এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > হেভিওয়েট নেতাদের সঙ্গে মঞ্চ ভাগ করা তৃনমূল যুবনেতার পাশে অস্ত্র হাতে যুবক, ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়

হেভিওয়েট নেতাদের সঙ্গে মঞ্চ ভাগ করা তৃনমূল যুবনেতার পাশে অস্ত্র হাতে যুবক, ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়


এবার খোদ শাসকদলের যুবনেতার পাশে অস্ত্র হাতে দেখা গেল এক যুবককে। আর সম্প্রতি এই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতে চরম চাঞ্চল্য ছড়ায় কোচবিহার জেলা তৃণমূলের অন্দরে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য কিছুদিন আগেই   কোচবিহার দিনহাটা 2 ব্লকের আবুতারায় তৃণমূলের এক যুব নেতাকে নিয়ে একটি সভা করেন তৃণমূল যুব কংগ্রেসের কোচবিহার জেলার সভাপতি তথা সাংসদ পার্থ প্রতিম রায়, দিনহাটা তৃণমূল বিধায়ক উদয়ন গুহ, যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক নিশীথ প্রামাণিক সহ শাসকদলের অনেক নেতারা।

আর সেখানেই দেখা যায় যে, সাদা গেঞ্জি পরিহিত ওই তৃণমূল যুব নেতার একটি চেয়ারের পরেই লাল গেঞ্জি গায়ে অস্ত্র হাতে এক যুবক বসে রয়েছে। সম্প্রতি এই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতে শুরু করে। তবে ছবিতে সেই শাসকদলের যুবনেতার মুখ পরিষ্কার বোঝা গেলেও অস্ত্র হাতে থাকা যুবকের মুখ অতটা স্পষ্ট নয়।

একাংশের মতে, কদিন আগেই শাসকদলের গোষ্ঠী কোন্দলের জেরে উত্তপ্ত হয়েছিল এই দিনহাটা। এমনকি সোশ্যাল মিডিয়ায় কার্বাইন হাতে তৃণমূলের উপপ্রধানের স্বামী নরেশ দেবনাথের ছবিও ভাইরাল হয়। আর এরপর সদ্য প্রশাসনিক বৈঠকে সেই কোচবিহারে এসে দুষ্কৃতী দমনে পুলিশ প্রশাসনকে কড়া সতর্কবার্তা দিয়ে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশের পরও ফের প্রকাশ্যে শাসকদলের মঞ্চে যুবনেতার পাশে বন্দুকধারী এক ব্যক্তির ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ছে এলাকায়। এদিন এ প্রসঙ্গে দিনহাটা 2 ব্লক তৃণমূলের সভাপতি মীর হুমায়ুন কবির বলেন, “ছবিটি দেখেছি। কর্মীদের মধ্যে এটা নিয়ে জোর চর্চা চলছে। আমি চাই, পুলিশ তদন্ত করে দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করুক।” কিন্তু মঞ্চে এইভাবে প্রকাশ্যে বন্দুক নিয়ে এক ব্যক্তি থাকলেও কেন দলের হেভিওয়েট নেতারা তা দেখতে পেলেন না?

এদিন এই প্রসঙ্গে কোচবিহার জেলা যুব তৃনমূলের সভাপতি তথা সাংসদ পার্থপ্রতিম রায় বলেন, “যার হাতে বন্দুক রয়েছে পুলিশ তাকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার করুক।” কিন্তু দলেরই তো এক যুবনেতার পাশে সেই বন্দুকধারী যুবককে দেখা গেছে! এদিন এই প্রসঙ্গে দিনহাটার তৃণমূল বিধায়ক উদয়ন গুহ বলেন, “সেই যুবনেতার হাতে তো কোনো বন্ধু নেই। আর মিটিং, মিছিলে আমাদের সাথে অনেকেই থাকে। তার মানে এটা নয় যে, তাদের দুষ্কর্মের জন্য আমরা দায়ী। আমরা চাই, যারা এই ধরনের অস্ত্রের কারবারের সঙ্গে যুক্ত তারা গ্রেপ্তার হোক।”

কিন্তু যে যুব নেতার পাশে সেই বন্দুক ধারী ব্যক্তি ছিলেন এই প্রসঙ্গে সেই যুব নেতার বক্তব্য কি? এদিন সেই তৃনমূল যুবনেতা বলেন, “আমাকে ফাঁসানোর জন্যই কেউ অজ্ঞাতসারে আমার পাশে বসে ছবি তুলে ভাইরাল করেছে। আর যদি এটা না হয় তাহলে আমাকে মারার জন্যই এই বন্দুক নিয়ে আসা হয়েছে। আমি পুরোপুরিই রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের শিকার।”

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

 

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

এদিকে গোটা ঘটনায় তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন দিনহাটা মহকুমা পুলিশ আধিকারিক উমেশ গনপত। তবে প্রকাশ্যে এইভাবে শাসকদলের মঞ্চে বন্দুকধারী যুবককে দেখা যাওয়ায় লোকসভা ভোটের আগে যে এই দিনহাটায় প্রবল অস্বস্তিতে পড়তে চলেছে তৃণমূল তা এককথায় বলাই যায়।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!