এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > পুরুলিয়া-ঝাড়গ্রাম-বাঁকুড়া > কাজ না করায় ৫ বছরের মধ্যে ৩ বছরের টাকাই পাননি, বাকি টাকার কাজও অসম্পূর্ণ – তীব্র অস্বস্তিতে তৃণমূল সাংসদ

কাজ না করায় ৫ বছরের মধ্যে ৩ বছরের টাকাই পাননি, বাকি টাকার কাজও অসম্পূর্ণ – তীব্র অস্বস্তিতে তৃণমূল সাংসদ

তৃণমূল সুপ্রিমো তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন তাঁর দলের সমস্ত জনপ্রতিনিধিদের উন্নয়নের কাজ করার জন্য সব সময় নির্দেশ দিচ্ছেন, ঠিক তখনই তৃণমূলেরই ঝাড়গ্রামের সংসদ উমা সোরেনের সাংসদ তহবিলে কোটি কোটি টাকা পড়ে থাকায় তীব্র অস্বস্তিতে পড়েছে শাসকদল। জানা গেছে, হিসেবমত প্রত্যেক সাংসদ এলাকার উন্নয়নের জন্য বছরে পাঁচ কোটি করে টাকা পান। যেখানে প্রথমে আড়াই কোটি টাকা দেওয়া হলে সেই টাকা খরচ করার পর পরবর্তীতে ফের আড়াই কোটি টাকা দেওয়া হয়‌। কিন্তু নিয়মানুযায়ী প্রথম দফায় দেওয়া টাকা যদি কোনো সংসদ সদস্য খরচ করতে না পারেন তাহলে পরবর্তীতে পরের দফায় আর তিনি টাকা পান না।

বর্তমানে এই রকমই অবস্থায় দাঁড়িয়েছে ঝাড়গ্রামের তৃণমূল সাংসদ উমা সোরেনের অবস্থা। জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, গত ২০১৪-১৫ এবং ২০১৫-১৬ সালে উমাদেবী মোট ১০ কোটি টাকা পেয়েছিলেন। কিন্তু তার মধ্যে থেকে তিনি মোট ৬ কোটি টাকা খরচ করেছেন এবং বাকি ৪ কোটি টাকা খরচ করতে না পারায় পরবর্তীতে আর তিনি কোনো টাকা পাননি। এদিকে সংসদ তহবিলে ৪ কোটি টাকা পড়ে থাকায় জেলা প্রশাসনের তরফে সেই টাকা খরচের জন্য বারবার জানানো হলে সেই উমা সোরেন অবশেষে জেলা প্রশাসনের কাছে একটি প্রকল্প জমা করেন।

যেখানে মিটার পিছু বাড়ি বাড়ি এলইডি লাইট লাগানো প্রকল্প জমা দেওয়া হয়। কিন্তু বাস্তবে সংসার তহবিলের টাকার মাধ্যমে সেই কাজ না করতে পারায় সেই টাকা দিয়ে রাস্তার আলো লাগানো হবে বলে ঠিক করা হয়। তবে সমস্ত কিছু পাকা হয়ে গেলেও শেষ পর্যন্ত এই কাজে অনীহা দেখা দেয় তৃণমূল সাংসদ উমা সোরেনের। পরবর্তীতে হাইমাস্ট আলো লাগানো প্রকল্পের জন্য জেলা প্রশাসনের কাছে উমা সোরেনের পক্ষ থেকে পাঠানো হলেও সেই ব্যাপারে জেলা প্রশাসন সাংসদকে বললেও ফের তা নিয়ে কোনোরকম উচ্চবাচ্য শোনা যায়নি সেই সাংসদের গলায়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর এলাকার উন্নয়নের কাজে ঝাড়গ্রামের তৃণমূল সাংসদ উমা সোরেনের অনীহা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে বিভিন্ন মহলে। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবারই ঝাড়গ্রামের জেলাশাসকের পক্ষ থেকে সই করা একটি চিঠিতে ঝাড়গ্রামের তৃণমূল সাংসদ উমা সোরেনের কাজে এই ঢিলেমের কথা উল্লেখ করে রাজ্যের অ্যাডিশনাল চিফ সেক্রেটারি তাল্লিন কুমারের কাছে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত বছর ঝাড়গ্রামের প্রশাসনিক সভায় এসে সাংসদ উমা সোরেনকে মুখ্যমন্ত্রীর কড়া ধমকের মুখে পড়তে হয়।

উমা সোরেনকে উদ্দেশ্য করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “তোমার বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ রয়েছে। তুমি কারও সঙ্গে মেশো না, কারও সাথে কথা বলো না। তাহলে তুমি কিসের জনপ্রতিনিধি? মানুষ যদি তোমার সঙ্গে যোগাযোগই না করতে পারে, তাহলে জনপ্রতিনিধি হিসেবে তুমি ঠিক কি, তা একটু ভেবে দেখো।” আর মুখ্যমন্ত্রীর এই ধমকের পর উমা সোরেন ঠিকঠাক মত কাজ করবেন বলে বিভিন্ন মহল থেকে ভাবা হলেও তিনি যে তাঁর আগের পর্যায়েই রয়ে গেছেন এবার জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সেই ঝাড়গ্রামের তৃণমূল সাংসদ উমা সোরেনের বিরুদ্ধে লেখা সরকারের কাছে পাঠানো এক চিঠিতেই তা ফের স্পষ্ট হয়ে গেল।

কি লেখা আছে সেই চিঠিতে? এদিন এই প্রসঙ্গে ঝাড়গ্রামের জেলাশাসক পি মোহন গান্ধীকে প্রশ্ন করা হলে তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “আমি এই ব্যাপারে কিছু বলতে পারব না।” কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধে এত অভিযোগ কেন? কেন তিনি সাংসদ তহবিলের টাকা খরচ করতে পারলেন না? এদিন এই প্রসঙ্গে ঝাড়গ্রামের তৃনমূল সাংসদ উমা সোরেনকে সংবাদমাধ্যম কোগাযোগ করলে, “আমি ব্যস্ত আছি, এই বিষয় নিয়ে পরে কথা বলব” – বলে ফোন কেটে দেন। সব মিলিয়ে এবার লোকসভা ভোটের আগে কাজ না করায় এবং ৫ বছরের মধ্যে ৩ বছরেরই টাকা না পাওয়ায় ঝাড়গ্রামের তৃণমূল সাংসদ উমা সোরেনের কীর্তিতে বেজায় অস্বস্তিতে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!