এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > পুজো মিটতেই বিধানসভার গেমপ্ল্যান শুরু তৃণমূলের? স্বয়ং হেভিওয়েট মন্ত্রীর অ্যাকশনে জল্পনা!

পুজো মিটতেই বিধানসভার গেমপ্ল্যান শুরু তৃণমূলের? স্বয়ং হেভিওয়েট মন্ত্রীর অ্যাকশনে জল্পনা!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –সামনের 2021 এর বিধানসভা নির্বাচন। করোনা ভাইরাসের কারণে এবার শারদ উৎসবে কিছুটা হলেও ভাটা পড়েছে। শুধু তাই নয়, বিজয়াদশমীতেও যাতে কেউ কোলাকুলি এবং শুভেচ্ছা বিনিময়ে বেশি না মাতেন, তার জন্য বার্তা দেওয়া হয়েছে সকলকে। কিন্তু এমন পরিস্থিতিতে “ভোট বড় বালাই” সেকথা চিন্তা করে আগামী বিধানসভা নির্বাচনের প্রেক্ষাপট তৈরি করতে এবং নিজেদের দিকে সমর্থন টানতে এক অভিনব জনসংযোগের পথ বেছে নিলেন রাজ্যের মন্ত্রী শ্যামল সাঁতরা। যেখানে দলের কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে রীতিমতো লাড্ডু বিতরণে নেমে পড়লেন রাজ্যের এই হেভিওয়েট মন্ত্রী। যাকে দেখে অনেকেরই চক্ষুচড়কগাছ হওয়ার জোগাড়।

সূত্রের খবর, বুধবার বাঁকুড়া শহরের কলেজ মোড়ে তৃণমূলের কর্মী সমর্থকদের নিয়ে লাড্ডু বিতরণ করতে দেখা যায় বাঁকুড়া জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা মন্ত্রী শ্যামল সাঁতরাকে। যেখানে নিজে হাতে পথচলতি সাধারণ মানুষ এবং ব্যবসায়ীদের মধ্যে লাড্ডু বিতরণ করেন রাজ্যের এই হেভিওয়েট মন্ত্রী। আর এই লাড্ডু পাওয়ার জন্য রীতিমত রাস্তায় ভিড় জমতে শুরু করে। এদিকে লাড্ডু প্রদানের পাশাপাশি সকলকে বিজয়ার শুভেচ্ছা জানাতেও দেখা যায় শ্যামল সাঁতরাকে। স্বাভাবিকভাবেই সামনে বিধানসভা নির্বাচনের আগে মন্ত্রীর এই অভিনব জনসংযোগ প্রক্রিয়া নিয়ে এখন ব্যাপক শোরগোল তৈরি হয়েছে গোটা বাঁকুড়া জেলাজুড়ে। তবে বিরোধীদের পক্ষ থেকে অবশ্য করোনা ভাইরাসের মধ্যে এইরকম জনসংযোগ নিয়ে তোলা হয়েছে প্রশ্ন।

 

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

হঠাৎ করে এরকম জনসংযোগ কেন? এদিন এই প্রসঙ্গে রাজ্যের মন্ত্রী শ্যামল সাঁতরা বলেন, “এটা নতুন নয়। আমি প্রায় কলেজ মোড়ে চায়ের দোকানে আড্ডা দিই। আজ বাড়তি শুধু মিষ্টি মুখ আর বিজয়ার শুভেচ্ছা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সর্বদা মানুষের পাশে থাকেন, মানুষের সাথে থাকেন। আমরা তার ছোট্ট সৈনিক। তাই তাকে অনুসরণ করে মানুষের পাশে থাকার কাজটা করে যাচ্ছি। আমরা মানুষের পাশে থাকি। আর বিজেপি আছে হোয়াটসঅ্যাপ আর ফেসবুক, টুইটারে।” যদিও বা বিজেপি শ্যামল সাঁতরার এই উদ্যোগকে পাল্টা কটাক্ষ করতে শুরু করেছে।

এদিন এই প্রসঙ্গে বাঁকুড়ার বিজেপি সাংসদ সুভাষ সরকার বলেন, “মন্ত্রী প্রমাণ করে দিলেন তৃণমূল এখন থেকে ইলেকশন মুডে চলে গিয়েছে। তাই কোনো বাধ বিচার করছেন না। করোনা শিয়রে নিয়েও তিনি জনসংযোগের নেমে পড়লেন। এটাকে মানুষের পাশে থাকা বলে না। বলে মানুষের বিপদ বয়ে আনা।” বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শ্যামল সাঁতরার এই উদ্যোগ নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ। আগামী বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজয়ার মধ্য দিয়েই জণসংযোগ কর্মসুচী তৈরি করে নিজের দলের সংগঠনকে শক্তিশালী করার চেষ্টা করলেন তিনি। তবে তার এই কর্মসূচিকে করোনা ভাইরাসের মধ্যে কার্যত “বিপদজনক” বলে পাল্টা কটাক্ষ করতে শুরু করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। সব মিলিয়ে বিজয়ের শুভেচ্ছা বিনিময় নিয়ে রীতিমত তৃণমূল-বিজেপি তরজা চরম ধারণ করল বাঁকুড়া জেলায়।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!