এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > বড়সড় ধাক্কা বিজেপিতে, নেত্রীর হাত ধরে দলে ফিরলেন পুরোনো সৈনিক

বড়সড় ধাক্কা বিজেপিতে, নেত্রীর হাত ধরে দলে ফিরলেন পুরোনো সৈনিক


 

যত দিন যাচ্ছে, ততই অবস্থা খারাপ হতে শুরু করেছে ভারতীয় জনতা পার্টির। লোকসভা নির্বাচনে বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রে জয়লাভ করেছিল বিজেপি‌। তবে তারপরই তৃণমূল প্রার্থী অর্পিতা ঘোষ পরাজিত হওয়ার কারণে, জেলা সভাপতি পদ থেকে বিপ্লব মিত্রকে সরিয়ে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যার ফলে কিছুটা হলেও মনঃক্ষুণ্ণ হন সেই বিপ্লববাবু।

পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছয় যে, অর্পিতা ঘোষকে জেলা তৃণমূলের সভানেত্রী করে দেওয়ার পর সেই বিপ্লব মিত্র জেলা পরিষদের সভাধিপতি সহ 10 জন সদস্যকে নিয়ে দিল্লিতে গিয়ে গেরুয়া শিবিরের পতাকা নিজেদের হাতে তুলে নেন। যার জেরে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পরিষদ চলে আসে বিজেপির দখলে।

কিন্তু যত দিন যায়, ততই বিজেপিতে যাওয়া সদস্যরা ফের তৃণমূলে যোগদান করতে শুরু করেন। যার ফলে অস্বস্তিতে পড়ে ভারতীয় জনতা পার্টি। তবে সভাধিপতি বিজেপিতে থেকে যাওয়ায়, সেইভাবে জেলা পরিষদের কাজকর্ম করতে পারছিল না তৃণমূল কংগ্রেস। তবে এবার অবশেষে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নিয়ে যখন উত্তপ্ত বঙ্গ রাজনীতি, ঠিক তখনই সেই দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পরিষদের সভাধিপতি যোগদান করলেন তৃণমূল কংগ্রেসে।

সূত্রের খবর, রবিবার বালুরঘাটে তৃণমূলের কার্যালয়ে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলের পতাকা হাতে তুলে নেন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পরিষদের সভাধিপতি লিপিকা রায়। এদিন তাকে দলে স্বাগত জানান দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা তৃণমূলের সভানেত্রী অর্পিতা ঘোষ। কিন্তু হঠাৎ কেন তিনি বিজেপি ছেড়ে ফের তৃণমূলে ফিরে এলেন!

তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগদানের পর, যে তৃণমূলের সম্পর্কে এত অভিযোগ করেছিলেন তিনি, সেই তৃণমূলে কেন আবার তাকে ফিরে আসতে হল! এদিন এই প্রসঙ্গে সেই লিপিকা রায় বলেন, “এনআরসি এবং সিএএর প্রতিবাদেই বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে এসেছি। জেলা পরিষদে অনেক উন্নয়নের কাজ বন্ধ রয়েছে। সেই কাজগুলো করাই এখন মূল লক্ষ্য। বিজেপিতে থেকে উন্নয়নের কাজ করতে পারছিলাম না।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে জেলা পরিষদের সভাধিপতি দলে ফিরে আসায় উজ্জীবিত ঘাসফুল শিবির। এদিন এই প্রসঙ্গে জেলা তৃণমূলের সভানেত্রী অর্পিতা ঘোষ বলেন, “জেলা পরিষদের সভাধিপতি তৃণমূলে যোগ দেবেন বলে অনেকদিন ধরেই যোগাযোগ করছিলেন। নতুন বছরের আগেই দলে ফেরার ইচ্ছা জানিয়েছিলেন। এদিন তিনি তৃণমূলে যোগ দিলেন।” তবে যেভাবে জেলা পরিষদের একের পর এক সদস্য এবং এবার সভাধিপতি তৃণমূলে যোগ দিলেন, তাতে কি বিজেপি ব্যাকফুটে পড়ল না!

এদিন এই প্রসঙ্গে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা বিজেপি সভাপতি বিনয় বর্মন বলেন, “সভাধিপতি তৃণমূলে যোগ দেবেন এমনটা জানা ছিল না। তবে এতে জেলা বিজেপির কোনো ক্ষতি হবে না।” অন্যদিকে এই প্রসঙ্গে সবথেকে বেশি যিনি বিপাকে পড়েছেন, তার নাম বিপ্লব মিত্র।

কেননা এই বিপ্লব মিত্র তৃণমূলকে শায়েস্তা করার জন্য তৃণমূল থেকে বেরিয়ে সমস্ত সদস্যদের নিয়ে বিজেপিতে নাম লিখিয়েছিলেন। ফলে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় তিনি শেষ কথা বলবেন বলে অনেকে মনে করলেও, দিনকে দিন যেভাবে তার ম্যাজিক ফিকে হচ্ছে, তাতে তার নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে বিজেপির অন্দরে। কেন লিপিকা রায় তৃণমূলে যোগ দিলেন?

এই প্রসঙ্গে বিপ্লব মিত্র বলেন, “নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন ইস্যুতে জেলা পরিষদের সভাধিপতি লিপিকা রায় তৃণমূলে যাননি। তিনি চাপে যোগদান করেছেন। সভাধিপতি বিজেপিতে যোগদান করার পরই রাজ্যের শাসকদলের পক্ষ থেকে তার নিরাপত্তারক্ষী তুলে নেওয়া হয়।” তবে বিজেপি নেতৃত্ব যে কথাই বলুন না কেন, যেভাবে সভাধিপতি তৃণমূলে যোগ দিলেন এবং তার জেরে যেভাবে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পরিষদ তৃণমূলের দখলে চলে আসল, তাতে জেলায় বিজেপিতে যে বড়সড় ফাটল দেখা দিল, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত ওয়াকিবহাল মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!