কৃষ্ণনগরে তৃণমূলের নিচুতলার ক্ষোভ কি বাড়তি অক্সিজেন দেবে বিরোধীদের? জল্পনা ক্রমশ বাড়ছে নদীয়া-২৪ পরগনা রাজ্য April 27, 2019 কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রকে দখলে রাখবার জন্য এবার সেখানে তাপস পালের বদলে মহুয়া মৈত্রকে প্রার্থী করেছে তৃণমূল। কিন্তু ইংরেজিতে দক্ষ, সুবক্তা হিসেবে পরিচিত মহুয়া মৈত্র প্রার্থী হলেও দলের নেতাকর্মীদের কারও কথাই তিনি শুনছেন না বলে এবার বিভিন্ন মহলে অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, একেই তো নদীয়ায় গোষ্ঠী কোন্দল নিয়ে রীতিমত হাঁসফাঁস অবস্থা শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের। তার মধ্যে মহুয়া মৈত্রকে প্রার্থী পর সেই গোষ্ঠী কোন্দল মিটবে বলে বিভিন্ন মহল থেকে মনে করা হলেও মহুয়াদেবী দলের একাংশের কোনো কথা কর্ণপাত না করায় তার জয়ের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াবে সেই দলেরই একাংশের দ্বন্দ্ব বলে দাবি পর্যবেক্ষকদের। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত জানুয়ারি মাসের শুরুতেই নদীয়া জেলা সফরে এসে কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রের সংগঠন দেখবার জন্য মহুয়া মৈত্রকে দায়িত্ব দেন তৃণমূল নেত্রী তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এর পর থেকে বিভিন্ন মহলে জল্পনা তৈরি হতে থাকে যে তাহলে হয়তো এবার আর তাপস পালের ভাগ্যে শিকে ছিঁড়বে না। বরঞ্চ এবারে প্রার্থী হতে পারেন মহুয়া মৈত্র। আর সেই সমস্ত ভাবনায় সীলমোহর পরে লোকসভা নির্বাচনের দামামা বাজবার পর রাজ্যের 42 টি কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থীর নাম ঘোষণা করার দিনই। কালীঘাটের বাসভবন থেকে কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে মহুয়া মৈত্রর নামই ঘোষণা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এদিকে নেত্রীর ঘোষণা মতোই জেলায় নিজের প্রচার পর্ব শুরু করে দেন মহুয়া দেবী। কিন্তু স্থানীয় বিধায়ক, নেতা- মন্ত্রীর কোনো পরামর্শ না নিয়ে দিল্লি থেকে ম্যানেজমেন্ট সংস্থার হিন্দিভাষী 8 জন যুবককে তিনি তার প্রচার কৌশল ঠিক করার জন্য কৃষ্ণনগরে নিয়ে আসেন। কিন্তু জেলায় যারা সারা বছর ধরে সংগঠন করেন, জেতার জন্য তাদের কথা না শুনে ভিন রাজ্য থেকে এইভাবে কয়েকজন যুবককে নিয়ে এসে তিনি তার প্রচার প্রক্রিয়া করলে জেলা নেতাদের ক্ষোভ দিনকে দিন বাড়তে শুরু করেছে। আর শাসকদলের জেলা নেতাদের এই ক্ষোভই কি এবার মহুয়া মৈত্রর পরাজয় নিয়ে আসবে! তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে শুরু হয়েছে জল্পনা। ইতিমধ্যেই জেলার নেতা, বিধায়ক এবং ব্লক সভাপতিদেরকে নিয়ে মহুয়াদেবীর প্রতি এই ক্ষোভকে প্রশমিত করতে বৈঠক করেছেন তৃণমূল মহাসচিব কথা শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তবে তারপরও মহুয়া মৈত্রর এই একতরফা চলাকে মেনে নিতে পারছেন না নদীয়া জেলার শাসকদলের নেতারা। একাংশ বলছেন, “সারা বছরই শীত গ্রীষ্ম, বর্ষায় আমরা সংগঠনটা করি। দলীয় কর্মীদের সামান্য কারণেই উনি বকাঝকা করছেন। আমাদের টপকেই উনি ভোট বৈতরণী পার হতে চাইছেন।” রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রে মহুয়া মৈত্রকে প্রার্থী করে এই কেন্দ্র দখলের জন্য তৃণমূল নেত্রী আশ্বস্ত হলেও সেই মহুয়া মৈত্রর একতরফা চলাই এবার বড়সড় অস্বস্তির কারণ হতে চলেছে শাসক দলের কাছে। আর এই নিয়েই পর্যবেক্ষকদের দাবি যে এর ফলে বিরোধীরা সুযোগ পেয়ে যাচ্ছেন নাতো? যদিও শেষ পর্যন্ত কি হয় তা জানার জন্য অপেক্ষা করতে হবে সেই ২৩ সে মেয়ে পর্যন্ত। আপনার মতামত জানান -