প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সম্প্রতি যেখানে রাজনীতিতে তৃণমূলের ঘর ভাঙার খবর বারবার প্রকাশ্যে আসছে বলে মন্তব্য করেছেন বিশেষজ্ঞরা, সেখানে কিছুদিন আগে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে চরম বিতর্ক শুরু হয়। কিছুদিন আগেই হরিদেবপুরের সভায় রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় এর বক্তব্যকে কেন্দ্র করে রাজনীতিতে নতুন করে জল্পনা শুরু হয়েছে বলে দেখা যায়।

আর সেখানেই উঠে আসে শুভেন্দু অধিকারী থেকে শুরু করে দলের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে একাধিক প্রশ্ন। বস্তুত, সেইসময় রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় এর কথার পর চলতে থাকা জল্পনাকে আরো একধাপ বাড়িয়ে দিয়ে কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় তাঁর নামে পোস্টার এবং ফ্লেক্স লক্ষ্য করা যায়। সেই সঙ্গে অন্যদিকে তাঁর বক্তব্যের পর বলা হয়েছিল তিনি শুভেন্দু অধিকারীর মতাদর্শ অনুসরণ করে রাজনীতিতে কাজ করছিলেন।

তাই সম্প্রতি অরাজনৈতিক সভা থেকেই রাজীব ব্যানার্জির করা মন্তব্যকে ঘিরে জল্পনার শেষ ছিল না। সেখানে শুভেন্দু অধিকারীর মন্তব্যের প্রসঙ্গকে টেনে এনে রাজনীতিকরা অনুমান করেছিলেন যে শুভেন্দু অধিকারীর ধারণাকে সঙ্গে নিয়েই অরাজনৈতিক সভা থেকে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় এর এই মন্তব্য। যা কিনা সেইসময় ব্যাপক বিতর্ক তৈরি করেছিল রাজনৈতিক মহলে।

কিন্তু তার মধ্যেই কলকাতাতে পড়া তাঁর নামে পোস্টার এবং ফ্লেক্স দেখে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা অনুমান করছেন যে শুভেন্দু অধিকারী দল ছাড়লে যে সমস্ত নেতা-মন্ত্রীদের দল ছাড়ার সম্ভাবনা প্রবল হয়ে উঠবে, তাদের মধ্যে থেকে বনমন্ত্রী রাজীব ব্যানার্জির নাম উঠে আসবে, এমনটাই মনে করেছিলেন তাঁরা।

এরই মধ্যে উদয়ন গুহ কটাক্ষ করে বলেছেন যে, “জল, জঙ্গল নয় পদ্মফুল’ এই তিনটির কোনওটিকে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যয় বেছে নেবেন। যদিও এরই মাঝে দেখতে গেলে হাওড়াতে তৃণমূলের পরিস্থিতি রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে বেশ বিব্রত। অন্যদিকে বালিতে, বৈশালী ডালমিয়াকে ঘিরেও তৃণমূলে অস্বস্তি রয়েছে। সেখানে কিছুদিন আগেই বহিরাগত তত্ত্বে তাঁকে দলেরই একাংশের বিরোধিতার মুখে পড়তে দেখা গিয়েছিল।

সেই বিষয় নিয়ে দলের তরফে কয়েকদিন আগে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে জানান, “কোথায় কাকে প্রার্থী করা হবে দল ছিক করবে।” যদিও তথ্য সূত্রে জানা গেছে, রাজীবের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চেয়েছে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। সেখানে আর কয়েকদিনের মাঝেই সেই বৈঠকের সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানা গেছে।

তবে এরই মাঝে সরকারের বঙ্গজননী বৈঠকে তাঁর অনুপস্থিতি ঘিরে জল্পনা শুরু হয়েছে বলে জানা গেছে। সেখানে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, অনেক সময় কোনও উদ্যোগ না নেওয়াটাও একটা উদ্যোগ। আর তাতে নিজের অবস্থান বোঝান যায় বলেই মনে করছেন তাঁরা।

তাই এদিন তাঁর বঙ্গজননী কর্মসূচিতে না থাকাকে সেভাবেই দেখছেন অনেকে। ফলে, দলের কর্মর্সূচিতে উপস্থিত না থেকেও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের থেকে তিনি বেশি আলোচনায় উঠে এসেছেন ‘ব্যক্তি’ মানুষ হিসাবে। তবে এই বিষয়ে হাওড়ায় তৃণমূলের তরফে হাওড়ার সভাপতি লক্ষ্মীরতন শুক্লা শুধু “সবারই কিছু কাজ থাকে” বলেই জানিয়েছেন বলে জানা গেছে।