উত্তরবঙ্গে অচেনা লোকের আমদানি, বিস্ফোরক অভিযোগ হেভিওয়েট তৃণমূল নেতার! কলকাতা রাজ্য January 5, 2020 নাগরিকত্ব সংশোধনী ইস্যু নিয়ে বর্তমানে তৃণমূল বনাম বিজেপির মধ্যে অহিনকুল সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। ইতিমধ্যেই এই ইস্যুর বিরোধিতা করে তৃণমূল বিজেপির বিরুদ্ধে মানুষে মানুষের দ্বন্দ্ব লাগানোর অভিযোগ তুলতে শুরু করেছে। পাল্টা এর স্বপক্ষে সাধারণ মানুষের কাছে গিয়ে প্রচার করতে শুরু করেছে বিজেপি। সম্প্রতি উত্তরবঙ্গে বিজেপি এই নাগরিকত্ব সংশোধনী স্বপক্ষে মিছিল করার পর পাল্টা তার বিরোধিতায় মিছিল করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। যে মিছিলে নেতৃত্ব দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এই পরিস্থিতিতে নাগরিকত্ব ইস্যু নিয়ে তৃণমূল বনাম বিজেপির তরজার মাঝেই বিজেপির বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন দার্জিলিং জেলা তৃণমূল সভাপতি রঞ্জন সরকার। সূত্রের খবর, সোমবার রঞ্জনবাবু অভিযোগ করেন যে, অশান্তি পাকাতে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের ছত্রছায়ায় কিছু কিছু অচেনা লোক শিলিগুড়িতে ঘোরাঘুরি করছে। যারা মানুষকে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে বোঝাতে শুরু করেছে। আর জেলা তৃণমূল সভাপতির আরএসএসের বিরুদ্ধে এই অভিযোগকে কেন্দ্র করে তোলপাড় হয়েছে সেখানকার রাজনীতি। প্রসঙ্গত, উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলির মধ্যে গেটওয়ে বলে অভিহিত করা হয় শিলিগুড়িকে। আর সেখানেই সংঘের বিরুদ্ধে তৃণমূল নেতার এই অভিযোগ রীতিমতো চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে সর্বত্র। এদিন এই প্রসঙ্গে দার্জিলিং জেলা তৃণমূল সভাপতি রঞ্জন সরকার বলেন, “শহরের কিছু এলাকায় অচেনা লোক ঘোরাঘুরি করছে বলে খবর পেয়েছি। এই অচেনা লোকরা আরএসএসের ছত্রছায়ায় রয়েছেন। তারা মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করছেন। তাদের গতিবিধির ওপর নজর রাখছে আমাদের নজরদারি কমিটি। প্রতিটি বুথে এমন কমিটি করা হয়েছে। ওই কমিটির কাছ থেকে রিপোর্ট পাওয়ার পর বহিরাগতদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে। প্রয়োজন পড়লে থানায় এফআইআর করা হবে। এই বিষয়ে পুলিশের সঙ্গেও কথা হয়েছে।” আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - জেলা তৃণমূলের সভাপতি আরএসএসের বিরুদ্ধে এই ধরনের অভিযোগ করলেও, তা পাল্টা অস্বীকার করেছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ। এদিন এই প্রসঙ্গে আরএসএসের উত্তরবঙ্গের প্রচারক সাধন পাল বলেন, “জাতীয়তাবাদী এই সংগঠনের বয়স প্রায় 125 বছর। এই সংগঠনের একটা ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট আছে। কাজেই আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ঠিক নয়। শিলিগুড়ি সহ উত্তরবঙ্গে আমাদের স্বয়ংসেবকের সংখ্যা বাড়ছে। এখানে আমাদের ভিত যথেষ্ট শক্তিশালী। তাই বাইরে থেকে লোক আনার প্রশ্নই ওঠে না। তৃনমূলের কাছে পুলিশ প্রশাসন আছে। তারা এই ব্যাপারে তদন্ত করতেই পারে।” তবে শুধু আরএসএসের বিরুদ্ধে অভিযোগ করাই নয়, এদিন ভারতীয় জনতা পার্টির বিরুদ্ধেও বিস্ফোরক অভিযোগ আনেন রঞ্জনবাবু। তিনি বলেন, “শিলিগুড়ি সহ দার্জিলিং জেলায় বহু ভোটারের নাম বাদ দেওয়ার চেষ্টা করছে বিজেপি।” কিন্তু বিজেপির তরফে এই অভিযোগকে সম্পূর্ণরূপে অস্বীকার করা হয়েছে। এদিন এই প্রসঙ্গে শিলিগুড়ি সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক আনন্দ বর্মণ বলেন, “রাজনৈতিক জমি হারাতে বসেছে তৃণমূল। তাই দিশাহারা হয়ে ওরা বিজেপির বিরুদ্ধে আবোল তাবোল বকছে। আমরা ওদের তোলা ভিত্তিহীন অভিযোগ নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছি না।” তবে যে যাই বলুন না কেন, শিলিগুড়ি পৌরসভার তৃণমূলের বিরোধী দলনেতা তথা জেলা তৃণমূল সভাপতি যেভাবে সঙ্ঘ এবং বিজেপির বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ তুললেন, তাতে সেখানকার রাজনীতি ক্রমশ উত্তেজনাময় হবে বলেই মত রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের। আপনার মতামত জানান -