এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > 285 তে 283! বিরোধীদের রিঙের বাইরে ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে বড়সড় জয় ছিনিয়ে নিল ঘাসফুল শিবির

285 তে 283! বিরোধীদের রিঙের বাইরে ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে বড়সড় জয় ছিনিয়ে নিল ঘাসফুল শিবির


2019 এর লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস বাংলা থেকে 22 টি আসন পাওয়ার পর অনেকেই ভেবেছিল, এবার হয়ত তৃণমূলের বিজয়রথ থেমে যাবে। কিন্তু তা তো হয়ইনি, উল্টো লোকসভার 6 মাস পেরোতে না পেরোতেই রাজ্যের তিন বিধানসভা উপনির্বাচনে ব্যাপক জয় পেয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। তবে অনেকেই সেই উপনির্বাচনের ফলাফল দেখে বলেছিল, বিধানসভা নির্বাচনের সঙ্গে উপনির্বাচনের কোনো সম্পর্ক নেই।

তাই এক্ষেত্রে মানুষ শাসকদলের সঙ্গে ভয় থাকলেও বিধানসভায় তারা আসল জবাব দেবে। কিন্তু সেই নিন্দুকদের দাবিকে মিথ্যে করে এবার ছাত্র সংসদ নির্বাচনেও বড়সড় জয় পেল তৃণমূলের ছাত্র সংগঠন তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। বস্তুত, দীর্ঘদিন ধরেই রাজ্যের কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্র সংসদ নির্বাচন না হওয়া নিয়ে সরব হতে দেখা গিয়েছিল বিরোধী রাজনৈতিক সংগঠনগুলোকে।

তবে সম্প্রতি প্রেসিডেন্সির পর রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় সেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে ব্যাপক সাফল্য পায় তৃণমূল কংগ্রেস। জানা যায়, 285 আসনবিশিষ্ট রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথমেই 274 টি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে যায় তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। ফলে বাকি 11 টি আসনে কে জিতবে, তা নিয়ে চলছে নানা জল্পনা। অবশেষে এই 11 টি আসনের মধ্যে নয়টি আসনেই জয়লাভ করল তৃণমূল ছাত্র পরিষদ।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বাকি দুটি আসন দখল করেছেন নির্দল প্রার্থীরা। আর তিন বিধানসভার উপনির্বাচনের পর ছাত্র সংসদ নির্বাচনেও তৃণমূলের এই সাফল্য এখন রীতিমত উজ্জীবিত করছে ঘাসফুল শিবিরকে। বিশ্লেষকরা বলছেন, কলেজ ক্যাম্পাসে দীর্ঘদিন ধরেই সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলেছে বিরোধীরা।

তবে বিরোধীদের সেই অভিযোগকে দমিয়ে দিয়ে যেভাবে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় ক্ষমতা দখল করল তৃণমূল ছাত্র পরিষদ, তাতে সত্যিই বিরোধীরা অনেকটাই ব্যাকফুটে চলে গেল। পাশাপাশি যে বাম, কংগ্রেস, বিজেপি তৃণমূলের বিরুদ্ধে সোচ্চার হত, এদিন রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে সেই বাম, কংগ্রেস এবং বিজেপির ছাত্র সংগঠনকে একটি আসনও দখল করতে দেখা যায়নি।

ফলে বিধানসভা উপনির্বাচনের পর ছাত্র সংসদ নির্বাচনেও প্রমাণিত হল, বাংলার মানুষ এখনও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর ভরসা রাখছে বলে মত রাজনৈতিক মহলের একাংশের। তবে বিরোধীরা অবশ্য জানাচ্ছেন, এইসব ছাত্র নির্বাচনে ‘গায়ের জোর’ দেখাচ্ছে শাসকদল, আসল জনমতের প্রতিফলন হচ্ছে না। যা কার্যত উড়িয়ে দিচ্ছে শাসকদল। কিন্তু, এই রাজনৈতিক তরজাতেই প্রমাণিত – ছাত্রভোটও বঙ্গ-রাজনীতিতে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে চলেছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!