মমতার ভরসার এই হেভিওয়েট নেতার ঘরে হানা দিল বিজেপি, শাসকদলে বড়সড় ভাঙ্গন কলকাতা নদীয়া-২৪ পরগনা রাজ্য July 1, 2019 লোকসভা নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় 42 এ 42 এর ডাক দিয়েছিলেন। কিন্তু তার সেই স্লোগান পূর্ণ হয়নি। উল্টে গত 2014 সালে তৃণমূল বাংলা থেকে 34 টা আসন পেলেও এবার তাদের দখলে এসেছে 22 টি আসন। অপরদিকে তৃণমূলের ঘাড়ে নিশ্বাস ফেলে বিজেপি বাংলা থেকে 18 টি আসন নিজেদের দখলে রেখেছে। আর রাজ্যে বিজেপির এই অভূতপূর্ব ফলাফলের পরই দিকে দিকে শাসক দল ভেঙে অনেক হেভিওয়েট বিধায়ক, কাউন্সিলররা গেরুয়া শিবিরে নাম লেখাতে শুরু করেছেন। ইতিমধ্যে একটি জেলাপরিষদ বিজেপির দখলে চলে গিয়েছে। পাশাপাশি একাধিক পঞ্চায়েত এবং পৌরসভাতেও গেরুয়া রঙের ছোঁয়া লেগেছে। যা প্রতিদিন, প্রতিমুহূর্তে তৃণমূলের কাছে চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। আর দলের এই ভাঙ্গন রোধ করতে আগামী 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে ইতিমধ্যেই নিজেদের ঘুটি সাজাতে শুরু করেছে ঘাসফুল শিবির। যেনতেন প্রকারে বিজেপির উত্থানকে কিভাবে রোখা যায়, তা নিয়ে ভোটগুরু প্রশান্ত কিশোরকে নিয়োগ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইতিমধ্যেই তৃণমূলের সাফল্যের ব্যাপারে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একাধিক প্রস্তাব দিয়েছেন প্রশান্ত কিশোর বলে জানা গেছে। কিন্তু ভোটগুরু হিসেবে প্রশান্ত কিশোরের এই প্রস্তাবেও তৃণমূলের ভাঙন যাচ্ছে না কিছুতেই। আর তা ফের স্পষ্ট হয়ে গেল শাসকদলের অত্যন্ত শক্তিশালী সংগঠন হিসেবে পরিচিত বেহালায় তৃণমূলের ধ্বস নামাকে কেন্দ্র করেই। সূত্রের খবর, এদিন তৃণমূল মহাসচিব তথা শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিধানসভা এলাকা বেহালা পশ্চিমের রায়বাহাদুর রোডে একটি পথসভা করে বিজেপি। আর সেখানেই বেহালা পূর্ব বিধানসভার 116 ও 117 নম্বর ওয়ার্ড এবং বেহালা পশ্চিম বিধানসভার 118 এবং 119 নম্বর ওয়ার্ডের প্রায় 500 জন তৃণমূল কর্মী বিজেপিতে যোগদান করেন। যাদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু। আর তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতার গড়ে শাসকদলের এহেন ভাঙ্গন দেখেই এখন আতঙ্কিত ঘাসফুল শিবির। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - অনেকে বলছেন, বেহালা পশ্চিমের দায়িত্বে পার্থ চট্টোপাধ্যায় থাকলেও বেহালা পূর্ব বিধানসভার বিধায়ক শোভন চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে অনেকদিন ধরেই দূরত্ব তৈরি হয়েছে তৃণমূলের। সম্প্রতি সম্প্রতি সেই শোভন চট্টোপাধ্যায়ের বিজেপি যোগের জল্পনা তীব্র থেকে তীব্রতর হয়ে ওঠে। এমনকি শোভন চট্টোপাধ্যায় যাতে বিজেপিতে যোগ না দেন, তার জন্য তার কাছে একাধিক আর্জি জানাতেও দেখা যায় তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতৃত্বকে। কিন্তু এবার সেই শোভন চট্টোপাধ্যায়ের পাশের বিধানসভা, পার্থ চট্টোপাধ্যায় যেই বিধানসভার বিধায়ক, সেখানেই বিজেপির শক্তিবৃদ্ধি তৃনমূলের অনেকটাই চিন্তা বাড়িয়ে দিল বলে মত বিশেষজ্ঞদের। সমালোচক মহলের একাংশ বলছেন, খোদ নিজের বিধানসভা এলাকায় তৃণমূল মহাসচিব তার গড় যেভাবে রক্ষা করতে ব্যর্থ হচ্ছেন, তাতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। অন্যদিকে দলের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে দূরত্ব তৈরি করে রাখা বেহালা পূর্ব বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল বিধায়ক শোভন চট্টোপাধ্যায় কি তৃণমূল কাউন্সিলরদের এই দলবদলের পেছনে রয়েছেন! তা নিয়েও শঙ্কা প্রকাশ করেছেন একাংশ। সব মিলিয়ে এবার তৃণমূলের শক্ত ঘাঁটিতে বিজেপির খাবা বসানোয় রীতিমতো আতঙ্কিত ঘাসফুল শিবির। আপনার মতামত জানান -