এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > তৃণমূলে বড়সড় সাংগঠনিক রদবদল ঘোষণা হতেই শুরু গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, সঙ্গে চূড়ান্ত অশান্তি!

তৃণমূলে বড়সড় সাংগঠনিক রদবদল ঘোষণা হতেই শুরু গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, সঙ্গে চূড়ান্ত অশান্তি!

 

কোচবিহার জেলায় তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলের কারণেই যে লোকসভায় এখানে তাদের ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে যেতে হয়েছে, তা মেনে নিচ্ছেন প্রায় সকলেই। তবে গোষ্ঠী কোন্দলকে দমন করতে জেলার সভাপতি পদে বদল আনলেও সেই দ্বন্দ্ব কমেনি। অনেকেই আশা করেছিলেন, নতুন সভাপতি পদে বিনয়কৃষ্ণ বর্মন দায়িত্ব নেওয়ার পর হয়ত বা কোচবিহার জেলায় গোষ্ঠী কোন্দল কমবে। কিন্তু একটি কমিটিকে কেন্দ্র করে সেই গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে এল।

জানা যায়, কোচবিহার দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের নতুন সাংগঠনিক কমিটিতে নাম নেই জেলার প্রাক্তন সভাপতি তথা উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ এর ঘনিষ্ঠ কোচবিহার 1 পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত এবং পরিবহন কর্মাধ্যক্ষ খোকন মিয়ার। আর তা নিয়েই এখন দলের জেলা নেতৃত্বের বিরুদ্ধে তোপ দাগতে শুরু করেছেন খোকনবাবু।

আর তাতেই ফের তৃণমূলের কোচবিহার জেলার গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে চলে এল বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের। প্রসঙ্গত, কোচবিহার জেলা তৃণমূলের বর্তমান সভাপতি বিনয় কৃষ্ণ বর্মন বনাম প্রাক্তন সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষের মধ্যে সখ্যতা প্রায় নেই বললেই চলে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

পাশাপাশি কোচবিহার দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল বিধায়ক মিহির গোস্বামীর সাথেও রবীন্দ্রনাথ ঘোষের সম্পর্ক ভালো নয়। ফলে সেদিক থেকে এই জেলার অনেক তৃণমূল বিধায়ক একত্রিত হয়ে কোচবিহারের পরাজয়ের জন্য রবীন্দ্রনাথ ঘোষকে দায়ী করে তাকে সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে দিতে সক্ষম হয়েছেন। আর এবার কোচবিহার দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রে রবিবাবুর অনুগামী বলে পরিচিত এক নেতার নাম না থাকায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চরমে উঠল।

এদিন এই প্রসঙ্গে সেই কোচবিহার প্রাক্তন ব্লক সভাপতি খোকন মিয়া বলেন, “আমার সঙ্গে দলের প্রাক্তন জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষের ভালো সম্পর্ক থাকার জন্য আমাকে দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের কমিটিতে রাখা হল না। এই কমিটিতে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি চন্দ্রকান্ত রায়ও জায়গা পাননি। জেলা নেতৃত্ব সংগঠনকে গুরুত্ব না দিয়ে নিজেদের পছন্দের লোককে কমিটিতে রেখেছে। এই নিয়ে আমি রাজ্য নেতৃত্বের কাছে লিখিত অভিযোগ জানাবো।” তবে এই ব্যাপারে অবশ্য সমস্ত দ্বিধাদ্বন্দ্বকে উড়িয়ে দিচ্ছেন জেলা তৃণমূলের বর্তমান নেতৃত্ব।

এদিন এই প্রসঙ্গে কোচবিহার দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল বিধায়ক মিহির গোস্বামী বলেন, “এখানে গ্রুপবাজির কোনো ব্যাপার নেই। ব্লকে দুটি বিধানসভা কেন্দ্র রয়েছে, সেখানে যার বাড়ি, সেখানে তাকে সেই বিধানসভার কমিটিতে রাখা হবে। খোকন মিয়া নাটাবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের কমিটিতে রয়েছেন। একজন দুই কমিটিতে থাকবে, এটা হয় না।”

একইভাবে এই প্রসঙ্গে জেলা তৃণমূলের বর্তমান সভাপতি বিনয়কৃষ্ণ বর্মন বলেন, “দলে এই বিষয় নিয়ে কোনো দ্বন্দ্ব নেই।” তবে এই ব্যাপারে কি বলছেন জেলা তৃণমূলের প্রাক্তন সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ! এদিন এই প্রসঙ্গে তাকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “এই নিয়ে আমি কোনো মন্তব্য করব না।” কিন্তু রবীন্দ্রনাথবাবু গোটা ব্যাপারটি এড়িয়ে গেলেও তার অনুগামী খোকনবাবু যেভাবে দলের বিধানসভা কেন্দ্রের কমিটি নিয়ে প্রশ্ন তুললেন, তাতে কোচবিহার জেলায় গোষ্ঠী কোন্দল বৃদ্ধি এবং তৃণমূলের বিড়ম্বনা বৃদ্ধি যে শুধুই সময়ের অপেক্ষা, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত বিশেষজ্ঞরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!