এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > সোশ্যাল মিডিয়া সেলকে শক্তিশালী করেই কি বিজেপিকে গুনে গুনে গোল দিচ্ছে তৃণমূল? রইল তথ্য

সোশ্যাল মিডিয়া সেলকে শক্তিশালী করেই কি বিজেপিকে গুনে গুনে গোল দিচ্ছে তৃণমূল? রইল তথ্য

লোকসভা নির্বাচনের আগে নিজের দলের সোশ্যাল মিডিয়া সেলকে শক্তিশালী করার কথা বলেছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোশ্যাল মিডিয়ায় বিজেপির হয়ে প্রচুর কর্মী প্রচার করার জন্যই লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির সাফল্য এসেছে বলে দাবি করেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকেরা। অনেক কারণের মধ্যে এটাও অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কারণ বলে মনে করেন বিজেপি নেতারাও।

তবে লোকসভা নির্বাচনে ভরাডুবির পর তৃনমূল কংগ্রেস নিজেদের দিকে জনসমর্থন ফেরত আনতে দিদিকে বলোর মতো নানা প্রচার করতে শুরু করে। যার ফলে তারা মানুষের কাছে আরও বেশি করে পৌঁছে যায়। আর এর ফলেই সদ্যসমাপ্ত রাজ্যের বিধানসভা উপনির্বাচনে বিজেপিকে পর্যুদস্ত করে সাফল্য পেয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। তবে বিজেপিকে উপনির্বাচনে কুপোকাত করেই হবে না। আগামী বিধানসভা নির্বাচনে গেরুয়া শিবিরকে যে পর্যুদস্ত করতে হবে, তা ভালোমতোই উপলব্ধি করেছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

আর তাইতো সোশ্যাল মিডিয়া সেলে এখন থেকেই জোর দিচ্ছে তৃণমূলের সৈনিকরা। আর এবার সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে বিজেপির থেকে বহুগুণ পিছিয়ে থাকলেও, রাজ্য বিজেপিকে সোশ্যাল মিডিয়াতে কুপোকাত করতে শুরু করল ঘাসফুল শিবির। সূত্রের খবর, তৃণমূলের অফিশিয়াল ইউটিউব চ্যানেলে যেখানে দর্শক সংখ্যা 3 কোটি 6 লক্ষ। সেখানে “বিজেপি ওয়েস্ট বেঙ্গল” ইউটিউব চ্যানেলের দর্শক সংখ্যা 1 কোটি 13 লক্ষ। অন্যদিকে সর্বভারতীয় ইউটিউব চ্যানেলের গ্রাহক যেখানে 97 হাজার 800 জন, সেখানে “বিজেপি ওয়েস্ট বেঙ্গল” চ্যানেলের গ্রাহক মোট 67 হাজার 100 জন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, লোকসভা নির্বাচনের অনেক আগে থেকেই বিজেপির সোশ্যাল মিডিয়ার সঙ্গে পাল্লা দেওয়ার কথা নিজের সাইবার সেলের সৈনিকদের বলেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই মত নির্বাচনের আগে থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলের সমস্ত কর্মসূচির সোশ্যাল সাইটে লাইভ করা হয়। যা সরাসরি সাধারণ মানুষ দেখতে পান। তাই মুখে একাংশ বিজেপির সোশ্যাল সাইট অত্যন্ত শক্তিশালী বলে দাবি করলেও বাস্তবে যে তথ্য সমীক্ষা অন্য কথা বলছে, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত বিশেষজ্ঞরা।

কেননা যেভাবে গ্রাহক থেকে শুরু করে ভিউয়ারের সংখ্যা তৃণমূল কংগ্রেসের ইউটিউব চ্যানেলে বেড়ে চলেছে, তাতে বিজেপি তৃণমূলের কাছে এই ক্ষেত্রেও বড়সড় গোল খেয়ে গেল, সেই ব্যাপারে চিন্তায় ঘুম উড়েছে বঙ্গ বিজেপির একাংশের। এদিন এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের ফিরহাদ হাকিম বলেন, “বাংলার কৃষ্টি-সংস্কৃতির সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের নাড়ির যোগ। ফলে রাজ্যবাসীর কাছে ন্যাচেরাল ছবি তুলে ধরেছে। বিজেপির উড়ে এসে জুড়ে বসার ঔদ্ধত্য বাংলার মানুষ মেনে নিতে পারেননি বলেই ভোট বাক্সের পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়াতেও তৃণমূলকে সকলে দুহাত তুলে আশীর্বাদ করছেন।”

কিন্তু যে সোশ্যাল মিডিয়ায় তারা এত এগিয়েছিলেন, সেখানে কেন তাদেরকে পিছনে ফেলে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের দল তৃণমূল কংগ্রেস এগিয়ে গেল! তাহলে কি এবার ভোটবাক্সের পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়াতেও তৃণমূলের থেকে পিছিয়ে গেল ভারতীয় জনতা পার্টি? এদিন এই প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, “এটা ঠিক যে আমরা সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেক পিছিয়ে। কারণ তৃণমূলের মতো আমরা এর জন্য কোটি কোটি টাকা খরচ করি না। আমাদের কর্মীরা স্বেচ্ছাশ্রম দিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া গড়ে তুলেছে। তবে বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই প্রচারমাধ্যমকে আরও বেশি করে সক্রিয় করে তোলা হবে।”

তবেদিলীপবাবু যে কথাই বলুন না কেন, উপনির্বাচনে পর্যুদস্তর পর তৃণমূলের কাছে সোশ্যাল মিডিয়া সেলে বিজেপি যেভাবে গোল খেয়ে গেল, তাতে তারা কিভাবে ঘুরে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। বিশেষ করে আজকের দিনে মানুষের হাতে হাতে স্মার্টফোন ঘুরছে। আর মোবাইল কোম্পানিগুলোর ‘দয়ায়’ প্রত্যেকদিন বেশ কিছু পরিমান ইন্টারনেট ডাটা থাকছে। ফলে, ঠিক বার্তা ঠিকভাবে দেওয়া গেলে – সহজেই মানুষের কাছে পৌঁছে যাওয়া যাচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, আগামীদিনের রাজনীতি আরও বেশি করে সোশ্যাল মিডিয়া নির্ভর হয়ে পড়বে। আর তাই, তৃণমূলকে হারিয়ে বঙ্গ-বিজয় করতে হলে বঙ্গ-বিজেপিকে যে সোশ্যাল মিডিয়াতেও ‘স্মার্ট’ হতে হবে সেই ব্যাপারে প্রায় একমত সকলেই।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!