এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > লকডাউনে পোয়া বারো! বেদখল হয়ে যাচ্ছে একের পর এক সরকারি জমি! ক্ষোভ বাড়ছে তৃনমূলের অন্দরেই

লকডাউনে পোয়া বারো! বেদখল হয়ে যাচ্ছে একের পর এক সরকারি জমি! ক্ষোভ বাড়ছে তৃনমূলের অন্দরেই


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –কথায় আছে, কারো পৌষমাস তো কারো সর্বনাশ। বিভিন্ন জায়গায় লকডাউনের জেরে রুজি-রুটির টান পড়েছে সাধারণ মানুষের। তবে এই লকডাউনে একাংশের ব্যাপক বাড়বাড়ন্ত দেখা যাচ্ছে। যার ফলে শিলিগুড়ি শহরে বহু সরকারি জমি বেদখল হয়ে যাচ্ছে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, শিলিগুড়িতে বেআইনি নির্মাণ এবং জবর-দখলের দীর্ঘদিনের সমস্যা রয়েছে। সম্প্রতি করোনা পরিস্থিতির কিছুদিন আগেই রাজ্যের পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেবের উদ্যোগে বিশেষ অভিযান চালিয়ে জবরদখলকারীদের উচ্ছেদ করা হয়। কিন্তু লকডাউনের ফলে সমস্ত জায়গা শুনশান হয়ে যাওয়ায় আবার সেই জবরদখলকারীরা বিভিন্ন সরকারি জায়গা দখল করে দোকান বসাতে শুরু করেন।দেখা যায়, গলি রাস্তার পাশে দোকান গজিয়ে উঠেছে। সম্প্রতি এই ব্যাপারে সরব হয়েছিলেন দার্জিলিং জেলা তৃণমূল সভাপতি রঞ্জন সরকার। আর এই ব্যাপারে উদ্যোগ নিলেন রাজ্যের পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেব।

সূত্রের খবর, মঙ্গলবার এনজিপিতে মালগাড়ির রেক খালি করা নিয়ে ব্যবসায়ী এবং শ্রমিকদের মধ্যে বিরোধ মেটান গৌতমবাবু। আর সেখানেই তিনি জেলাশাসককে নির্দেশ দেন, বেআইনি নির্মাণ ভেঙে দেওয়ার জন্য।ইতিমধ্যেই এই ব্যাপারে একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছে। যেখানে রয়েছেন রাজগঞ্জের বিডিও, দার্জিলিং জেলা তৃণমূলের সভাপতি, শ্রমিক ইউনিয়নের প্রতিনিধি, ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন এবং ব্যবসায়ী সংগঠনের প্রতিনিধিরা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে জেলাশাসককে নির্দেশ দিয়ে রাজ্যের পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেব বলেন, “লকডাউন পর্বে শহরের কিছু এলাকায় সরকারি জমি দখল হয়েছে। শহরের 42 নম্বর ওয়ার্ড একটি কনভেন্ট স্কুলের কাছে সরকারি জমিতে দোকান বসানো হয়েছে। একটি চা বাগানের জমি দখল করা হয়েছে। এসব কোনোভাবেই বরদাস্ত করা হবে না। বেআইনি নির্মাণ ভেঙে সরকারি জমি উদ্ধারের নির্দেশ জেলাশাসককে দিয়েছি।”

এদিকে এই ব্যাপারে এক প্রশাসনিক আধিকারিক বলেন, “শীঘ্রই বেআইনি নির্মাণ ভাঙতে এবং জবর দখল উচ্ছেদ করতে অভিযানে নেওয়া হবে। এই ব্যাপারে প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।” বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শিলিগুড়ি শহরে যেভাবে দীর্ঘদিন ধরে সরকারি জায়গা দখল করার অভিযোগ উঠেছিল, তাতে অস্বস্তিতে পড়েছিল প্রশাসন। তবে লকডাউনের আগে এই পরিস্থিতির উন্নতি ঘটাতে গৌতম দেবের উদ্যোগে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল।

কিন্তু লকডাউনের কারণে আবার সেই সমস্ত জায়গায় জবরদখলকারীরা জাকিয়ে বসেছে। তাই পরিস্থিতিকে স্বাভাবিক করতে এবার জেলাশাসককে এই ব্যাপারে কড়া নির্দেশ দিলেন রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রী। এখন জবরদখলকারীদের উচ্ছেদ করতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কি পদক্ষেপ নেওয়া হয় এবং তাতে কতটা সাফল্য পাওয়া যায়, তার দিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!