এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > দলের মধ্যে মাথাচাড়া দিচ্ছে প্রবল গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, উত্তর কলকাতা নিয়ে ক্রমশ চিন্তা বাড়ছে তৃণমূলের

দলের মধ্যে মাথাচাড়া দিচ্ছে প্রবল গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, উত্তর কলকাতা নিয়ে ক্রমশ চিন্তা বাড়ছে তৃণমূলের

সারা রাজ্যে বিজেপিকে প্রতিদ্বন্দ্বী ভেবে যখন লড়াই করার কথা শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের, ঠিক তখনই উত্তর কলকাতায় এ যেন তৃণমূল বনাম তৃণমূলের লড়াইয়ে প্রচারই পিছিয়ে দিতে হল সেখানকার তৃণমূল প্রার্থী সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে। সমস্ত কিছুই ঠিকঠাক ছিল। মঞ্চ তৈরি থেকে পতাকা লাগানো – সমস্ত কাজই প্রায় হয়ে গিয়েছিল।

কিন্তু মন্ত্রী বনাম কাউন্সিলারের কোন্দলে মানিকতলার 14 নম্বর ওয়ার্ডে বাধ্য হয়ে নিজের প্রচার পিছিয়ে দিলেন উত্তর কলকাতা লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রসঙ্গত, এই 14 নম্বর ওয়ার্ডে বিধায়ক তথা মন্ত্রী সাধন পান্ডের সাথে কাউন্সিলর অমল চক্রবর্তীর দ্বন্দ্ব দীর্ঘদিনের। কিন্তু ভোটের মরসুমে যাতে পরিস্থিতি হাতের বাইরে না বেরোয় তার জন্য এই দুই নেতার দ্বন্দ্ব মেটাতে গোটা বিষয়টি দলীয় স্তরে জানান সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়।

এমনকি ঠিক পর্যায়ে এই দুই নেতার দ্বন্দ রয়েছে সেই ব্যাপারে খোঁজখবর নিতে ময়দানে নামেন ফিরহাদ হাকিম এবং সুব্রত বক্সিরা। কিন্তু এতেও লাভের লাভ কিছুই হয়নি। জানা গেছে, রবিবার 14 নম্বর ওয়ার্ডের হরিশ নিয়োগী রোড থেকে উত্তর কলকাতা লোকসভা কেন্দ্রের সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মিছিলে সাধন পান্ডে এবং অমল চক্রবর্তী দুজনেই যাতে থাকে সেই ব্যাপারে চেষ্টা করা হলেও এখানেও তৃণমূলের দ্বন্দ্ব স্পষ্ট হয়ে উঠল। তাকে কিছু না জানিয়েই সাধন পান্ডে এই মিছিলের আয়োজন করেছে বলে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে অভিযোগ জানান অমল চক্রবর্তী।

আর ভোটের মরশুমে দুই নেতার দ্বন্দ্বে যাতে শেষ মুহূর্তে তার প্রচার প্রক্রিয়া ভেস্তে না যায় তার জন্য সেই মিছিলই বাতিল করে দেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন এই প্রসঙ্গে এই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অমল চক্রবর্তী বলেন, “রবিবার যে মিছিল হবে তা আমাকে জানানো হয়নি। সাধনবাবু আমাকে মানেন না। মন্ত্রী হয়ে যখন তিনি দলকে মানেন না, তখন আমি ওনার সঙ্গে বেরোবো না। তাই সুদীপদাকে বলেছি সাধনদা আর আমাকে আপনি আলাদা ডেট দিন। আপনাকে নিয়ে আমরা দুজন আলাদা আলাদা ঘুরব।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে এই প্রসঙ্গে বিধায়ক তথা মন্ত্রী সাধন পান্ডে বলেন, “আসলে সুদীপকে অন্য ওয়ার্ডে যেতে হবে। তাই এই মিছিল 4 বা 5 তারিখে হবে। কোনো ঝামেলা হয়েছে বলে জানি না।” কিন্তু এইভাবে ভোটের মরসুমে দ্বন্দ্ব তার ভোটের বাক্সে প্রভাব পড়বে না তো? এদিন এই প্রসঙ্গে উত্তর কলকাতা লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “ওখানে অমলের সঙ্গে সাধন পান্ডের একটা গোলমাল হয়েছে। অমলের ছেলেদের নাকি মারধর করা হয়েছে। গোটা বিষয়টি ফিরহাদ হাকিম আর সুব্রত বক্সী দেখছেন। আমি ওখানে যাব, তবে দিনটা একটু পেছোনো হয়েছে।”

এদিকে তৃণমূলের এই দ্বন্দ্ব নিয়ে এদিন ঘাসফুল শিবিরকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি। এদিন এই প্রসঙ্গে উত্তর কলকাতা লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী রাহুল সিনহা বলেন, “আসলে ধ্বংসের কাছে এলে গৃহযুদ্ধ শুরু হয়। তৃনমূলে সেই গৃহযুদ্ধই শুরু হয়েছে।”

অন্যদিকে তৃণমূলের হাতে তৃণমূল মার খাচ্ছে। তাই যারা দলের লোককে নিরাপত্তা দিতে পারে না, তারা কি করে রাজ্যের মানুষকে নিরাপত্তা দেবে বলে পাল্টা তৃণমূলকে খোঁচা দিয়েছেন এই কেন্দ্রের বাম প্রার্থী কনীনিকা ঘোষও। সব মিলিয়ে এবার মন্ত্রী বনাম কাউন্সিলের দ্বন্দ্বে প্রচারপর্বই পিছিয়ে দিতে হল তৃনমূল প্রার্থীকে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!