এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > স্বামী জেলে যেতেই বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে, আর কি কি শর্তে দলবদল? চাপা গুঞ্জন অধিকারী গড়ে

স্বামী জেলে যেতেই বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে, আর কি কি শর্তে দলবদল? চাপা গুঞ্জন অধিকারী গড়ে


স্বামী জেলে যেতেই কীভাবে হঠাৎ করে দলবদল করে ফেললেন তমলুকের বিজেপি শাসিতে শ্রীরামপুর-১ পঞ্চায়েতের প্রধান? এ প্রশ্নকে কেন্দ্র করেই গুঞ্জন শুরু হয়েছে অধিকারী গড়ে। দিনকয়েক আগে পঞ্চায়েত প্রধান মঞ্জু বেরার স্বামী গুরুপদ বেরার বিরুদ্ধে তৃণমূল সমর্থকদের মারধোর,এবং মহিলাদের অকথ্যভাষা গালিগালাজ এবং শ্লীলতাহানির অভিযোগের ভিত্তিতে তমলুক থানার পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। এই ঘটনার এক সপ্তাহ যেতে না যেতেই বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন মঞ্জু বেরা।

অথচ এই মঞ্জু দেবীই দুদিন আগেই তাঁর স্বামীকে ষড়যন্ত্র করে ফাঁসিয়ে দেওয়ার অভিযোগ তুলেছিলেন তৃণমূলের বিরুদ্ধে। সেই মঞ্জু বেরা কীভাবে তৃণমূলে যোগ দিলেন তা নিয়ে রীতিমতো হকচকিয়ে গিয়েছেন বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা। তৃণমূলই ভয় দেখিয়ে মঞ্জু বেরাকে দলবদল করতে বাধ্য করেছে,এবার এমনটা অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। মঞ্জুদেবী তৃণমূলে চলে যাওয়ায় শ্রীরামপুর-১ পঞ্চায়েতের ক্ষমতা দখল প্রায় নিশ্চিত শাসকদলের। মঞ্জু বেরাই পঞ্চায়েত প্রধান পদে থাকছেন। এমনটাই জানা গেল তৃণমূল সূত্রের খবরে।

আরো জানা গিয়েছে,আগামী সোমবার থেকে ওই সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েতের কার্যালয়ে তৃণমূলের পঞ্চায়েড প্রধান হিসাবে কাজ যোগ দেবেন মঞ্জু বেরা। তৃণমূলের তরফ থেকে ওইদিন পঞ্চায়েত অফিস চত্বরে একটি সভার আয়োজন করা হয়েছে। উল্লেখ্য,গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে ১৪ সদস্যের এই শ্রীরামপুর-১ পঞ্চায়েতে বিজেপির তরফ থেকে ৪ জন,নির্দল ৫ জন এবং তৃণমূলের তরফ থেকে ৫ জন সদস্য জয়ী হন। এরপর বিজেপি এবং নির্দল জোট বেঁধে পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন করে। প্রধানের দায়িত্বে বিজেপির মঞ্জু বেরা এবং উপপ্রধানের দায়িত্বে নির্দল সদস্য শঙ্কর বর্মনকে আনা হয়। এরপর থেকেই নাকি বিজেপির কর্মী সমর্থকদের উপর অত্যাচার শুরু করে তৃণমূল।

এমনকি বিজেপি পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী গুরুপদ বেরাকেও মিথ্যা মহিলা কেসে ফাঁসিয়ে দেওয়া হয়। এমনটাই অভিযোগ বিজেপির। যাইহোক,মঞ্জু বেরা সহ আরো দুজন বিজেপি সদস্য তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় তৃণমূলের সদস্য সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৭ জন। এরপর পঞ্চায়েতের ৫ নির্দল সদস্যের একাংশ তৃণমূলে যোগ দেবে বলে দাবী করে তৃণমূল। এ প্রসঙ্গে ব্লকের তৃণমূল নেতা তথা পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ সোমনাথ বেরা জানান,বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে আসলেও মঞ্জু বেরাই পঞ্চায়েত প্রধান থাকছেন। এই পঞ্চায়েতে এবার নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠ অবস্থানে এল তৃণমূল। এবার থেকে এই এলাকায় উন্নয়নের কাজে আরো গতি পাবে বলেই দাবী করলেন তিনি।

 

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিকে তৃণমূলে যোগ দেওয়া নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানালেন মঞ্জু দেবী। জানালেন,‘‘আমাকে প্রধান হিসেবে রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। তবে জেল হেফাজতে থাকা স্বামীর জামিনের ব্যবস্থা না হওয়া পর্যন্ত আমি পঞ্চায়েতের কাজে যোগ দিতে চাই না। স্বামীর জামিন হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে চাই।’’ মঞ্জুদেবীর এই বয়ানকে হাতিয়ার করে তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলে বিজেপি। তাঁদের বক্তব্য,পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামীকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছিলো কেবলমাত্র মঞ্জুদেবীকে তৃণমূলের আসার জন্যে পরোক্ষভাবে চাপ সৃষ্টি করতে। মঞ্জুদেবীকে ভয় দেখিয়ে,তাঁর উপর অন্যায়ভাবে চাপ সৃষ্টি করে দলবদল করতে বাধ্য করা হয়েছে,এমনটাই অভিযোগ বিজেপির।

এ প্রসঙ্গে অভিযোগের সুর চড়িয়ে বিজেপির তমলুক জেলা সভাপতি প্রদীপ দাস বলেন,গত পঞ্চায়েত ভোটের তৃণমূলের সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতেই বিজেপিকে ভোটে জিতিয়েছিল শ্রীরামপুর-১পঞ্চায়েতের স্থানীয়রা। মানুষের সমর্থন নিয়েই এই পঞ্চায়েতের ক্ষমতায় আসে বিজেপি। তারপর থেকেই পঞ্চায়েতের ক্ষমতা দখলের লোভে বারবার দলীয় গুন্ডাদের দিয়ে মঞ্জু বেরার কাজে বাধা দেওয়া হয়।

পাশাপাশি তাকে প্রাণের মারার হুমকিও দেয় তৃণমূল। এরপর মিথ্যা মহিলা কেসে মঞ্জুদেবীর স্বামীকে ফাঁসিয়ে দিয়ে তাকে দলবদল করতে বাধ্য করে তৃণমূল। এর পাশাপাশি তিনি অভিযোগে আরো জানান,”মুখেই শুধু শাসক দলের নেতা-নেত্রীরা গণতন্ত্রের কথা বলেন। এই ঘটনায় মানুষের রায়কেই ওঁরা পদদলিত করলেন।’’ তবে এ অভিযোগ ভিত্তিহীন বলেই দাবী করেন তৃণমূল নেতা সোমনাথ বেরা। এলাকার উন্নয়নের স্বার্থেই মঞ্জু বেরা সহ আরো দুজন বিজেপি সদস্য তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন বলেই দাবী করলেন তিনি।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!