের অনেকের দাবি, রাজনীতিতে নতুন- পুরনো বলে কিছু নেই। যারা একসময় যুব কংগ্রেসের ছিলেন, তারাই এখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অধীনে কাজ করছে বলেও নানা উদাহরণ দেওয়ার চেষ্টা করে চলেছেন। কিন্তু বিজেপি এই ব্যাপারে অন্য যুক্তি খাড়া করছে। তাদের দাবি, যদি তৃণমূল ছেড়ে সমস্ত নেতাকর্মী বিজেপিতে আসতে পারেন, তবে তারা যেকোনো সময় বিজেপি ছেড়ে অন্য কোনো দলে যেতে পারেন।

তাই তাঁদের গুরুত্ব না দিয়ে এখন পুরনো নেতাকর্মীদের গুরুত্ব দেওয়া উচিত। কিন্তু যে বিজেপি ক্ষমতা দখলের আশা করছে, তারা যদি নতুন এবং পুরনোকে সংমিশ্রন না করে এগিয়ে চলে, তাহলে তাদের পক্ষে তা সমূহ বিপদ। তাই সেদিক থেকে যদি বিজেপি তাদের পুরনো নেতৃত্বদের গুরুত্ব দেওয়ার কথা ভাবে, তাহলে তাদের কর্মী কিভাবে বৃদ্ধি পাবে! তা নিয়ে প্রশ্নটা থেকেই যাচ্ছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!