এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > দলের সঙ্গে দূরত্ব কি ক্রমশ বাড়ছে তৃণমূলের হেভিওয়েট এই মন্ত্রীর? জল্পনা সর্বস্তরে

দলের সঙ্গে দূরত্ব কি ক্রমশ বাড়ছে তৃণমূলের হেভিওয়েট এই মন্ত্রীর? জল্পনা সর্বস্তরে

2011 সালের পর 2016 সালে তপন বিধানসভা কেন্দ্র থেকে বিধায়ক হয়েছিলেন তিনি। তারপর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব দিয়েছিলেন। তবে অতীতের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় তৃণমূলের তৎকালীন সভাপতি বিপ্লব মিত্রের সঙ্গে কথায় কথায় দ্বন্দ্ব বাঁধত তপনের বিধায়ক তথা রাজ্যের উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী বাচ্চু হাসদার।

কিন্তু লোকসভা নির্বাচনে বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী অর্পিতা ঘোষ পরাজিত হওয়ার পর সেই বিপ্লব মিত্রকে জেলা সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর সেই জেলা সভানেত্রীর দায়িত্ব পান অর্পিতা ঘোষ। অনেকেই আঁচ করেছিলেন, বিপ্লব মিত্রকে জেলা সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ায় অর্পিতা ঘোষের কাছে বেশি গুরুত্ব পাবেন সেই বাচ্চু হাসদা।

এমনকি জেলা সভাপতির পদ থেকে সরে যাওয়ার পর বিপ্লব মিত্র যখন বিজেপিতে যোগদান করেন, তখন অনেকের মনেই জল্পনা ছড়িয়েছিল, এবার জেলা রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ জায়গা করে নেবেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী। কিন্তু না। জেলা সভানেত্রীর পর যে পদটি সবথেকে বড় গুরুত্বপূর্ণ, সেই কার্যকরী সভাপতি পদটি তপনের বিধায়ককে দেওয়া হবে বলে মনে করা হলেও, শেষ পর্যন্ত তা দেওয়া হয়েছে বালুরঘাটের দেবাশিস মজুমদার এবং হরিরামপুরের সোনা পালকে।

বর্তমানে এই দুই ব্যক্তি অর্পিতা ঘোষের দক্ষিণ এবং বামহস্ত বলে পরিচিত। একসময় বিপ্লব মিত্রের প্রবল বিরোধিতা করলেও, বর্তমানে সেভাবে দল বা প্রশাসনের কোনো কর্মসূচিতেই দেখা যাচ্ছে না বাচ্চু হাসদাকে। যা নিয়ে এবার দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা রাজনীতিতে ছড়িয়ে পড়েছে জল্পনা। তাহলে কি ধীরে ধীরে অন্ধকারে মিলিয়ে যাচ্ছেন বাচ্চুবাবু?

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

যেখানে বিপ্লব মিত্র তৃণমূল থেকে চলে যাওয়ার পর, বাচ্চু হাঁসদা, শংকর চক্রবর্তীদের উত্থান বাড়বে বলে মনে করেছিল একাংশ, সেখানে বাচ্চু হাঁসদার মত গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রীকে কেন ডাকা হচ্ছে না! তা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। অনেকে বলছেন, শংকর চক্রবর্তীকে জেলা রাজনীতিতে কিছু গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দিলেও, বাচ্চু হাঁসদার তেমন কোনো দায়িত্ব নেই। ফলে তিনি কার্যত হারিয়ে যেতে বসেছেন। তাই এই পরিস্থিতিতে দলের বা প্রশাসনের কোনো কর্মসূচিতে তাঁকে দেখা না যাওয়ায়, জল্পনা তৈরি হওয়াই স্বাভাবিক। কেন তাকে কোনো কর্মসূচিতে ডাকা হচ্ছে না!

এদিন এই প্রসঙ্গে নিজের অভিমান কিছুটা হলেও উগরে দিয়েছেন সেই বাচ্চু হাঁসদা। তিনি বলেন, “লোকসভা ভোটে মূলত গোষ্ঠী কোন্দলের জন্যই হার হয়েছে। অনেকেই একে অপরের উপর দোষ দিয়েছেন। তাই আগামী বিধানসভা নির্বাচনে যাতে কোনভাবে আমার উপর দোষ না আসে, সেজন্য নিজেকে আড়াল রাখছি। এখন আমার লক্ষ্য তপন বিধানসভা কেন্দ্রের সংগঠনকে শক্তিশালী করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তা উপহার দেওয়া। নেতৃত্ব চাইছে না আমি গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রমগুলিতে থাকি। তাই সেখানে আমাকে ডাকা হচ্ছে না। আমাকে ডাকা হলে অবশ্যই আমি দলের স্বার্থে সেখানে যাব।”

আর তপনের তৃণমূল বিধায়ক তথা রাজ্যের উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রীর এহেন কথায় নানা জল্পনা উসকে উঠতে শুরু করেছে। অনেকেরই প্রশ্ন, তাহলে কি এবার দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা রাজনীতিতে পরোক্ষে অর্পিতা ঘোষের বিরুদ্ধেই সরব হতে চলেছেন বাচ্চু হাসদা?

যদি এই প্রশ্নের উত্তর হ্যাঁ হয়, তাহলে তা যে আগামী বিধানসভা নির্বাচনের ক্ষেত্রে তৃণমূলের কাছে বড়সড় ধাক্কা, সেই ব্যাপারে একপ্রকার নিশ্চিত প্রায় সকলেই। এখন গোটা পরিস্থিতি কোন দিকে এগোয়, দলের গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচিতে আদৌ ডাক পান কিনা বাচ্চু হাঁসদা! সেদিকেই নজর থাকবে রাজনৈতিক মহলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!