এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > তৃণমূল নেতার হুংকার উড়িয়ে পুজোর উদ্বোধনে রাজ্যপালই, সঙ্গী হেভিওয়েট বিজেপি নেতা

তৃণমূল নেতার হুংকার উড়িয়ে পুজোর উদ্বোধনে রাজ্যপালই, সঙ্গী হেভিওয়েট বিজেপি নেতা

 

রাজ্যপাল হওয়ার পর থেকেই বিভিন্ন ইস্যুতে সরকারের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয়েছে জগদীপ ধনকারের। কখনও যাদবপুর, কখনও জিয়াগঞ্জ, আবার কখনও বা দুর্গাপুজোর কার্নিভাল, বিভিন্ন ঘটনায় রাজ্যপালের মন্তব্যে অস্বস্তিতে পড়েছে সরকার পক্ষ। পাল্টা সরকারের তরফ থেকে হেভিওয়েট মন্ত্রীরা ময়দানে নেমে সাংবিধানিক প্রধানের বিরুদ্ধে এমন সব মন্তব্য করেছেন, যা রাজ্য রাজনীতিতে সত্যিই নজিরবিহীন বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের।

তবে মন্ত্রীরা রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানের বিরুদ্ধে মন্তব্য করলেও তৃণমূলের নিচুতলার নেতাদের রাজ্যপালের প্রতি আচরণ হতবাক করে দিয়েছিল রাজ্যের সাধারণ মানুষদের। বারাসাতের তরুচ্ছায়া ক্লাবের কালীপুজোর উদ্বোধনে আসছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকার। আর তা জেনেই বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিলেন বারাসাত পৌরসভার চেয়ারম্যান তৃণমূলের সুনীল মুখোপাধ্যায়।

রাজ্যপাল পুজো উদ্বোধন করলে তিনি সেখানে উপস্থিত থাকবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন সেই ক্লাবের মুখ্য উপদেষ্টা সুনীলবাবু। আর এরপরই এই ক্লাবের পদ থেকে ইস্তফা দিতে দেখা যায় তাঁকে। আর সুনীলবাবুর এহেন আচরণ নিয়ে বিভিন্ন মহলে উঠতে শুরু করে প্রশ্ন।

শাসকদলের একটি পৌরসভার চেয়ারম্যান রাজ্যপাল পুজো উদ্বোধন করছেন জেনে কেন এই ধরনের বৈষম্যমূলক আচরণ করলেন! তাহলে কি তৃণমূলের ওপরতলা থেকে নিচুতলা পর্যন্ত রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করার নির্দেশ এসেছে! এই প্রশ্নকে ঘিরেই যখন তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি, ঠিক তখনই সুনীল মুখোপাধ্যায় ক্লাবের মুখ্য উপদেষ্টা থেকে ইস্তফা দিলেও নিজের কর্মসূচি কাটছাঁট করেননি রাজ্যপাল।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

উল্টে শনিবার সকাল 10 টায় বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্যকে সাথে নিয়ে তরুচ্ছায়া ক্লাবের পূজো উদ্বোধনে আসেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকার। আর সেখানে এসে বাচ্চাদের গলায় উত্তরীয় পরিয়ে দিয়ে তবলার তালে তাল মেলান রাজ্যপাল। এই ক্লাবে রাজ্যপালের পুজো উদ্বোধন করতে আসা নিয়ে তৃণমূলের সুনীলবাবু ইস্তফা দিয়ে যে সংস্কৃতিরই পরিচয় দিন না কেন, বাংলার সংস্কৃতির নিয়ে ভূয়সী প্রশংসা শোনা গেছে রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানের গলায়।

এদিন এই পুজোর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে রাজ্যপাল বলেন, “আমি 3 বছর আন্তর্জাতিক বিচারালয়ের সদস্য ছিলাম। আমার মনে হয়েছিল সংস্কৃতির বিষয়ে প্যারিস অনেক আগে রয়েছে। কিন্তু গত তিনমাস এই রাজ্যে যা দেখেছি, তা জীবনে কোনদিন দেখিনি। এত উচ্চমানের সংস্কৃতি ও সাহিত্য অন্য কোথাও দেখিনি। এখানে এসে বুঝেছি, আমি ভুল ছিলাম। শুধু প্যারিস নয় পৃথিবীর কোনো শহর কলকাতা বা বাংলার মোকাবিলা করতে পারবে না। দেশের প্রত্যেক নাগরিকের বাংলায় এসে একবার দেখা উচিত। বাংলায় এসে না দেখলে কেউ ঐতিহ্য বুঝতে পারবে না।”

রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, এই কালীপূজার উদ্বোধনী গিয়ে বাংলাকে নিয়ে নিজের গর্বের কথা তুলে ধরে বঙ্গবাসীর ভাবাবেগ নিজের দিকে টানতে চাইলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকার। যখন সরকার বনাম সাংবিধানিক প্রধানের তরজা চরম আকার ধারণ করছে, তখন বাংলার কৃষ্টি-সংস্কৃতির প্রশংসা করে বঙ্গবাসীর মন জয়ের চেষ্টা করলেন রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান বলে মত বিশ্লেষকদের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!