এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > শাসকদলের রক্তচাপ বাড়িয়ে সাংসদের হাত ধরে ফের তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে বহু, জেনে নিন

শাসকদলের রক্তচাপ বাড়িয়ে সাংসদের হাত ধরে ফের তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে বহু, জেনে নিন


এককালে তৃণমূলের অন্যতম গড় হিসেবে পরিচিত জঙ্গলমহল এবারের হাতছাড়া হয়েছে শাসকদলের। সেই পঞ্চায়েত ভোটের সময় থেকেই পুরুলিয়ায় বিজেপির বাড়বাড়ন্ত লক্ষণীয়। পঞ্চায়েত ভোটে অন্য জায়গায় ভালো ফল করলেও হাতছাড়া হয়েছে পুরুলিয়া। যার ফলে তড়িঘড়ি সাংগঠনিক ক্ষেত্রেও রদবদল করেছেন নেত্রী। কিন্তু তাতেও শেষ রক্ষা হয়নি। লোকসভা ভোটে প্রকট হয়েছে তৃণমূলের অভ্যন্তরের ক্ষয়িষ্ণু অবস্থা।

লোকসভা ভোটে পুরুলিয়া থেকে বিজেপির হয়ে জিতেছেন জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো। আর তারপর থেকেই অন্য জায়গার মতো বিজেপি এখানেও নিজেদের দলবদলের ধরা অব্যাহত রেখেছে। লোকসভা ভোটের আগে থেকেই বলাবাহুল্য পঞ্চায়েত ভোটের পর থেকেই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যাওয়ার একটা প্রবণতা দেখা গিয়েছিল আর লোকসভা ভোটের পর তা অব্যাহত আছে. অরে দিন ফের তৃণমূলের রক্তচাপ বাড়িয়ে পুরুলিয়া ধর্মশালার বাগমুন্ডি বিধানসভার সুন্দরী অঞ্চল থেকে 70 টি পরিবার যারা তৃণমূলের কর্মী সমর্থক ছিলেন তারাই এদিন বিজেপিতে যোগদান করেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

জানা যাচ্ছে এদিন বিজেপির রাজ্যের সাধারণ সম্পাদক প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায় ও জেলা সভাপতি বিদ্যাসাগর চক্রবর্তী,পুরুলিয়ার সাংসদ জ্যোতির্ময় মাহাতো এবং জেলার সাধারণ সম্পাদক সহ জেলা নেতৃত্বরা উপস্থিত ছিলেন একটি দলীয় অনুষ্ঠানে আর সেখানেই তৃণমূল ছেড়ে এই 70 টি পরিবার বিজেপিতে যোগদান করেন। যোগদানকারীদের হাতে এদিন দলীয় পতাকা তুলে দেন পুরুলিয়ার সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো ও প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং জেলা সভাপতি বিদ্যাসাগর চক্রবর্তী।

বিজেপিতে যোগ দিয়ে যোগদানকারীরা জানান যে, তৃণমূলের উপর ভরসা না রাখতে পেরে এদিন তারা বিজেপিতে যোগদান করেন। এই নিয়ে বিজেপির তরফ থেকে দাবি করা হয় যে এখনো অনেক যোগদান বাকি আছে। পুরুলিয়া আস্তে আস্তে তৃণমূল শূণ্য হয়ে যাবে। অনেকে নেতা নেত্রী, কর্মী সমর্থক তাদের সাথে যোগাযোগ রাখছেন এবং বিজেপিতে যোগদান করতে চাইছেন।

তবে বিজেপির সেই দাবিকে খন্ডন করে তৃণমূলের তরফ থেকে পাল্টা দাবি করা হয়েছে যে যারা গেছে তারা আবার কদিন পরেই ফিরে আসবেন। বিজেপি জোর করে ভয় দেখিয়ে নিয়ে গেছে। কাউকে জোর করে রাখা যায় না।

এই নিয়ে অবশ্য রাজনৈতিক মহলের মত, এইভাবে যদি বিজেপি নিজেদের ক্ষমতা বাড়াতে থাকে তাহলে তৃণমূলের জন্য কোন খারাপ ইঙ্গিত নিয়ে আসছে অবিলম্বে তৃণমূলের নিজেদের সংগঠনের দিকে নজর দেওয়া উচিত। এখন দেখার তৃণমূল কিভাবে নিজেদের সংগঠনকে নতুন ভাবে সাজিয়ে বিজেপিকে প্রতিরোধ করে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!