এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > তৃণমূলের সুযোগ-সুবিধা নিয়ে “বহিরাগতকে” ভোট! অভিমান ঝরে পড়ছে হেভিওয়েট মন্ত্রীর গলায়!

তৃণমূলের সুযোগ-সুবিধা নিয়ে “বহিরাগতকে” ভোট! অভিমান ঝরে পড়ছে হেভিওয়েট মন্ত্রীর গলায়!

সদ্যসমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল 42 এ 42 স্লোগান দিলেও 22 টি আসনে নেমে আসতে হয়েছে তাদের। সারা রাজ্য থেকে প্রায় 18 টির মত আসন দখল করেছে গেরুয়া শিবির। তবে বিজেপি যে সমস্ত আসন দখল করেনি, সেখানেও বিজেপির ভোট প্রবলভাবে বৃদ্ধি হওয়ার ঘটনা লক্ষ্য করা গেছে। তৃণমূলের হেভিওয়েট মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর গড় বলে পরিচিত তমলুকে তৃণমূল জয়লাভ করলেও নন্দীগ্রাম বিধানসভায় তৃণমূলের ভোট কিছুটা কমা নিয়ে মাথায় হাত পড়েছে শাসকদলের।

আর এই পরিস্থিতিতে দলের মধ্যেই অনেকে যে বিরোধী প্রার্থীকে ভোট দিয়ে তৃণমূলকে বিপাকে ফেলেছে, তা বুঝতে বাকি নেই পোড়খাওয়া রাজনীতিবিদ শুভেন্দুবাবুর। সেই প্রসঙ্গের এবার নন্দীগ্রামে ব্রজমোহন তিওয়ারি স্কুলের অডিটোরিয়ামে বিজয়া সম্মিলনীতে এসে রীতিমতো অভিমানের সুর শোনা গেল সেই শুভেন্দু অধিকারীর গলায়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

জানা যায়, এদিনের এই বিজয়া সম্মেলনীতে শুভেন্দু অধিকারীর পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি শেখ সুফিয়ান, নন্দীগ্রাম 1 ব্লক সভাপতি মেঘনাদ পাল, নন্দীগ্রাম 1 পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির মুক্তিরানী মাইতি, নন্দীগ্রাম পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মলিনা দাস, সহ-সভাপতি মহাদেব বাগ সহ সকল স্তরের জনপ্রতিনিধিরা।

আর এই অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে শুভেন্দু অধিকারীর কথায় মাঝেমধ্যেই লক্ষ্য করা যায় অভিমানের সুর। তিনি বলেন, “আমি আজ আপনাদের উদ্বুদ্ধ করতে এসেছি। আমি যতটা পেরেছি, আপনাদের সহযোগিতা করেছি। কিন্তু আমাদের সমস্ত সুযোগ সুবিধা নেওয়ার পরও ঘরের লোককে ছেড়ে দিয়ে নদীয়া থেকে আসা একজনকে ভোট দিয়েছেন। এতে ব্যথা-বেদনা হয়। যন্ত্রণাটা আমাদের ভাবায়। আপনারাই বলুন, লোকসভা ভোটে 23 টা বুথে আমরা লিড পেলাম না কেন! লোকসভা নির্বাচনে আপনারা নন্দীগ্রাম বিধানসভা থেকে 95 হাজার ভোটের লিড হবে বলে কথা দেওয়ার পরও কেন মাত্র 69 হাজার লিড কেন! তৃণমূল করব, শুভেন্দুর সভা ভরাব, কিন্তু ভোটটা অন্য জায়গায় দেব, তারা কারা! তাদের চিহ্নিত করুন। সব দলের পতাকা থাকবে, সবাই রাজনীতি করবে। কিন্তু এইসব ঘটনা সত্যিই আমাকে ব্যথা দেয়।”

বিশেষজ্ঞদের মতে, শুভেন্দু অধিকারীকে নন্দীগ্রামের ঘরের ছেলে বলা হয়। তিনি তৃণমূলের দক্ষ সংগঠক হিসেবেও পরিচিত। কিন্তু তার গড়ে তৃণমূল প্রার্থী জিতলেও ভোটের মার্জিন যেভাবে অনেকটাই কমে এসেছে, তাতে সেই শুভেন্দু অধিকারীর কপালে যে প্রবল চিন্তার ভাঁজ পড়েছে, তা এদিনের বিজয়া সম্মিলনীতে তার বক্তব্য থেকেই আরও একবার স্পষ্ট হয়ে গেল বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

অন্যদিকে এদিন বেশ কিছু উন্নয়নমূলক প্রকল্প নিয়ে সকলকে তদারকি করার নির্দেশ দেন শুভেন্দু অধিকারী। মিড ডে মিলের কাছ থেকে শুরু করে মিশন নির্মল বাংলা, বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি থেকে শুরু করে বিভিন্ন কর্মসূচি ঠিকমত হচ্ছে কিনা, সেই ব্যাপারে দলীয় জনপ্রতিনিধিদের নজর দিতে বলেন তিনি।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বর্তমানে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় অধিকারী পরিবারই শেষ কথা বলে। সদ্য সমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে সেই তৃণমূল এবং অধিকারী পরিবারের গড়ে পদ্ম শিবির কিছুটা হলেও দাঁত ফোটানোয় চিন্তা বাড়ছে ঘাসফুল শিবিরের। আর তাইতো সেই চিন্তা নিরসন করতে বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠানে অভিমানের সুরে তারা সব কিছু করলেও কেন ভোটের লিড এতটা কমল, তা বলে নিজেদের মার্জিন কমার রহস্য উন্মোচন করার চেষ্টা করলেন শুভেন্দু অধিকারী বলে মত রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!