এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > নদীয়া-২৪ পরগনা > তৃণমূলের জনসংযোগ কর্মসূচি নিয়ে প্রবল গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, অস্বস্তিতে শাসকদল

তৃণমূলের জনসংযোগ কর্মসূচি নিয়ে প্রবল গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, অস্বস্তিতে শাসকদল

এ যেন ঠগ বাজাতে গাঁ উজাড় হয়ে যাওয়ার সামিল। লোকসভা নির্বাচনে দলের ভরাডুবির পেছনে জনসংযোগের যে যথেষ্ট অভাব রয়েছে, তা অনুধাবন করে দলের নেতাকর্মী, জনপ্রতিনিধিদের জনসংযোগে যাওয়ার জন্য সম্প্রতি “দিদিকে বলো” একটি কর্মসূচি চালু করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

যেখানে মোবাইল নম্বর চালু করে সমস্ত সাধারণ মানুষ তাদের অভাব-অভিযোগ সেখানে জানাতে পারবেন বলে জানিয়েছে রাজ্যের শাসক দল। কিন্তু তৃণমূল নেত্রী জনসংযোগের অভাবের পাশাপাশি দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব যে প্রবলভাবে বাসা বেধেছে, তা আঁচ করতে পারেননি। আর তাই তো এবার তৃণমূলের “দিদিকে বলো” কর্মসূচি নিয়ে প্রবল গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব শুরু হয়ে গেল শাসকদলে।

যা দেখে অনেকেই বলছেন, এক সমস্যা মেটাতে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরেক সমস্যায় এসে পড়লেন। আগে দলীয় শৃঙ্খলাকে ঠিক করতে হবে, গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব সমাধান করে তারপরেই দলকে জনসংযোগে শামিল করতে হবে‌। না হলে কোনো কাজই সফলতার মুখ দেখতে পারবে না বলে দাবি সমালোচক মহলের।

কিন্তু কোথায় এবং কি কারণে এই তৃণমূলের “দিদিকে বলো” কর্মসূচি নিয়ে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব! বস্তুত, “দিদিকে বলো” এই কর্মসূচি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের মুখ দিয়ে ঘোষণা করার পরই জেলায় জেলায় এই কর্মসূচি নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করছেন তৃণমূলের জনপ্রতিনিধি এবং দলীয় পদাধিকারীরা। তবে দলীয় গোষ্ঠী কোন্দলের জেরে অনেক জায়গাতেই যে তা সফলতা অর্জন করছে না, তা শুক্রবার স্পষ্ট হয়ে গেল।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সূত্রের খবর, এদিন পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদলের তৃণমূলের হেভিওয়েট বিধায়ক সুদর্শন ঘোষদস্তিদার বনাম ব্লক সভাপতি তিলক চক্রবর্তীর পৃথক পৃথক সাংবাদিক বৈঠক দলীয় কোন্দলকেই আরও একবার উসকে দিল। কেন দলের শীর্ষস্তর থেকে নির্দেশে জনসংযোগ কর্মসূচি হিসেবে এই দিদিকে বলো প্রকল্পে একসাথে সাংবাদিক বৈঠক করতে দেখা গেল না দলের বিধায়ক এবং ব্লক সভাপতিকে তা নিয়ে বর্তমানে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

অন্যদিকে ভাঙ্গড়ে এদিন সিপিএম থেকে তৃণমূলে যাওয়া রাজ্যের মন্ত্রী রাজ্জাক মোল্লা সাংবাদিক বৈঠক করে জনসংযোগ প্রচারে অংশ নেওয়ার কথা বললেও সেখানে দেখতে পাওয়া যায়নি তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলামকে। পাশাপাশি কমিটিতে সেই আরাবুল ইসলামের নাম নেই বলেও অভিযোগ উঠেছে। ফলে সেখানেও গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ছায়া দেখতে পাচ্ছে একাংশ।

যদিও বা এই প্রসঙ্গে আরাবুল ইসলাম বলেন, “আমি ভাঙ্গড়ের ভূমিপুত্র। আলাদা করে আমি মানুষের সাথে জনসংযোগ করব।” আর বিভিন্ন জায়গায় দলীয় গোষ্ঠীকোন্দলের জেরে তৃণমূলের জনসংযোগ কর্মসূচির এহেন উদ্যোগ পৃথক পৃথক ভাবে দলের জনপ্রতিনিধিরা এবং পদাধিকারীরা করায় তৃণমূলের ভেতরে ঐক্যের যে যথেষ্ট অভাব রয়েছে, তা ফের আরও একবার প্রকাশ্যে চলে আসল বলে মত বিশেষজ্ঞদের। ফলে এভাবে পৃথক পৃথক ভাবে জনসংযোগ কর্মসূচি করলেও তাতে আদতে কতটা লাভ হবে! তা নিয়ে একটা প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!