এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > নদীয়া-২৪ পরগনা > তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে হেভিওয়েট নেতার অনুগামীরা , বড়সড় ধাক্কা শাসকদলে

তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে হেভিওয়েট নেতার অনুগামীরা , বড়সড় ধাক্কা শাসকদলে

লোকসভা নির্বাচনের আগে থেকেই আস্তে আস্তে ভাঙন ধরছিল তৃণমূলে।সবুজ শিবির ছেড়ে গেরুয়া শিবিরে নাম লেখাচ্ছেন অনেকেই। নির্বাচনের ফলাফল জোয়ারের স্রোত এনে দিয়ে সেই ধারা অব্যাহতই রেখেছে। প্রতিদিন ই কোথাও না কোথাও ভাঙ্গন ধরছে তৃণমূলে।

লোকসভা ভোটে যাদবপুরের প্রার্থী মিমি চক্রবর্তী জেতার পিছনেও বড় হাত রয়েছে ভাঙড় ও সেখানকার তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতা আরাবুল ইসলামের। আর সেই ভাঙড়েই এবার ভাঙ্গন ধরলো বিজেপি। জানা যাচ্ছে যে ভাঙড়ের প্রায় 800 তৃণমূলকর্মী গতকাল বিজেপিতে যোগদান করেন। আর এনের সকালেই আরাবুল ইসলামের অনুগামী।

এদিন তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন ভোগালি 2-এর প্রাক্তন তৃণমূল উপপ্রধান সুশীল মণ্ডল, তৃণমূল নেতা শেখ সাহারুল, প্রবীর ঘোষ, মধুমিতা সাধুখাঁ সহ প্রায় 800 জন তৃণমূলকর্মী-সমর্থক বিজেপিতে যোগদান করে।

একাংশের মতে ভাঙড়ের দাপুটে তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলাম, নান্নু হোসেনের এলাকায় তৃণমূল কর্মীদের এভাবে বিজেপিতে যোগ দেন শাসকদলের চাপ বাড়ালো।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

গতকালের যোগদান অনুষ্ঠানের সভায় ভাঙড়ের স্থানীয় নেতৃত্ব ছাড়াও উপস্থিত ছিলেনবিজেপির দক্ষিণ 24 পরগনা জেলা সভাপতি সুনীপ দাস, জেলা সভানেত্রী অমৃতা বন্ধ্যোপাধ্যায় সহ অন্য হেভিওয়েট নেতা নেত্রীরা।

এই যোগদান বিষয়ে, জেলা সভাপতি সুনীপ দাস বলেন, “তৃণমূলের প্রাক্তন উপপ্রধান সহ প্রায় 800 জন বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন । কাতারে কাতারে মানুষ এসে বিজেপিতে যোগ দিচ্ছে । এবার প্রচুর সংখ্যালঘু মানুষ যোগ দিয়েছেন ।”

বিজেপি নেত্রী অমৃতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর বক্তব্যে আগাগোড়া তৃণমূল নেত্রীকে আক্রমণ করেন । তিনি বলেন, “তৃণমূল দলটা এখন ‘তৃণ কাট, মানি মূল’ দলে পরিণত হয়েছে । আর মুখ্যমন্ত্রী চিফ কাটমানি মিনিষ্টার হয়েছেন । যেভাবে তৃণমূলে ভাঙন ধরছে তাতে কয়েকদিন পর দিদি পাগল হয়ে যাবেন । আমরা পয়সা খরচ করে ওঁর চিকিৎসা করাবো ।”

এই নিয়ে মুখ খোলেন আরাবুল ইসলাম। তাঁর দাবি,তৃণমূল নেতা আরাবুলের বক্তব্য থেকে। তিনি বলেন, “কয়েকজন সুবিধাভোগী স্বার্থপর মানুষ আছে । যারা একবার এই ডাল একবার ওই ডাল ধরে । যারা এখানে সুবিধা করতে পারেনি তাঁরাই এখন বিজেপিতে যাবে । “তবে এদিনের এই যোগদানের ফলে চাপ বাড়লো শাসকদলের বলেই মত রাজনৈতিকমহলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!