এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মেদিনীপুর > তৃণমূল কর্মী হওয়ার “দায়ে” এবার মার খেলেন করোনা যোদ্ধা! গ্রেপ্তার ৪ বিজেপি কর্মী! সরগরম রাজ্য

তৃণমূল কর্মী হওয়ার “দায়ে” এবার মার খেলেন করোনা যোদ্ধা! গ্রেপ্তার ৪ বিজেপি কর্মী! সরগরম রাজ্য


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –বারবার বলা হয়েছে, করোনা ভাইরাসের সঙ্গে যারা লড়াই করছেন তাদের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করবেন না। কিন্তু তা সত্ত্বেও বিভিন্ন জায়গায় করোনা যোদ্ধাদের আওতায় পড়া চিকিৎসক, নার্স, প্রশাসনিক কর্তা ব্যক্তিদের নিগ্রহের ঘটনা সামনে এসেছে। এবার করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত সরকারি নিভৃতবাসের এক কেয়ারটেকারকে খুনের চেষ্টার অভিযোগে অভিযুক্ত হলেন 4 বিজেপি কর্মী। জানা গেছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঝাড়গ্রাম জেলার সাঁকরাইল ব্লকের পাথরা পঞ্চায়েতের বাঁকড়া গ্রামে সম্প্রদায়ের যুবক সোনু প্রামানিক আক্রান্ত হন।

বর্তমানে সংকটজনক অবস্থায় মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার চিকিৎসা চলছে। বস্তুত, এই বাকড়া গ্রাম পঞ্চায়েত বিজেপির দখলে রয়েছে। উপসর্গহীন যে সমস্ত করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি রয়েছেন, তাদের রাখবার জন্য বাকড়ায় কর্মতীর্থ ভবনে সরকারি নিভৃতবাস চালু করা হয়েছিল। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সেখানেই খাবার পৌঁছতে গিয়েছিলেন সোনু প্রামানিক। সেই সময় কিছু লোকজন তাকে বাধা দেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অভিযোগ করতে শুরু করে, নিভৃতবাসে সোনু প্রামানিক যাতায়াত করে করোনা ছড়াতে শুরু করেছেন। এই নিয়ে তার সঙ্গে বিজেপির লোকজনের চরম বচসা তৈরি হয়। পরবর্তীতে বাস, লাঠির আঘাতে আক্রান্ত সোনু প্রামাণিককে গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করার পর সেখান থেকে ঝাড়গ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে রেফার করা হয়। এদিন এই প্রসঙ্গে সোনু প্রামাণিকের বাবা লোকনাথ প্রামানিক বলেন, “এই পরিস্থিতিতে আমার ছেলে তো মানুষের পাশে দাঁড়ানোর কাজ করছিল।

কিন্তু ওকে এভাবে মারধর করে কি লাভ হল?” এদিকে ঘটনার পরেই সোনু প্রামানিকের মা মিনা প্রামানিক 11 জনের বিরুদ্ধে সাঁকরাইল থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। যে ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে 4 বিজেপি নেতা কর্মী গ্রেফতার হয়েছে বলে খবর। জানা গেছে, এদিন আদালত চারজনকে জেল হেফাজতে রাখবার নির্দেশ দিয়েছে। যার ফলে গোটা ঘটনায় ব্যাপক অস্বস্তিতে পড়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি।

এদিন এই প্রসঙ্গে ঝাড়গ্রাম জেলা যুব তৃনমূলের সভাপতি শান্তনু ঘোষ বলেন, “সোনু প্রামানিক যুবশক্তি কর্মসূচির একজন যুবযোদ্ধা। ব্লক প্রশাসন তাকে সরকারি নিভৃতবাসের আবাসিকদের দেখভালের দায়িত্ব নিয়েছিলেন। স্বাস্থ্যবিধি মেনে কাজ করছিলেন। কিন্তু বিজেপির লোকজন এই সংকটকালে অত্যন্ত ঘৃণ্য রাজনীতি শুরু করেছে।” যদিও বা গোটা ঘটনায় রাজনীতি রং লাগানো হচ্ছে। তাই তাদের দলীয় কর্মীদের গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা বিজেপি সম্পাদক সঞ্জিত মাহাতো। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি ক্রমেই যে উত্তেজনা ভয় হয়ে উঠেছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!