এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > চরমে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব! দুই পক্ষের মারামারিতে সুরক্ষিত নয় দলেরই বিধায়কের গাড়ি!

চরমে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব! দুই পক্ষের মারামারিতে সুরক্ষিত নয় দলেরই বিধায়কের গাড়ি!

 

লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের পরাজয়ের পেছনে যেমন জনসংযোগ বিচ্ছিন্নতা রয়েছে, ঠিক তেমনই দলের গোষ্ঠী কোন্দলও দায়ী। বিশ্লেষক থেকে পর্যবেক্ষক সবার ভোট পরবর্তী ফলাফল পর্যালোচনায় এমন কথাই উঠে এসেছে। কিন্তু নির্বাচন পরবর্তী সময়ে দলকে জনসংযোগে পাঠাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সক্ষম হলেও দলে শৃঙ্খলা যেন আসছে না কিছুতেই।

দলে গোষ্ঠীকোন্দল বরদাস্ত করা হবে না বলে দলের শীর্ষ স্তরের নেতা নেত্রীরা কড়া বার্তা দিলেও সেই বার্তা কানে প্রবেশ করিয়ে তা ফের বের করে দিচ্ছেন তৃণমূলের নেতারা। আর তাইতো এবার শান্তিপুরের ভাঙ্গা রাসের দিন তৃণমূল বিধায়কের গাড়ি ভাঙচুর এবং তার ঘনিষ্ঠ নেতার বাড়ি লক্ষ্য করে বোমাবাজির ঘটনায় সেই তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দ্বই প্রকাশ্যে চলে এল।

জানা যায়, বুধবার গভীর রাতে রাস উৎসব পরিক্রমা করে বাড়ি ফেরেন শান্তিপুরের তৃণমূল বিধায়ক অরিন্দম ভট্টাচার্য এবং তার ঘনিষ্ঠ দীপঙ্কর চট্টোপাধ্যায়। জানা যায়, বৃহস্পতিবার ভোরে হঠাৎই সেই বিধায়ক ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতা দীপঙ্কর চট্টোপাধ্যায়ের বোমার আওয়াজে ঘুম ভেঙ্গে যায়। বাড়ির বাইরে উঁকি দিয়ে তিনি দেখতে পান যে, তার বাড়ির সামনে কিছু দুষ্কৃতী ব্যাপক পরিমাণে বোমাবাজি করছে।

আর এরপরই আতঙ্কে দীপঙ্করবাবু পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ আসার আগেই দুষ্কৃতীরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ অবশ্য সেখান থেকে বেশ কিছু তাজা বোমা উদ্ধার করে। আর নিজের ঘনিষ্ঠ নেতার বাড়ির সামনে থেকে বোমাবাজির খবর পেয়ে সেই এলাকায় রওনা দিতে উদ্যত হন শান্তিপুরের তৃণমূল বিধায়ক অরিন্দম ভট্টাচার্য। গাড়ি বের করার সময় তিনি দেখতে পান যে, তার গাড়িতেও ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়েছে। পরবর্তীতে এই তৃণমূল বিধায়ক পুলিশকে খবর দিলে পুলিশের গাড়ি করে তিনি দীপঙ্করবাবুর বাড়িতে পৌঁছে যান।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিকে বিধায়কের গাড়ি ভাঙচুর এবং বিধায়ক ঘনিষ্ঠ নেতার বাড়ির সামনে এইভাবে বোমা পড়ায় দুষ্কৃতীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে শান্তিপুর থানার সামনে বেশ কিছুক্ষণ অবস্থান বিক্ষোভ করতে দেখা যায় তৃণমূল বিধায়ক ঘনিষ্ঠ কর্মী-সমর্থকদের। কিন্তু কে বা কারা এই হামলা চালালো! এদিন এই ব্যাপারে বিধায়ক ঘনিষ্ঠ দীপঙ্কর চট্টোপাধ্যায় এবং বিধায়ক অরিন্দম ভট্টাচার্যের গলায় গোষ্ঠী কোন্দলের সুরই শোনা গেছে।

এদিন এই প্রসঙ্গে দীপঙ্কর চট্টোপাধ্যায় বলেন, “এই কাজ কারা ঘটিয়েছে, সেটা বোঝা না গেলেও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে যে এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে, সেটা বোঝা যাচ্ছে। এটাও বোঝা যাচ্ছে ঘটনাটি পূর্বপরিকল্পিতভাবে ঘটানো হয়েছে। সংকীর্ণ রাজনৈতিক স্বার্থে কাজ করা হয়েছে।” এদিকে এই প্রসঙ্গে শান্তিপুরের তৃণমূল বিধায়ক অরিন্দম ভট্টাচার্য বলেন, “এই ঘটনা কারা করল এবং কেন করল, সেটা এখন খুঁজে বের করার বিষয়।

আশা করি, পুলিশ বিষয়টা দেখবে। আমরাও আমাদের মতো করে বিষয়টা দেখছি। এর আগেও আমার সঙ্গে এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে। বারংবার যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে, তাদের উদ্দেশ্য নিয়ে কোনো সংশয় থাকছে না। যে বা যারা এভাবে ভয় দেখানোর চেষ্টা করছে, তার যোগ্য জবাব শান্তিপুরের জনগণ আগেও দিয়েছেন, আগামী দিনেও দেবেন। এমনিতেই যারা পিছিয়ে পড়া, তারা আরও বেশি করে পিছিয়ে পড়বেন। মানুষ দেখছেন, মানুষ বোঝেন। শান্তিপুরের মানুষ এইসব প্রশ্রয় দেয় না।”

বিশ্লেষকদের একাংশ বলছেন, শান্তিপুরের তৃণমূল বিধায়ক অরিন্দম ভট্টাচার্যের সঙ্গে এই পৌরসভার চেয়ারম্যান অজয় দের দ্বন্দ্ব এখানে চর্চার বিষয়। ফলে তৃণমূল বিধায়ক এবং তার ঘনিষ্ঠের গাড়ি এবং বাড়ির সামনে এই ভাঙচুর আদতে গোষ্ঠী কোন্দলের ফলেই হয়েছে বলে দাবি তৃণমূলের একাংশের।

যদিও বা এই প্রসঙ্গে শান্তিপুর ব্লক তৃণমূলের সভাপতি তপন সরকার বলেন, “আমি বাইরে রয়েছি। ঘটনা সম্পর্কে আমার কিছু জানা নেই।” তবে তপনবাবু যে কথাই বলুন না কেন শান্তিপুরের তৃণমূল বিধায়ক এবং তার ঘনিষ্ঠের অসুরক্ষিত থাকার ব্যাপারটি যেভাবে প্রকট হল, তাতে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলই দায়ী বলে দাবি রাজনৈতিক মহলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!