এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > হেভিওয়েট তৃণমূল বিধায়কের খাসতালুকে বড় জয়! ভোটের ফলের আগে বড়সড় সুখবর বিজেপি শিবিরের জন্য

হেভিওয়েট তৃণমূল বিধায়কের খাসতালুকে বড় জয়! ভোটের ফলের আগে বড়সড় সুখবর বিজেপি শিবিরের জন্য

 

লোকসভা নির্বাচনে উত্তরবঙ্গ জুড়ে তৃণমূল ধরাশায়ী হয়েছিল। তবে লোকসভার ফলাফল মেটার পর বেশ কিছুদিন হয়ে গেল। বর্তমানে বিজেপি ছেড়ে অনেকে তৃণমূলে আসতে শুরু করেছে। যার ফলে একাংশ দাবি করেছিলেন যে, হয়ত বা তৃণমূলের চাকা ঘুরতে শুরু করেছে। কিন্তু এবার স্কুল পরিচালন সমিতির নির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থীদের পরাজিত হওয়ার ঘটনা এবং বিজেপির জয়লাভ করার ঘটনা তৃণমূলকে আবার পিছিয়ে দিল।

সূত্রের খবর, এবার মালদার রতুয়া 1 ব্লকের মহানন্দটোলা কাটাহা দিয়াড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনে 6 আসনের মধ্যে ছটি আসনই দখল করল ভারতীয় জনতা পার্টির প্রার্থীরা। বস্তুত, এই স্কুলের পরিচালন সমিতিতে আগে নির্দল এবং তৃণমূল যৌথভাবে ক্ষমতায় ছিল। কিন্তু এবার বিজেপি প্রার্থীরা জয়লাভ করায় তৃণমূল রতুয়ায় অনেকটাই ব্যাকফুটে চলে গেল বলে মত বিশেষজ্ঞদের।

এদিন এই প্রসঙ্গে মহানন্দটোলা গ্রাম পঞ্চায়েতের কাটাহা দিয়াড়া হাইস্কুলের বিজেপি প্রার্থী মনীন্দ্রনাথ মন্ডল বলেন, “মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিতে পেরেছে বলে আজ আমরা জয়ী হতে পেরেছি। তৃণমূলের মতো আমাদের কাছে কাটমানির টাকা নেই যে আমরা টাকা দিয়ে ভোট কিনতে যাব।”

একইভাবে জয়লাভের পর কিছুটা উজ্জীবিত হয়ে রতুয়ার বিজেপির 20 নম্বর মন্ডল সভাপতি অশোক চৌধুরী বলেন, “এই স্কুল পরিচালন সমিতির নির্বাচনে বিজেপি 6 টি আসনেই বিপুল ভোটে জয়লাভ করেছে। যা আমাদের কাছে খুবই আনন্দের বিষয়। মানুষ তৃণমূলের সন্ত্রাস এবং অপসংস্কৃতির প্রতিবাদ জানিয়েছেন। এখান থেকেই তৃণমূলের এক নেতা দল পরিচালনা করেন। অথচ নিজের জায়গাতেই তিনি তার কর্তৃত্ব ধরে রাখতে পারলেন না। এই ভোটের ফলাফলের পর একটা বিষয় স্পষ্ট, মানুষ আর তৃনমূলকে চাইছে না। এই নির্বাচনের মধ্য দিয়েই মানুষ তৃণমূলকে যোগ্য জবাব দিয়েছে।” কিন্তু মালদা জেলা তৃণমূলের সহ-সভাপতি সমর মুখোপাধ্যায় নিজের জায়গাতেই কেন দলকে জয়লাভ করতে পারলেন না?

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গেই তৃণমূল বিধায়ক বলেন, “আমরা খুব কম ভোটে হেরেছি। বিজেপি বিহারের লোককে টাকা দিয়ে কিনে ভোট করিয়েছে। বিহারের অনেক ছেলে ওই স্কুলে পড়াশোনা করে। তাই এই কাজ করতে তাদের সুবিধা হয়েছে। এক একটি ভোট হাজার টাকা করে কিনেছে বিজেপি। সেটা আমরা জানতে পেরেছি। স্কুল পরিচালন সমিতির নির্বাচনে আমি ততটা সময় দিতে পারিনি। ইলেকশন কমিটির চেয়ারম্যান যিনি ছিলেন, তিনি বিষয়টি আরও ভালো করে বলতে পারবেন।”

তবে সমরবাবু যে কথাই বলুন না কেন, এই স্কুল পরিচালন সমিতির নির্বাচনে যেভাবে তৃণমূল বিজেপির কাছে পর্যদুস্ত হল, তাতে আগামী দিন যে রতুয়া তৃণমূলের ক্ষেত্রে খুব একটা ভালো হবে না, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!