এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > নদীয়া-২৪ পরগনা > মওকা কাজে লাগিয়ে এবার তৃণমূলের বিক্ষুব্ধদের ঘরে তুললো বিজেপি

মওকা কাজে লাগিয়ে এবার তৃণমূলের বিক্ষুব্ধদের ঘরে তুললো বিজেপি

লোকসভা ভোটের আগে থেকেই নিজেদের ঘর গোছাতে শুরু করেছে বিজেপি। রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের ঘর ভেঙে একে একে বিধায়ক ও সাংসদ, প্রাক্তন সাংসদ,নেতা। কর্মী সমর্থকদের দলে নিয়ে বিজেপির শক্তি বৃদ্ধি করেছে। আর লোকসভা ভোটের পর রাজ্যের শাসক দলের হাতে ২২ টি ও অন্যদিকে বিজেপির হাতে১৮ টি আসন আসার পর জলের তোড়ে ভাঙতে শুরু করেছে তৃণমূল। আর রাজ্যের প্রায় সব জেলাতেই এই ভাঙ্গন অব্যাহত।

দলের নেতা -কর্মী- সমর্থক ছাড়াও বিধায়ক সাংসদকে দলে নেবার পর এবার বিজেপি তৃণমূলের বিক্ষুব্ধদের দিকে হাত বাড়ালো। জানা যাচ্ছে। এইদিন আমতা চন্দ্রপুর পঞ্চায়েত এর তৃণমূলের বিক্ষুব্ধরা বিজেপিতে যোগ দিলেন। প্রসঙ্গত বিরুদ্ধ গোষ্ঠীর অত্যাচারে দীর্ঘদিন ঘরছাড়া ছিলেন তাঁরা এমনটাই অভিযোগ তুলেছিলেন এই বিক্ষুব্ধরা। পাশাপাশি অভিযোগ তুলেছিলেন যে এই নিয়ে অপর গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে দলের নেতা মন্ত্রী এমনকি মুখ্যমন্ত্রীকে অভিযোগ জানিয়েও কোনো লাভ হয়নি। আর এবার সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে নিজেদের ঘর গোছাতে শুরু করলো বিজেপি।

জানা যাচ্ছে মঙ্গলবার উলুবেড়িয়ার মনসা তলায় বিজেপি জেলা দপ্তরের দলীয় কার্যালয়ে এসেছিলেন দিলীপ ঘোষ এবং সেখানেই তার হাত ধরে তৃণমূলের বিক্ষুব্ধ কর্মীরা দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন। এদের মধ্যে রয়েছেন চন্দ্রপুর পঞ্চায়েত এলাকায় তৃণমূলের সভাপতি আসফার মিদ্দ্যা, এই পঞ্চায়েতের পদত্যাগী প্রধান মোসারফ মিদ্দ্যা, পঞ্চায়েতের উপপ্রধান-সহ আট জন পঞ্চায়েত সদস্য এবং এই পঞ্চায়েত থেকে নির্বাচিত পঞ্চায়েত সমিতির দু’জন সদস্য ও তাঁদের কয়েকশো অনুগামীও।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বিজেপিতে যোগ দিয়ে এদিন বিক্ষুব্ধরা অপর গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেন, ফারুক মাত্র ৩ জনকে নিয়ে পঞ্চায়েত চালাতে গিয়ে মানুষের অধিকার হরণ করেছে। এখন আমরা বিজেপিতে যোগ দিয়েছি তাই আমরা সংখ্যা গরিষ্ঠ বিজেপিই এই পঞ্চায়েতের নেবে।

যদিও এই নিয়ে তৃণমূল নেতা ও মন্ত্রী নির্মল মাজি বলেন ঘরছাড়াদের আমরা ফেরাবার সব রকম ব্যবস্থা করেছিলাম।টাকার লোভ দেখিয়ে বিজেপি ওদেরকে নিয়ে গেছে। টাকার কাছে ওরা বিকিয়ে গেছে। দুষ্কৃতীদের নিয়ে পঞ্চায়েত দখল করতে এলে গ্রামবাসীরাই বিজেপিকে বাধা দেবে আমাদের কিছু করতে হবে না।

প্রসঙ্গত তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চরম আকার ধারণ করেছে অনেক দিন ধরেই বার বার তৃণমূলের তরফ থেকে হুঁশিয়ারি দেখিয়েও কাজ হয়নি এবং সে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণেই লোকসভা ভোটে ব্যাপক ভাবে খারাপ ফল করেছে তৃণমূল।এছাড়া পুরনো কর্মীদের কোণঠাসা করে নতুন যারা দলে যারানতুন যোগদান করেছেন তাদেরকে ক্ষমতা পাইয়ে দেয়ার অভিযোগও আছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। আর সেই কারণে অনেকেই বিক্ষুব্ধ হয়ে দল ছাড়ছেন আর তার ফায়দা লুটছে বিজেপি। রাজনৈতিক মহলের ধারণা এই ভাবে যদি তৃণমূলের বিক্ষুব্ধরা এক এক করে দল ছেড়ে বিজেপিতে যায় আর এইভাবেই যদি নিদের ক্ষমতা বাড়াতে থাকে গেরুয়া শিবির তবে কিন্তু আদতে ক্ষতি তৃণমূলেরই। তাই দেরি না করে অবিলম্বে এই ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা না নিলে পরবর্তীকালে আরও সমস্যায় পড়তে হতে পারে শাসক দলকে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!