এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > হেভিওয়েট তৃণমূল নেতার “অসম্মানে” পাশে দাঁড়াচ্ছে বিজেপি! বাড়ছে ক্রমশ জল্পনা

হেভিওয়েট তৃণমূল নেতার “অসম্মানে” পাশে দাঁড়াচ্ছে বিজেপি! বাড়ছে ক্রমশ জল্পনা

রাজনীতি আর ক্রিকেট খেলায় সবই সম্ভব শেষ মুহূর্তে গোটা খেলা পাল্টে যেতে পারে এই কথা অনেক আগে থেকেই চলছিল। কিন্তু বাংলার রাজনীতিতে তৃণমূলের পাশে বিজেপি দাঁড়াতে পারে একথা এখন অসম্ভব বলে মনে হলেও কিন্তু এরকম একটি কঠিন ঘটনা নিদর্শন পাওয়া গেল দুর্গাপুরে।

সম্প্রতি দুর্গাপুরের একটি কলেজে বাংলা ভাষা ব্যবহারকে কেন্দ্র করে জোর বিতর্ক সৃষ্টি হয় আর এই বিতর্কে তৃণমূল পরিচালিত দুর্গাপুর পৌরসভার মেয়রের পাশে দাঁড়াতে দেখা গেল ভারতীয় জনতা পার্টিকে। জানি রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন এর শেষ নেই। শুক্রবার কলেজের সামনে বাংলা ভাষা ব্যবহারের দাবিতে বিক্ষোভ দেখানো হয়।

উল্লেখ্য, গত বুধবার মাইকেল মধুসূদন মেমোরিয়াল কলেজের অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা বাংলার বদলে হিন্দি ভাষাতে হওয়ায় বিতর্কের সৃষ্টি হয়। আর এই বিতর্কের জেরে ইস্তফা দেন কলেজ পরিচালন সমিতির সভাপতি দিলীপ অগস্থি। এরপরেই বৃহস্পতিবার বিকেল বেলা ভারতীয় জনতা পার্টির গুণীজন সেল ওই ঘটনা নিয়ে দুর্গাপুরের মহকুমা শাসকের কাছে স্মারকলিপি জমা দেন।

উক্ত সেলের আহ্বায়ক অমিতাভ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, রাষ্ট্রভাষা হিন্দি পাশাপাশি মাতৃভাষাকে যথাযোগ্য সম্মান দিতে হবে মাতৃভাষাকে অসম্মান করার অর্থ সংবিধানকে অপমান করা তা মানা যায় না। আর ওই কলেজে বাংলাভাষার পক্ষ নিয়ে মেয়রকে যেভাবে অপমানিত হতে হয়েছে তার তীব্র নিন্দা করছি আমরা। মহকুমা শাসককে দেওয়া স্মারকলিপিতে এর উল্লেখ আছে বলে বিজেপি সূত্রে খবর। আর এরপর থেকেই শুরু হয়ে যায় রাজনৈতিক চাপাউতোর।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তৃণমূলের নেতা উত্তম মুখোপাধ্যায় কটাক্ষ করে বলেন বিজেপি এক ভাষার দেশ পরিণত করতে চায় .তৃণমূলের এর বিরোধী উত্তমবাবু আরো অভিযোগ করেন এসব কথা বলে বিজেপি মানুষের সহানুভূতি অর্জন করতে চাইছেন তবে বিজেপি নেতা অমিত আবু বাবু বলেন ভারতীয় জনতা পার্টি সব ভাষার প্রতি শ্রদ্ধাশীল বাংলাভাষীদের অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা বাংলাতেই হোক এটাই চেয়েছিল মেয়র। এ বিষয়ে তার সঙ্গে আমরা একমত এর মধ্যে কোন রাজনীতি নেই। তবে যাকে নিয়ে সমগ্র চাপানউতোর সেই তিনি অবশ্যই সম্পূর্ণরূপে বিতর্ক থেকে দূরেই থাকতে চেয়েছেন।

তাঁর বক্তব্য, সেদিন যা হওয়ার প্রকাশ্যেই হয়েছে হিন্দিতে সঞ্চালনা হওয়ার দায় আমার ঘাড়ে নিয়ে ত্রুটি স্বীকার করে নিচ্ছি এরপরে কে আমার পদক্ষেপকে সমর্থন করলেন, বা কে বিরুদ্ধে পড়লেন। তা নিয়ে আমার কোনো মাথাব্যথা নেই।

অন্যদিকে গত শুক্রবার কলেজ সামনে বাংলা ভাষাকে অপমান করা হয়েছে এবং কোন নির্দেশে ছেড়ে জোর করে একটি ভাষাকে চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এই অভিযোগে বিক্ষোভ দেখায় দুটি সংগঠন। একটি সংগঠন কলেজে গিয়ে স্মারকলিপি জমা দেয়। সবকিছু মিলিয়ে ভাষাভিত্তিক লড়াই যেমন দুর্গাপুরের মাটিতে চোখে পড়ছে- তেমনি তৃণমূল বিজেপির সহমতের ভিত্তিতে আন্দোলন চোখে পড়ছে। বর্তমান রাজনীতি প্রেক্ষাপটে যে একেবারে বিরলতম দৃশ্য তাই আগামী দিনে গোটা ঘটনায় কোন দিকে মোড় নেয় সেই দিকেই লক্ষ্য রেখেছে বিশেষজ্ঞরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!