উলটপুরাণ রাজ্যে। তৃণমূল ছেড়ে সিপিআইএম এ যোগদানকরেন প্রায় ১০০ জন কর্মী-সমর্থক। ৩৪ বছর শাসন করার পর ২০১১ তে পরিবর্তনের ডাক দিয়ে সরকার গড়েন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তার পর থেকেই সিপিআইএম আসতে আসতে নিজেদের শক্তি হারিয়েছে।বিপুল সংখ্যক কর্মী সমর্থক থেকে দলের নেতা নেত্রীরা একের পর এক যোগ দিয়েছেন তৃণমূলে।

এদিকে ২০১৯ এ বিজেপিকে ক্ষমতা থেকে হটাতে ব্রিগেডের ডাক দিয়েছেন সেখানে দেশের ২২ টি বিজেপি বিরোধী দল এর হেভিওয়েট নেতারা উপস্থিত ছিলেন। আর তার পরেই এহেন ঘটনা ঘটেছে।

জানা যাচ্ছে যে, হাড়িপাড়া থানার মালোপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রায় ১০০ জন কর্মী সমার্থক এদিন সিপিআইএম এ যোগ দেন। স্থানীয় সিপিআইএম নেতৃত্ব তাদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন। জানা যাচ্ছে যাঁরা এদিন সিপিআইএম এযোগ দিয়েছেন তাঁরা একসময় সিপিআইএম ই ছিলেন কিন্তু সিপিআইএম ছেড়ে তাঁরা তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু এদিন আবার পুরানো দলেই আস্থা রেখে সিপিআইএম ফিরে এলেন।

এদিন বাম দলে যোগ দিয়ে তাঁরা জানান যে, তৃণমূলের উন্নয়নে সামিল হয়েছিলেন তাঁরা কিন্তু ভুল ভেঙেছে ,কিচ্ছু উন্নয়ন হয়নি তাই ফের পুরানো দলের প্রতি আস্থা রেখে সিপিআই এমএ ফেরত এলেন।
এদিকে এই নিয়ে সিপিআইএমের স্থানীয় নেতৃত্ব দাবি করেন যে, আরো মানুষ আসবেন। যারা ছেড়ে গিয়েছিলেন তারাও আসবেন, বিজেপি, তৃণমূলের বিরুদ্ধে একমাত্র লড়তে পারে সিপিআইএম।

অন্যদিকে এই নিয়ে তৃণমূলের দাবি কেউ তৃণমূল ছেড়ে যায়নি। নিজেদের দলে থাকা কয়েকজনকেই ফের দলের পতাকা ধরিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে দাবি করছে যে তৃণমূল ছেড়ে সিপিআইএমে এসেছে , তাদের দাবি সিপিআইএমের আর কোনো অস্তিত্বই নেই। তাই কেউ তাদের দলে যাবে না।