বিজেপি বিরোধী কর্মসূচিতে বেধড়ক মার খেলেন তৃণমূল কর্মীরা, গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চরমে! কলকাতা নদীয়া-২৪ পরগনা রাজ্য December 31, 2019July 26, 2021 নাগরিকত্ব সংশোধনী ইস্যুতে বর্তমানে উত্তপ্ত রাজ্য রাজনীতি। বিজেপির বিরুদ্ধে এই ইস্যুকে কাজে লাগিয়ে প্রচারে ঝড় তুলে গেরুয়া শিবিরে কোণঠাসা করতে মরিয়া তৃণমূল কংগ্রেস। তবে নিজেদের দলের শৃঙ্খলা এবং ঐক্যবদ্ধ ভাব যদি না থাকে, তাহলে যে বিরোধী দলকে কাবু করা যাবে না, তা জানেন প্রত্যেকেই। কিন্তু তা সত্ত্বেও গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে বিদ্ধ তৃনমূল কংগ্রেস বিজেপি-বিরোধী এই কর্মসূচিকে ভালোমত প্রচার করতে পারছে না। বর্তমানে নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে বিভিন্ন জায়গায় তৃণমূল প্রচার করলেও, ভাঙ্গড়ে এই কর্মসূচিকে ঘিরে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর বিবাদ প্রকাশ্যে চলে এল। সূত্রের খবর, রবিবার বিকেলে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে ভাঙ্গড় 2 ব্লক তৃণমূল যুব কংগ্রেসের ডাকে কলকাতা লেদার কমপ্লেস থানার কাটাতলা থেকে বামনঘাটা বাজার পর্যন্ত এক মহা মিছিলের ডাক দেওয়া হয়েছিল। অভিযোগ, সেই মিছিলে দলের কেউ যাতে অংশ না নেয় তার জন্য ভাঙ্গড়ের তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলামের বেশ কয়েকজন অনুগামী স্থানীয় বেশ কয়েকজন তৃণমূল নেতাকে হুমকি দিয়েছেন। তবে তা সত্ত্বেও দলের কর্মসূচিতে যোগদান করেন বেশ কিছু তৃণমূল কর্মী সমর্থক। আর এটাই ছিল তাদের অপরাধ। জানা গেছে, রবিবার মিছিল শেষ হওয়ার পর সন্ধ্যায় সেই মিছিলে যোগ দেওয়া কর্মী-সমর্থকদের ওপর ব্যাপক আক্রমণ করা হয়। যে ঘটনায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব রয়েছে বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞরা। কেননা যে তৃণমূল নেতৃত্ব এই মিছিলে যোগ না দেওয়ার জন্যই হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, তারাই মিছিলে যোগ দেওয়া নেতাকর্মীদের উপর আক্রমণ এনেছেন বলে দাবি একাংশের। কিন্তু যেখানে গোটা তৃণমূল দল বিজেপির বিরুদ্ধে এই কর্মসূচিকে কাজে লাগিয়ে দলের জনমত বাড়াতে চাইছে, সেখানে কেন তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব এখনও জিইয়ে রয়েছে! এতে কি দলের অনৈক্যের ভাব সামনে আসছে না! আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এদিন এই প্রসঙ্গে ভাঙ্গড় 2 ব্লক তৃণমূল যুবর সভাপতি কাশেফুল করুব খান বলেন, “দলের জেলা এবং রাজ্য নেতৃত্বের নির্দেশে এনআরসি এবং নয়া নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে মিছিলের আয়োজন করা হয়। ওই মিছিলে যাওয়াকে কেন্দ্র করে আমাদের এক যুবকের মাথা ফাটে এবং আরও কয়েকজন জখম হয়। পুরো বিষয়টি দলের নেতৃত্বকে জানিয়েছি।” তবে এই ব্যাপারে যে তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি অবশ্য সম্পূর্ণ কিছু অস্বীকার করে গিয়েছেন। এদিন এই প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতা সাবির সেখ বলেন, “অপর গোষ্টীর কর্মী-সমর্থকরাই মিছিল থেকে ফেরার পথে আমাদের কয়েকজনের উপর বাঁশ লাঠি দিয়ে হামলা করেছিল। তাতে আমাদের বেশ কয়েকজন জখম হয়েছেন। আসলে আমাদের নামে বদনাম করতেই ওরা মিথ্যা অভিযোগ করছে।” আর দুই তৃণমূল নেতার মুখ থেকে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা শোনা যাওয়ায় এখন সকলেই এক প্রকার নিশ্চিত যে, তৃণমূল এখনও তাদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মিটিয়ে ফেলতে পারেনি। আর তার ফলেই এবার বিজেপি বিরোধী কর্মসূচিতেও তৃণমূলের মতভেদের ছবি ধরা পড়ল। কিন্তু এইভাবে চলতে থাকলে দলের সংগঠন যে কার্যত তলানির দিকে যাবে, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত রাজনৈতিক মহল। এখন গোটা ব্যাপারে তৃণমূল নেতৃত্ব গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মেটাতে ঠিক কি পদক্ষেপ গ্রহণ করেন! সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -