প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – করোনা থেকে প্রাকৃতিক দুর্যোগ, রাজ্য সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়ে ইতিমধ্যেই সরব হয়েছে বিরোধীরা। রাজ্য সরকার সাধারণ মানুষের পাশে থাকার জন্য নানা উদ্যোগ গ্রহণ করলেও, সেখানে ত্রাণ বিলি থেকে শুরু করে নানা বিষয়ে সবথেকে বেশি সরব হতে দেখা গেছে বিরোধী দল বিজেপি নেতাদের। সেদিক থেকে অত বেশি তৃণমূলের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে দেখা যায়নি বাম এবং কংগ্রেস নেতৃত্বকে। কিন্তু এবার লকডাউনের মধ্যে ভয়াবহ দুর্যোগে ত্রাণ বিলিতে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় তৃণমূলকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী।

সূত্রের খবর, রবিবার তাহেরপুরের এক দলীয় জনসভায় যোগ দিতে এসে এই ব্যাপারে তৃণমূলের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানান এই হেভিওয়েট বাম নেতা। এদিন তিনি বলেন, “যাদের বাড়ি তিনতলা-চারতলা তাদের কুড়ি হাজার টাকা পাইয়ে দেওয়ার নাম করে 18000 টাকা নিয়ে নিয়েছে ওরা। ওরা মনে করছে সরকার তো আর টিকবে না। তাই শেষ খাওয়া খেয়ে নিচ্ছে তৃণমূল। মনে করেছে এটা শেষ সুযোগ।”

অন্যদিকে তৃণমূলকে দুর্নীতির ব্যাপারে আক্রমণ করার পাশাপাশি কেন্দ্র এবং রাজ্যের বিরুদ্ধেও সরব হতে দেখা গেছে এই সিপিএম নেতাকে। এদিন তিনি বলেন, “আমরা পাগলের রাজত্বে আছি। লকডাউন না লকডাউন নয়, প্রথম থেকে বলছি, এটা বিশেষজ্ঞরা ঠিক করবে। প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী তারা এমন সময় লকডাউন করছেন, আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে গেল। আবার বেড়ে গেলে অফিস বাজার চালু করে দিলেন। কোনো বুদ্ধি নেই। যারা অপরিকল্পিতভাবে লকডাউন করছে, তারাই আবার অপরিকল্পিতভাবে আনলক করছে।”

এদিকে পরিযায়ী শ্রমিকদের ব্যাপারেও এদিন সরব হতে দেখা যায় সুজনবাবুকে। তিনি বলেন, “ভিন রাজ্যের শ্রমিকরা আবার বলছে, আমরা ফিরে যেতে চাই‌। সুস্থ মানুষ কোয়ারেন্টাইনে গিয়ে অসুস্থ হলেও মুখ্যমন্ত্রীর ভুলের জন্য আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে।” এদিকে সাম্প্রতিককালে রাজ্য বনাম রাজ্যপালের সম্পর্কের তিক্ততা যে পর্যায়ে পৌঁছেছে, তাতে এমনিতেই সরগরম হয়ে উঠেছে রাজ্য রাজনীতি।

এদিন এই প্রসঙ্গে মুখ খুলতে দেখা গেছে রাজ্যের বাম পরিষদীয় দলনেতাকে সুজন চক্রবর্তী বলেন, “রাজ্য সরকার এবং রাজ্যপাল কিভাবে কাজ করবেন, তার একটা গন্ডি আছে। সংবিধানকে রক্ষা করাটা সবার কাজ। এতে আমাদের কারো লাভ নেই। রাজায় রাজায় যুদ্ধ হয়, উলুখাগড়ার প্রাণ যায়।”

এদিকে প্রাক্তন সিপিএম সাংসদ জ্যোতির্ময়ী সিকদার বিজেপিতে যোগদান করলেও তিনি আড়াই দিন টিকতে পারবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন সুজন চক্রবর্তী। সব মিলিয়ে তৃণমূলের দুর্নীতি থেকে শুরু করে রাজ্য-রাজ্যপালের তিক্ততা, সব বিষয়ে মন্তব্য করে রীতিমতো শোরগোল তুলে দিলেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী।