এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > এবার তৃণমূলের এই হেভিওয়েট নেতা কি যাচ্ছেন বিজেপিতে, জল্পনা বাড়তেই আটকাতে আসরে মন্ত্রী

এবার তৃণমূলের এই হেভিওয়েট নেতা কি যাচ্ছেন বিজেপিতে, জল্পনা বাড়তেই আটকাতে আসরে মন্ত্রী


লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের খারাপ ফলাফল হওয়ার পরই দলের একাংশ বিদ্রোহ ঘোষণা করতে থাকে। দুর্নীতি, স্বজনপোষনের জন্যই এবারে দলের এই ভরাডুবি বলে সোচ্চার হন অনেক পুরনো তৃণমূল কর্মীরা। পরিস্থিতি এমন জায়গায় যায় যে, দল যখন ক্ষমতায় আসেনি, সেই সময় দলের হাল ধরা অনেক নেতা বিজেপির মুকুল রায়ের হাত ধরে গেরুয়া শিবিরে নাম লেখাতে শুরু করেন।

যার ফলে পুরনো দিনের কর্মীদের হারাতে থাকে ঘাসফুল শিবির। আর এই পরিস্থিতিতে এবার জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূলের অন্যতম নেতা কৃষ্ণ কুমার কল্যাণীও কি বিজেপিতে যোগদান করতে চলেছেন! তা নিয়ে এবার ছড়িয়ে পড়ল জল্পনা। কিন্তু একসময় জলপাইগুড়ি জেলায় তৃণমূলের হাল ধরা এই নেতা কেন হঠাৎ দলবদল করছেন! কেন এই জল্পনা হঠাৎ উসকে উঠতে শুরু করল!

বস্তুত, এবারের লোকসভা নির্বাচনে ভরাডুবির পরই তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কাটমানি নেওয়ার ব্যাপারে সতর্ক করে দিয়েছিলেন। আর তারপরেই দিকে দিকে তৃণমূলের দুর্নীতিগ্রস্ত নেতাদের ঘিরে টাকা ফেরতের দাবিতে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন সাধারন মানুষ। যার ফলে বিরোধীদের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, তৃণমূলের উপর থেকে নিচতলা পর্যন্ত সমস্ত জায়গাতেই দুর্নীতি ছেয়ে গেছে। আর এবার সেই প্রসঙ্গ তুলে ধরেই রবিবার নিজের বাড়িতে বসে দলকে কিছুটা বিড়ম্বনায় ফেলে দেন জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূলের নেতা কৃষ্ণকুমার কল্যাণী।

তিনি বলেন, “নেতারা কাটমানি নেওয়ার জন্যই লোকসভায় তৃণমূলকে হারতে হয়েছে।” এদিকে এই ঘটনার পরই জল্পনা তৈরি হতে থাকে তাহলে হয়তো এবার শিবির বদলাতে পারেনি কৃষ্ণকুমার কল্যাণী। তড়িঘড়ি পরিস্থিতি সামাল দিতে রবিবার সকালে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ার জেলার বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শনে এসে পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেব সেই কিষানবাবুর বাড়িতে চলে যান। জানা যায়, ঘন্টাখানেক দুই নেতার মধ্যে আলোচনা হয়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সূত্রের খবর, এই খানে গৌতম দেব দীর্ঘদিন ধরে দলের হাল ধরে থাকা কৃষ্ণকুমার কল্যানীকে দল না ছাড়ার ব্যাপারে আবেদন জানান। কিন্তু শেষ পর্যন্ত “অনেক সময় পেরিয়ে গিয়েছে। এখন আর এসব বলে কোনো লাভ নেই” বলে গৌতম দেবকে জানিয়ে দেন কৃষ্ণকুমার কল্যাণী বলে খবর।

তবে শুধু গৌতম দেব নয়, পুরনো নেতা কৃষ্ণ কুমার কল্যাণী যাতে দল না ছাড়েন, তার জন্য তৃণমূলের রাজ্যস্তরের অনেক নেতাও এদিন তাকে ফোন করেছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বরফ গলেনি। এদিন কৃষ্ণবাবুর বাড়ি থেকে বেরিয়ে গৌতম দেব বলেন, “কিষানদা দলের পুরোনো নেতা। রাজনীতিতে আলোচনার দরজা সব সময় খোলা থাকে।”

তবে তৃনমূলের তরফে কৃষ্নকুমার কল্যাণীর বিজেপিতে যোগ দেওয়া নিয়ে যতই আটকানোর চেষ্টা করা হোক না কেন, বিজেপি সূত্রের খবর, আগামী সপ্তাহেই জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নেতা কৃষ্ণকুমার কল্যাণী গেরুয়া শিবিরে নাম লেখাবেন।

তবে শুধু তিনিই নয়, তার সাথে আরও কয়েকজন গ্রাম পঞ্চায়েত প্রতিনিধি এবং কয়েকজন কাউন্সিলরও বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন বলে জানা গেছে। আর যদি এই খবর পাকা হয়, তাহলে জলপাইগুড়ি জেলায় শাসকদল যে বড়সড় অস্বস্তিতে পড়তে চলেছে, সেই ব্যাপারে একপ্রকার নিশ্চিত প্রায় প্রত্যেকেই।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!