এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > পুরুলিয়া-ঝাড়গ্রাম-বাঁকুড়া > ফের তৃণমূলের ঘর ভাঙল বিজেপি,গেরুয়া ঝড়ে ক্রমশ চাপ বাড়ছে শাসকদলের

ফের তৃণমূলের ঘর ভাঙল বিজেপি,গেরুয়া ঝড়ে ক্রমশ চাপ বাড়ছে শাসকদলের

লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে বাংলায় এসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী থেকে শুরু করে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি দাবি করেছিলেন যে, লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের ভরাডুবি হবে এবং এই ফলাফল ঘোষণার পরদিন থেকেই তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতা, বিধায়কেরা বিজেপিতে যোগদান করতে শুরু করবেন। আর বিজেপির শীর্ষ নেতাদের এই দাবিকে সত্যি করে এবারের লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যে তৃণমূলের ভরাডুবি এবং বিজেপির প্রবলভাবে উত্থান হওয়ার পর থেকেই ইতিমধ্যেই তৃণমূলের একাধিক বিধায়ক, নেতা এবং রাজ্যের একাধিক পুরসভার শাসকদলের কাউন্সিলররা পদ্ম শিবিরে যোগ দিয়েছেন।

এমনকি ভবিষ্যতে গোটা তৃণমূল দলটাই এই দলবদলের জেরে ভেঙে চুরমার হয়ে যাবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন বঙ্গ রাজনীতির চাণক্য তথা বিজেপির হেভিওয়েট নেতা মুকুল রায়। আর এরই মাঝে এবার বাকুড়ায় সেই শাসকদল ভেঙে প্রচুর তৃণমূল নেতাকর্মীরা যোগদান করলেন বিজেপিতে।

সূত্রের খবর, আজ বাঁকুড়ার লালবাজার ফিটার রোডের একটি বেসরকারি হোটেলে এই যোগদানের অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়। যেখানে বাঁকুড়া জেলা তৃণমূলের অন্যতম সহ-সভাপতি সব্যসাচী রায়, তৃণমূল সমর্থক তথা বিশিষ্ট আইনজীবী অরুন শীট সহ 40 জন তৃণমূল কর্মী যোগদান করেন গেরুয়া শিবিরে। আর তৃণমূল থেকে বিজেপিতে আসা এই নেতাকর্মীদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন বাঁকুড়া লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ সুভাষ সরকার।

কিন্তু কেন তারা বিজেপিতে যোগ দিলেন? এদিন এই প্রসঙ্গে সব্যসাচী রায় বলেন, “ক্ষমতার লোভে কখনও রাজনীতিতে আসিনি। মানুষের জন্য কাজ করাটাই অন্যতম লক্ষ্য। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সবকা সাথ ও সবকা বিকাশকে সামনে রেখে এবং তার আদর্শে বিশ্বাস রেখেই আমরা বিজেপিতে যোগ দিলাম। ভবিষ্যতে আরও অনেকে বিজেপিতে যোগ দেবেন।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে একধাপ এগিয়ে তৃণমূলে পরিবার তন্ত্র চালু হয়েছে বলে অভিযোগ করে সরব হন তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া বিশিষ্ট আইনজীবী অরুন শীট। এদিন তিনি বলেন, “আরএসএস দিয়ে আমার রাজনৈতিক জীবন শুরু হলেও পরে কংগ্রেস করেছি। কিন্তু সিপিএম বিরোধী প্রধান মুখ হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তৃণমূলে যোগ দিয়েছি। কিন্তু বর্তমানে তিনি ক্ষমতায় আসার পর যেভাবে পরিবারতন্ত্র চালু করে মাফিয়া রাজ নিয়ে দল চালাতে শুরু করেছেন, তাতে এখন এই দলে অনেকেই ব্রাত্য। কার্তিক, গণেশ এখন বিশেষ জায়গা পাচ্ছেন। তাই নরেন্দ্র মোদি যেভাবে গরিব মানুষের জন্য কাজ করছেন, তা দেখে অনুপ্রাণিত হয়েই বিজেপিতে যোগ দিয়েছি।”

এদিকে বাঁকুড়া জেলা তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতা, কর্মীরা বিজেপিতে যোগ দেওয়ায় কিছুটা হলেও অস্বস্তিতে পড়েছে জেলা তৃণমূল। পাশাপাশি আগামী দিনে বাঁকুড়া জেলা থেকে আরও প্রচুর কর্মী বিজেপিতে যোগ দেবেন বলে এদিন দাবি করেছেন বাঁকুড়া লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ সুভাষ সরকার। সব মিলিয়ে সারা রাজ্যের বিভিন্ন জেলার পাশাপাশি এবার বাঁকুড়া জেলাতেও শাসকের ঘরে ভাঙ্গন ধরাল বিজেপি।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!