এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > নিজের গড়ে হেভিওয়েট তৃণমূল নেতাকে দলে নিয়েই বিস্ফোরক দিলীপ ঘোষ

নিজের গড়ে হেভিওয়েট তৃণমূল নেতাকে দলে নিয়েই বিস্ফোরক দিলীপ ঘোষ

রাজ্য রাজনীতিতে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন বিতর্কিত মন্তব্য করে খবরের শিরোনামে উঠে এসেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। অনেক সময় তার এই মন্তব্য সমাজে নিন্দিত হলেও তিনি তার অবস্থান থেকে সরেননি। আর এবার ফের রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলের উদ্দেশ্যে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। এদিন তিনি বলেন, “কেউ মারতে এলেই পাল্টা হিসেবে তার হাতটা ভেঙে দিন।”

সূত্রের খবর, সোমবার ঘাটালের জনসভায় এসে দলীয় কর্মী ও সমর্থকদের এই পরামর্শ দেন মেদিনীপুরের বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ। জানা যায়, এদিন ঘাটাল মহকুমায় দাসপুরের নাড়াজোল এবং ঘাটালের বিডিও অফিসের পাশে বরদায় দুটি সভা ছিল দিলীপবাবুর। আর বরদার সভা থেকেই কর্মীদের উদ্দেশে এই কথা বলেন তিনি। আরও বলেন, “রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুলিসকে দিয়ে দলীয় কাজকর্ম করাচ্ছেন। মিথ্যা মামলা করছেন। মানুষ সবই বুঝতে পারছেন। এর উত্তর সাধারণ মানুষ আগামীদিনে দেবেন। ২০১৯ সালে বাংলায় তৃণমূল হাফ হয়েছে, ২০২১ সালে সাফ হয়ে যাবে।”

অন্যদিকে এদিনের সভা থেকে কলকাতার প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমার এবং সারদা, নারদার প্রসঙ্গও তুলে ধরেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, “সারদা দুর্নীতির বহু নথি তিনি হাপিস করে দিয়েছেন। লক্ষ লক্ষ মানুষের চোখের জলের কারণ রাজীব কুমার। তদন্তে সিবিআইয়ের সঙ্গে সহযোগিতা করেননি তিনি। মুখ্যমন্ত্রীও তাঁকে বাঁচানোর জন্য ধর্না দিয়েছিলেন। কিন্তু, রাজীব কুমারকে কেউ বাঁচাতে পারবে না। এখন মাঝে মাঝেই শোনা যায়, তৃণমূল নাকি তাদের দলীয় কার্যালয় খুলতে পারেনি। ঘটনাটা সত্যি। তবে সেটা বিজেপির ভয়ে নয়। আসলে ওরা যা কাটমানি খেয়েছে, তারপর যদি ওরা এখন দলীয় কার্যালয়ে বসে, তাহলে সাধারণ মানুষ তেড়ে যাবে। সেই ভয়েই ওরা দলীয় কার্যালয় খুলতে পারেনি।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

জানা গেছে, এদিন দিলীপবাবুর মঞ্চেই বিজেপিতে যোগ দেন ঘাটাল পুরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূলের বুথ সভাপতি স্বপন ভুঁইঞা। আর তৃণমূলের এই ভাঙ্গনে শাসকদল ভেতরে ভেতরে বিধ্বস্ত হলেও এই সম্পর্কে অন্য কথা শোনা গেছে তৃণমূলের ঘাটাল শহর সভাপতি অরুণকুমার মণ্ডলের গলায়। এদিন তিনি বলেন, “দলবিরোধী কাজের জন্য স্বপনবাবুকে আমরাই দল থেকে বহিষ্কার করার পরিকল্পনা নিয়েছিলাম। সেটা জানতে পেরেই উনি বেরিয়ে গিয়েছেন।”

এদিকে এদিনই খড়্গপুর শহরে এসে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দলীয় নেতাদের নির্দেশ দেন, শহরে একের পর এক গুলি চালানোর ঘটনায় থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাতে হবে। পাশাপাশি রবিবার গুলিতে জখমের বাড়িতে গিয়ে তাঁর পরিবারের সঙ্গেও দেখা করেন।

এই প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, “আগে এই শহরে গুলিগোলা চলত। আমরা এসে শেষ করেছিলাম। আবার কেউ শুরু করেছে। আমরা থানায় ডেপুটেশন দেব। এসপি অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাব। বিধানসভা উপনির্বাচন আসছে, তাই ভয়ের পরিবেশ তৈরির চেষ্টা হচ্ছে। খড়্গপুর শহরের বাসিন্দারা আর এই জিনিস বরদাস্ত করবেন না।”

অন্যদিকে এই ব্যাপারে জেলা সহ সভাপতি গৌতম ভট্টাচার্য বলেন, “গুলি চালনোর প্রতিবাদে আগামী বৃহস্পতিবার খড়্গপুর টাউন থানায় বিক্ষোভ দেখানো হবে।” সব মিলিয়ে দলীয় সভা থেকে তৃণমূলের বিরুদ্ধে হুংকার ছাড়লেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!