প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – নির্বাচনের আগে একদিকে বিজেপির চাপ এবং অন্যদিকে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার একের পর এক নোটিশে রীতিমত জেরবার তৃণমূল কংগ্রেস। রাজনৈতিকভাবে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করে তৃতীয় বারের জন্য ক্ষমতায় আসতে তৃণমূলের পক্ষ থেকে সব চেষ্টা করা হলেও, একের পর এক নেতাকে জেরা করতে চেয়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার পক্ষ থেকে পৌঁছে যাচ্ছে নোটিশ। যা অস্বস্তি বাড়িয়ে দিচ্ছে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের। আর এই পরিস্থিতিতে জোড়াসাঁকো বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী বিবেক গুপ্তাকে জেরা করতে চেয়ে নোটিশ পাঠাল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। স্বাভাবিক ভাবেই এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে রাজ্য রাজনীতিতে।

সূত্রের খবর, আজ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার পক্ষ থেকে জোড়াসাঁকোর তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী বিবেক গুপ্তাকে একটি নোটিশ পাঠানো হয়। যেখানে আগামী সোমবার তাকে হাজিরা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। মূলত, একটি সংবাদ সংস্থার মধ্যে বিজ্ঞাপন নিয়ে সারদার সঙ্গে কি আর্থিক লেনাদেনা হয়েছে, তার ব্যাপারে জানতেই ইডির পক্ষ থেকে এই নোটিশ পাঠানো হয়েছে বলে খবর। বলা বাহুল্য, এই বিবেক গুপ্তা তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ। এবার তাকে জোড়াসাঁকো বিধানসভার প্রার্থী করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। আর এবার তৃণমূলের এই হেভিওয়েট প্রার্থীর কাছে ইডির নোটিশ পৌঁছে যাওয়া যে শাসক-বিরোধী তরজাকে বাড়িয়ে দেবে, তা বলাই যায়।

তবে ইডির পক্ষ থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থীকে এই নোটিশ পাঠানোর পরেই শাসক দলের পক্ষ থেকে প্রতিহিংসাপরায়ণ আচরণের অভিযোগ করা হয়েছে। তৃণমূলের বক্তব্য, নির্বাচনের আগে এই ধরনের নোটিশ পাঠিয়ে তৃণমূলকে হেয় করার চেষ্টা চলছে। ইতিমধ্যেই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মত তৃণমূল কংগ্রেসের হেভিওয়েট নেতাকে জেরা করতে চেয়ে নোটিশ পাঠানো হয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার পক্ষ থেকে। আর এবার তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী বিবেক গুপ্তাকে জেরা করার জন্য এই ধরনের নোটিশ যে ভোটের মুখে ঘাসফুল শিবিরের অস্বস্তি দ্বিগুণভাবে বাড়িয়ে দিল, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।