সরকারি প্রকল্পের বিরোধীতা করে গ্রামবাসীদের সঙ্গে বিক্ষোভ প্রদর্শন তৃণমূলের কলকাতা রাজ্য January 29, 2019 সরকারি প্রকল্পের কাজকে ঘিরে উত্তেজনা ছড়ালো জলপাইগুড়িতে। এদিন ফের ট্রাক টার্মিনাসের জমি চিহ্নিত করতে গিয়ে বিএলআরও আধিকারিকরা বাধার মুখে পড়লেন। রাজ্য সরকারের প্রকল্পের বিরোধীতায় এগিয়ে এলেন স্থানীয় তৃণমূল কর্মী সহ বেশ কয়েকজন বাসিন্দারা। এরে জের মুহূর্তেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দে জলপাইগুড়িতে ট্রাক টার্মিনাস এবং মাকে’টের কাজ করার সিদ্ধান্ত নেয় উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তর। এই প্রকল্পের বাস্তবায়ণের জন্যে সাত একর জমি প্রয়োজন। আর সেই জমি চিহ্নিত করতেই জেলাশাসক শিল্প গৌরি সারিয়ার নির্দেশে বালা পাড়া এলাকায় যান জলপাইগুড়ি সদর ব্লক ভূমি এবং ভূমি রাজস্ব আধিকারিক বিপ্লব হালদার সহ আরো কয়েকজন। জমি মাপঝোপের কাজ শুরু হলেই বাধা দিতে এগিয়ে আসেন খড়িশা গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সুভাষ চন্দ্রের নেতৃত্বে স্থানীয় চাষীরা। এদের সঙ্গে বিক্ষোভ জানাতে তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় পতাকা হাতে এগিয়ে আসেন কয়েকজন। পরিস্থিতি প্রতিকূল হতে দেখে সদলবলে ফিরে যান আধিকারিকরা। স্থানীয় কৃষকদের একাধিক সমস্যা রয়েছে। সেই সমস্যার সমাধান না করে এখানে কোনো প্রকল্পের সূচনা করা যাবে না বলেই সাফ জানিয়ে দিলেন স্থানীয় এক চাষী বিপুল দাস। তাঁর বক্তব্য,”আগে সরকার আমাদের সঙ্গে বসুক। কৃষকদের সঙ্গে আলোচনা না করলে আমরা জমি দেব না।” উপপ্রধান সুভাষ চন্দ্র জানান,জেলায় উন্নয়ন হোক,এটা তাঁদেরও কাম্য। কিন্তু গোটা জমিতে উন্নয়ন হচ্ছে না। এই এলাকায় ১৫ জন কৃষকের জমি রয়েছে। তাঁদের কারো রেকর্ডড জমি,কারো আবার পাট্টার জমি রয়েছে। সেই জমি চিহ্নিত করে কৃষকদের আগে ক্ষতিপূরণ দিক রাজ্যসরকার। তারপরেই কৃষকদের জমিতে রাজ্যসরকারকে প্রকল্প করতে দেওয়া হবে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এ প্রসঙ্গে তৃণমূলের জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি সৌরভ চক্রবর্তী জানান,তিনি ব্লক সভাপতিকে ওই স্থানে পাঠিয়ে তৃণমূলের পতাকা খুলে নিতে বলেছেন। স্থানীয়রা সেখানে পতাকা লাগায়নি,এমনটাই জানিয়েছেন৷ তবে এলাকাবাসী উন্নয়নের বিরোধী নয়৷ তাঁদের দাবী,রাজ্যসরকার আগে তাঁদের সঙ্গে আলোচনায় বসুক। তাঁদের দাবীদাওয়াগুলোকে সরকার গুরুত্ব দিক। এটাই স্থানীয়রা চাইছে। স্থানীয়দের দাবীর ভিত্তিতে তিনি জানালেন,ওখান থেকে কাউকেই উচ্ছেদ করা হচ্ছে না। তাঁদের সাথে আগে আলোচনায় বসে,তাঁদের কথা শুনে তবেই প্রকল্পের কাজ এগোনো হবে। প্রসঙ্গত,এর আগেই একই প্রকল্পের জমি মাপতে এসে বাধার মুখে পড়েছিলেন প্রশাসনের আধিকারিকরা। বি এল আর ও বিপ্লব হালদার জানান,স্থানীয়দের বাধার কারণে ফের জমির মাপঝোপের কাজটা সম্পূর্ণ হল না। গোটা বিষয়টা উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানাবেন বলেই জানান তিনি। উল্লেখ্য,এই জমিতেই আগে ডাম্পিং গ্রাউন্ড,বায়োগ্যাস ইত্যাদি সরকারি প্রকল্পের কাজ করতে এসে সমস্যায় পড়তে হয়েছিল আধিকারিকদের। এবার নতুন সমস্যা তৈরি হল ট্রাক টার্মিনাসের কাজ নিয়ে। আপনার মতামত জানান -