এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > তৃণমূল বনাম যুবর দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে, বিধায়কের মন্তব্যে ছড়িয়ে পড়ছে ক্ষোভ!

তৃণমূল বনাম যুবর দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে, বিধায়কের মন্তব্যে ছড়িয়ে পড়ছে ক্ষোভ!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সম্প্রতি দলের যুব সংগঠনের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে একটি সভায় বিস্ফোরক মন্তব্য করে বসেন দিনহাটার তৃণমূল বিধায়ক উদয়ন গুহ। নাম না করে যুব সংগঠনের বেশ কিছু নেতার বিরুদ্ধে জমির দালালি করার অভিযোগ করেন তিনি। স্বাভাবিকভাবেই গোটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে কোচবিহার জেলা রাজনীতিতে।

এইভাবে দলের হেভিওয়েট বিধায়ক কেন যুব সংগঠনের বিরুদ্ধে এই ধরনের বিস্ফোরক অভিযোগ তুললেন, তা নিয়ে তৈরি হয় প্রশ্ন। দলের বিধায়ক যদি এই ধরনের প্রশ্ন তুলতে শুরু করেন, তাহলে বিরোধীরা যে তাকে হাতিয়ার করে ময়দানে নামবে, তা বলাই বাহুল্য। আর উদয়ন গুহ যুব সংগঠনের বিরুদ্ধে এই ধরনের অভিযোগ তোলার সাথে সাথেই এবার জেলার বেশকিছু তৃণমূল যুব নেতারা এই ব্যাপারে তাদের প্রতিক্রিয়া দিতে শুরু করেছেন।

যে ঘটনায় কোচবিহার জেলায় আবার নতুন করে তৃণমূল বনাম যুব সংগঠনের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে এসেছে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, রবিবার উদয়ন গুহ বলেন, “গায়ে তৃনমূল যুবর সিলমোহর থাকা মানে দিনহাটার বুকে জমির দালালি করা নয়। যুব মানে চাকরির জন্য টাকা তোলা, যুব মানে ঘর দেওয়ার কথা বলে টাকা তোলা। এই যে কালো দাগ, এই দাগ সরিয়ে ফেলার দায়িত্ব যুবদেরকে নিতে হবে।”

 

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর উদয়ন গুহর এই মন্তব্যের পরই তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয় কোচবিহার জেলা জুড়ে। কেন একজন বিধায়ক হিসেবে তিনি দলের যুব সংগঠনের নেতাদের বিরুদ্ধে এই ধরনের মন্তব্য করলেন?জানা গেছে, এবার উদয়নবাবুর সেই বিতর্কিত মন্তব্য নিয়ে জবাব দিয়েছেন কোচবিহার জেলা তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক সম্রাট মুখোপাধ্যায়। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লেখেন, “আমার চুলের রং লাল নয়। জমির দালালিও করি না। আমি যুব তৃণমূল কর্মী। আমি বাংলার যুব শক্তি।”

একইভাবে এই ব্যাপারে দিনহাটা 1 ব্লক যুব তৃণমূল নেতা মাফুজার রহমান লিখেন, “আমার মনে হয় ভাষাগুলো ওভাবে বলা উচিত হয়নি! যদি এই ধরনের কর্মকাণ্ডে কেউ জড়িত থাকে, সরাসরি তার নাম নিয়ে বললেই কোনো আপত্তি থাকত না। সরাসরি যুব তৃনমূলের নাম নিয়ে বলার অর্থ, আমাদের সংগঠনকে কালিমালিপ্ত করা।”

ইতিমধ্যেই উদয়ন গুহর এই মন্তব্যের খবর একটি সংবাদপত্রে প্রকাশিত হওয়ার সাথে সাথেই তা তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে খবর। আর এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এবার কোচবিহার জেলা জুড়ে উদয়ন গুহর মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে তৃণমূল বনাম যুবর নতুন করে কোন্দল তৈরি হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে রাজনৈতিক মহল। এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!