মোদির জন্মদিনে শুভকামনা জানিয়ে যজ্ঞ করলেন হেভিওয়েট তৃণমূল বিধায়ক, জল্পনা চরমে কলকাতা জাতীয় রাজ্য September 17, 2019 অনেকদিন ধরেই তার বিজেপি যোগ নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছিল। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছে যায় যে বিভিন্ন সময়ে বিজেপি নেতাদের সঙ্গে তার ওঠাবসায় তৃণমূল চরম অস্বস্তিতে পড়ে। আর তার ফলে বিধাননগর পৌরসভার মেয়র পদ থেকে তিনি নিজে থেকেই ইস্তফা দিয়ে দেন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তিনি তৃণমূলের বিধায়ক রয়েছেন। কিছুদিন আগেই তৃণমূল বিধায়ক সব্যসাচী দত্তের গণেশ পূজোয় বিজেপি নেতা মুকুল রায় এবং বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ উপস্থিত হওয়ায় এবং তৃণমূলের কেউ সেইভাবে এই পুজোয় উপস্থিত না থাকায় তাকে নিয়ে বিতর্ক আরও চরমে ওঠে। সেই সময় কেন শুধুই বিজেপির নেতারা তার পুজোয় উপস্থিত হলেন! তা নিয়ে তৃণমূল বিধায়ক সব্যসাচী দত্তকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “এই পুজোয় দলমত নির্বিশেষে সকলকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল।” আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - আর এবার বিতর্ককে আরও উস্কে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জন্মদিন উপলক্ষে সল্টলেকের সিএফ ব্লকে প্রধানমন্ত্রীর শুভকামনা জানিয়ে যজ্ঞানুষ্ঠানে উপস্থিত হতে দেখা গেল তৃণমূল বিধায়ক তথা বিধাননগর পৌরসভার প্রাক্তন মেয়র সব্যসাচী দত্তকে। যা নিয়ে এবার রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে তীব্র জল্পনা। অনেকের কাছেই তৃণমূলকে অস্বস্তিতে ফেলা এবং তৃণমূলে থেকে বিজেপি নেতাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়ানো নিয়ে সব্যসাচী দত্তের আচরণ নতুন কিছু নয়। কিন্তু এবার যেভাবে অতীতের সমস্ত কিছুকে ম্লান করে দিয়ে সল্টলেকের সিএফ ব্লকে প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনের শুভকামনা জানিয়ে যজ্ঞের অনুষ্ঠানে বসলেন তৃণমূল বিধায়ক, তা সত্যিই নজিরবিহীন বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। রাজনৈতিক সৌজন্যতা অবশ্যই থাকবে। কিন্তু তৃণমূল থেকে এইভাবে সরাসরি বিরোধী দলের নেতা তথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জন্মদিনের শুভকামনায় কেন তিনি যজ্ঞানুষ্ঠানে বসলেন! এটা কি দলে থেকে দলের বিরোধিতা করা নয়! এদিন এই প্রসঙ্গে সব্যসাচী দত্তকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “এটা আমাদের ওয়ার্ডের কিছু মানুষদের উদ্যোগে হয়েছে। নিজের ওয়ার্ডে আমি যদি কোনো আমন্ত্রণ পাই, তাহলে সেই অনুষ্ঠানে থাকার চেষ্টা করি।” জানা যায়, যেখানে এই অনুষ্ঠানটি হয়েছিল সেই সল্টলেকের সিএফ ব্লকটি সব্যসাচী দত্তের ওয়ার্ডের মধ্যেই পড়ে। ফলে সেদিক থেকে এই ঘটনায় রাজ্য রাজনীতিতে তীব্র বিতর্ক হলেও সব্যসাচীবাবু সেই বিতর্ককে কান না দিয়ে উল্টে আত্মপক্ষ সমর্থনের পথ বেছে নিয়ে গোটা ঘটনার সাফাই দিলেন। কিন্তু অবশেষে অতীতের সমস্ত ঘটনাকে ছাপিয়ে যাওয়া সব্যসাচী দত্তের আচরণের পরিপ্রেক্ষিতে তৃণমূল তার বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেওয়ার সাহস আদৌ দেখায় কিনা, এখন সেদিকেই তাকিয়ে সকলে। আপনার মতামত জানান -