এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > তৃনমূলের গোষ্টীদ্বন্দ্বের জেরে প্রহৃত 19 বছরের ছাত্রের মৃত্যুতে উত্তাল দিনহাটা

তৃনমূলের গোষ্টীদ্বন্দ্বের জেরে প্রহৃত 19 বছরের ছাত্রের মৃত্যুতে উত্তাল দিনহাটা

দলের জন্য নিবেদিত প্রান। আর সেই দলেরই কর্মীদের হাতে খুন হতে হল দিনহাটা কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র নিতাই দাসকে। সূত্রের খবর, গত বৃহস্পতিবার তৃনমূল ছাত্র পরিষদ কর্মী এই নিতাই দাস কলেজের কাছেই বাইপাসের ধারে একটি হোটেলে খাওয়া দাওয়া করছিলেন। অভিযোগ, সেই সময় শাসকদলের বিরোধী গোষ্টীর লোকেরা তাঁকে ধরে ব্যাপক মারধর করে। কোনোক্রমে স্থানীয়রা সেই নিতাই দাসকে সেখান থেকে উদ্ধার করে দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে সেখান থেকে কোচবিহার নার্সিংহোমে স্থানান্তরিত করা হলেও শেষরক্ষা হল না। দুদিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে অবশেষে হারতেই হল 19 বছরের এই ছাত্রকে। কিন্তু কেন? ঠিক কী দোষ ছিল তার?

দলকে ভালোবেসে কাজ করেছিল নিতাই। কলেজে দক্ষ সংগঠক ছিল সে। কিন্তু কোচবিহারে তৃনমূলের দুই গোষ্টীর বিবাদই প্রান কেড়ে নিল এই নিতাই দাসের। আর এহেন এক তরুন ছাত্রের মৃত্যুতে ফের দলের জেলা নেতাদের বিরুদ্ধেই সোচ্চার হয়েছে শাসকদলের অপর গোষ্টীর নেতারা। শনিবার এই মৃত্যুতে জেলাজুড়ে ছাত্রধর্মঘটের ডাক দেওয়ার পাশাপাশি মৃতছাত্র নিতাই দাসের মৃতদেহ নিয়ে মিছিল করে থানার সামনে এসে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের দাবি তোলেন শাসকদলের ছাত্র এবং যুব সমর্থকদের একাংশ। এদিকে এই ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হলেও তৃনমূলের এক কাউন্সিলর এবং জেলা তৃনমূল ছাত্র পরিষদের প্রাক্তন সভাপতি সাবির চৌধুরীকেও গ্রেপ্তারের দাবি উঠেছে। আর এতেই শাসকদলের মধ্যে ফের প্রবল গোষ্টীদ্বন্দ্বের আঁচ পাচ্ছেন জেলার মানুষেরা। কেননা কোচবিহার তৃনমূল জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষের অনুগামীই হলেন এই সাবির চৌধুরী। অন্যদিকে যারা এই অভিযোগ তুলছেন তারা শাসকদলেরই বিরোধী গোষ্টী। তবে এই ঘটনায় তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে সঠিক দোষীকে গ্রেপ্তারের কথা বলেছেন জেলা তৃনমূল ছাত্র পরিষদের প্রাক্তন সভাপতি সাবির চৌধুরী। পাল্টা বিরুদ্ধ গোষ্টীর পক্ষ থেকে গোটা ঘটনায় প্রকৃত দোষীকে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন জেলা তৃনমূল যুব কংগ্রেসের সাধারন সম্পাদক নিশীথ প্রামানিক।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

অন্যদিকে এই ছাত্রমৃত্যুতে নিরাপত্তার অভাব বোধ করে কলেজপাড়া দুর্গাপুজো কমিটির পুজো বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তের কথা ঘোষনা করেছেন সেখানকার পুজো কমিটির সভাপতি শ্যামল ধর। কিন্তু যত যাই হোক না কেন! ছেলের মৃত্যু নিয়ে শাসকদলের দুই গোষ্টীর মধ্যে যে দোষারোপের পালা চলছে তা আর দেখতে চাইছেন না মৃত নিতাই দাসের মা এবং বাবা। ছেলের মৃত্যুতে মাঝেমধ্যে মা মূর্ছা গেলেও কোনোক্রমে নিজেকে সামলে নিয়ে সেই মৃত নিতাই দাসের বাবা হেমন্ত দাস বলেন, ” দোষীদের কঠোর শাস্তি চাই। কলেজে রাজনীতি করতে গিয়ে ছেলে প্রান হারাল। মুখ্যমন্ত্রী যেন এবার এই কলেজ রাজনীতিই তুলে দেন।” সব মিলিয়ে তরতাজা যুবকের মৃত্যুতে থমথমে কোচবিহার

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!