এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে উত্তাল দিনহাটা, সামাল দিতে মন্দিরে ঢুকে পুলিশি তান্ডব, পাল্টা উত্তেজনা

তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে উত্তাল দিনহাটা, সামাল দিতে মন্দিরে ঢুকে পুলিশি তান্ডব, পাল্টা উত্তেজনা

সম্প্রতি কোচবিহারে জেলা সফরে এসে দিনহাটায় গন্ডগোল থামাতে পুলিশ প্রশাসনকে আরও কঠোর হওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই মত রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানের নির্দেশকে মান্যতা দিতে কোনোরকম গন্ডগোলের সৃষ্টি যাতে এলাকায় না হয় তার জন্য সদাসতর্ক ছিল এখানকার প্রশাসন।

কিন্তু গত রবিবার রাতে অসমের তিনসুকিয়ায় বাঙালি হত্যার প্রতিবাদে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের মিছিলকে ঘিরে ফের উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। অভিযোগ, তৃণমূলের এক গোষ্ঠির মিছিলে অপর গোষ্ঠী প্রবল হামলা চালায়। শুরু হয় বোমা ও গুলির তীব্র লড়াই। এদিকে গোটা ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে স্থানীয় দুর্গা মন্দিরে আশ্রয় নেন অনেকেই।

অন্যদিকে এলাকায় গন্ডগোলের খবর পেয়ে হাজির হয় পুলিশও। আর এখানেই বাসিন্দাদের অভিযোগ যে, কীর্তন চলাকালীন সেই দুর্গা মন্দিরের ভেতরে ঢুকে কীর্তনীয়াদের খোল, কর্তাল ভাঙচুর করে পুলিশ কর্মীরা। এমনকি লাঠিচার্জেরও অভিযোগ ওঠে সেই পুলিশের বিরুদ্ধে। আর এরপরই শুরু হয় ব্যাপক উত্তেজনা। পুলিশি হামলার প্রতিবাদে সেই রাতেই দলমত নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সেই দিনহাটা নাজিরহাট এলাকায় পুলিশের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শন করার পাশাপাশি সোমবার একটি বনধও ডাকা হয়।

জানা যায়, গতকাল সেই বনধে একটি মিছিল বের করে পুলিশের অস্থায়ী ক্যাম্প, গাড়ি এবং পঞ্চায়েত অফিসে ব্যাপক ভাঙচুর চালায় এলাকার বাসিন্দারা। পাশাপাশি মন্দিরের ভেতরে ঢুকে কীর্তনীয়া দের ওপর হামলার ঘটনায় অভিযুক্ত পুলিশকর্মীদের শাস্তির দাবিতে এদিন দিনহাটার মহকুমাশাসককে একটি স্মারকলিপিও জমা দেন তারা।

এদিন এই প্রসঙ্গে দিনহাটা 2 ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি মীর হুমায়ুন কবির বলেন, “মন্দিরে গিয়ে পুলিশ একদম ঠিক করেনি। আমরা দলীয় স্তরে এই ঘটনা নিয়ে আলোচনা করছি।” অন্যদিকে সাধারণ মানুষের প্রতি এইভাবে পুলিশকর্মীদের হামলার বিরুদ্ধে তাদের আন্দোলন যে চলবে তা স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন নাজিরহাট নাগরিক মঞ্চের আহ্বায়ক নারায়ন চন্দ্র সরকার।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

 

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

আর পুলিশের বিরুদ্ধে এহেন অভিযোগ ওঠায় এই গোটা ঘটনায় প্রবল চাপে পড়েছে জেলার প্রশাসনিক কর্তাব্যক্তিরাও। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে বলে এদিন সকলকে আশ্বাস দিয়েছেন দিনহাটা মহকুমার পুলিশ আধিকারিক উমেশ গনপত। সব মিলিয়ে এবার শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে উত্তপ্ত দিনহাটাকে শান্ত করতে পুলিশি তান্ডব চলায় সেই পুলিশের বিরুদ্ধেই এলাকাবাসীর পাল্টা বিক্ষোভে সরগরম কোচবিহার।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!