এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > অস্থায়ী কর্মীকে মারধরের ঘটনায় উত্তপ্ত স্বাস্থ্যব্যবস্থা, অভিযোগ তৃণমূলের দিকে!

অস্থায়ী কর্মীকে মারধরের ঘটনায় উত্তপ্ত স্বাস্থ্যব্যবস্থা, অভিযোগ তৃণমূলের দিকে!

 

দলের দ্বন্দ্ব থাকলে তা যে দলের শ্রীবৃদ্ধি করে না, তা অতীতেও বারবার প্রমাণিত হয়েছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও তৃণমূলের ভেতরকার দ্বন্দ্ব কমতে দেখা যায়নি। আর এবার তৃণমূলের অভ্যন্তরীণ সেই দ্বন্দ্বের সরাসরি প্রভাব পড়ল সাগর দত্ত মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।

জানা গেছে, সোমবার সকালে এই হাসপাতালে অস্থায়ী কর্মীদের ইউনিয়নের একটি মিটিং চলছিল। আর সেই সময়ই হাসপাতালে মধ্যে একদল বহিরাগত ঢুকে পড়ে। অভিযোগ, পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছে যায় যে, সেই মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অস্থায়ী কর্মী জাভেদ আলিকে ব্যাপক মারধর করা হয়। যার পরেই প্রায় দুই ঘণ্টা কাজ বন্ধ করে রাখেন সেই অস্থায়ী কর্মীরা। পরবর্তীতে প্রাক্তন মন্ত্রী মদন মিত্রের অনুরোধে কর্মবিরতি তুলে নেন তারা। কিন্তু জাভেদ আলীকে কে বা কারা মারধর করলেন! এখন তা নিয়েই উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন।

জানা গেছে, আক্রান্ত ব্যক্তি মদন মিত্রের অনুগামী বলেই পরিচিত। এদিন এই প্রসঙ্গে কাউন্সিলর কালামউদ্দিন আনসারীর ছেলে চন্দন আলি আনসারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করে সেই জাভেদ আলী বলেন, “কাউন্সিলার কালামউদ্দিন আনসারীর ছেলে চন্দন আলী আনসারী লোক পাঠিয়ে আমাকে মারধর করেছে। এর প্রতিবাদে আমরা 3 ঘন্টা কাজ বন্ধ রেখেছিলাম। ওরা আসলে ইউনিয়নের কমিটিতে ঢুকতে চেয়েছিল। তাতে বাধা দেওয়া হয়েছিল। মদনদার কথা মতই আমরা কমিটি গঠন করেছি।”

কিন্তু তার ছেলের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ কি সত্যি! সত্যিই কি চন্দনবাবু তাহলে জাভেদ আলিকে মারধর করেছেন! এদিন এই প্রসঙ্গে সেই কামারহাটি পৌরসভার 6 নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর কালামউদ্দিন আনসারী বলেন, “আমার ছেলে ওখানে যায়নি। মিথ্যা অভিযোগ। আমার ছেলে ওখানে কেন লোক পাঠাবে!”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিকে এই ব্যাপারে প্রাক্তন মন্ত্রী মদন মিত্র বলেন, “ওখানে একটা গণ্ডগোল হয়েছিল। পরিষেবা সোমবারেই স্বাভাবিক হয়ে গিয়েছে। ইউনিয়নের সকলকে নিয়ে মঙ্গলবার বৈঠক করেছি। হাসপাতালে মধ্যে কোনোরকম বিশৃংখলা বরদাস্ত করা হবে না।” কিন্তু অস্থায়ী কর্মীদের ইউনিয়নের কমিটিতে থাকার জন্য তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব যেভাবে প্রকাশ্যে এল, তা কি দলকে অস্বস্তিতে ফেলল না!

এদিন এই ব্যাপারে কামারহাটি পৌরসভার চেয়ারম্যান গোপাল সাহা বলেন, “কোনোরূপ গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নেই। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত বহিরাগতরা হাসপাতালে ঢুকে পড়ে। এটা বন্ধ হওয়া উচিত।” তবে গোপালবাবু যে কথাই বলুন না কেন, যেভাবে তৃণমূলের এক অস্থায়ী কর্মীকে মারধর করার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের কাউন্সিলারের ছেলের বিরুদ্ধে, তাতে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব যে এখন তৃণমূলে জিইয়ে রয়েছে, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত প্রায় প্রত্যেকেই।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!