এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > পুজামন্ডপে গিয়ে কমিটির লোকেদের পেটানো ও গুন্ডাগিরির অভিযোগ তৃনমূল নেতার 2 ছেলের বিরুদ্ধে

পুজামন্ডপে গিয়ে কমিটির লোকেদের পেটানো ও গুন্ডাগিরির অভিযোগ তৃনমূল নেতার 2 ছেলের বিরুদ্ধে

বাংলা ও বাঙালির প্রাণের উৎসব দুর্গাপূজা। আর সেই পুজোকে যাতে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা যায়, তার জন্য প্রথম থেকেই সকল রাজ্যবাসীর কাছে যেমন আবেদন জানিয়েছেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান, ঠিক তেমনই দলীয় কর্মীদের কাছে সেই আবেদন জানিয়েছিলেন তৃনমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু পুজোর সময়ও যে অশান্তি কমল না, তা প্রমাণ হয়ে গেল রামপুরহাট পৌরসভার 13 নম্বর ওয়ার্ডের এক পুজো মন্ডপে।

সূত্রের খবর, এখানকার পুজো মন্ডপে হামলা চালানো এবং সেই পুজো কমিটির কার্যকর্তাদের বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছে সেই 13 নম্বর ওয়ার্ডেরই এক তৃণমূল নেতার দুই ছেলে এবং তার দলবদলের বিরুদ্ধে। যে ঘটনায় এখন এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু কেন এই হামলা চালানো হল!

জানা গেছে, বিগত বেশ কয়েকবছর থেকে এই চাদমারি আবাসিক বৃন্দের উদ্যোগে দুর্গাপূজা শুরু হয়েছে। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি।গত মঙ্গলবার দশমীর দিনে সেই মন্ডপ থেকে প্রতিমা বিসর্জন দিয়ে নিজের ওয়ার্ডে ফিরে আসার সময়ই সেখানকার কর্মকর্তাদের বেধড়ক মারধর করা হয়। যে মারধরের ঘটনায় নাম জড়ায় এই ওয়ার্ডের প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলরের দুই ছেলে ও তার দলবলের। জানা গেছে, এই ঘটনায় আহত পুজো কমিটির সম্পাদক শঙ্কর সাহা, কোষাধ্যক্ষ টিটু মন্ডল সহ চারজন রামপুরহাট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। কিন্তু তাদের দোষ কি! কেন তাদের তৃনমূল নেতাদের রোষের শিকার হতে হল!

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে শঙ্কর সাহা বলেন, “আমরা পুজোর পাশাপাশি গরীবদের বস্ত্র বিতরণ সহ নানা কর্মসূচি নিই। আমরাও তৃনমূল করি। কিন্তু ওই প্রাক্তন কাউন্সিলরের ছেলেরা দলবল নিয়ে হামলা চালায়। ওরা নিজেদের তৃনমূলের মস্তান বলে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করে। ওরা এখন নিজেদের দোষ ঢাকতে আমরা বিজেপি করি বলে প্রচার করছে। আমরা থানায় অভিযোগ জানানোর পাশাপাশি দলকে জানিয়েছি।”

এদিকে এই প্রসঙ্গে যে কাউন্সিলরের দুই ছেলের দিকে এই অভিযোগ উঠেছে, সেই কাউন্সিলরের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তবে এই ব্যাপারে রাজ্যের মন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “এই ঘটনাকে দল কখনও বরদাস্ত করে না। আইন আইনের পথে চলবে। লিখিতভাবে অভিযোগ জানালে ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।” তবে আশিসবাবু যাই বলুন না কেন, যেভাবে তৃনমূলের নেতার ছেলেরা ক্লাবের কতৃপক্ষের ওপর হামলা চালালো, তাতে শেষপর্যন্ত আদৌ আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে তৃনমূল অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয় কি না, এখন সেদিকেই তাকিয়ে সকলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!